রেলওয়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ১৫০টি যাত্রী কোচ কিনবে সরকার

1534

Published on ডিসেম্বর 26, 2017
  • Details Image

ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো ও যাত্রী সুবিধা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২০টি রেলইঞ্জিন ও ১৫০টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমেটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় এগুলো কেনা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৭৯১ কোটি ১১ লাখ টাকা।

রেলইঞ্জিন ক্রয় সংক্রান্ত এই প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ ১৬ হাজার ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১১ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা,বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩০০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৮৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন,বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১১৬৫টি যাত্রীবাহী মিটার গেজ ক্যারেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫৬টি যাত্রীবাহী কোচের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে, ১৩৫টির মেয়াদ ৩১-৩৪ বছর। যাত্রী চাহিদার কারণে মেরামতের মাধ্যমে মেয়াদ উত্তীর্ণ যাত্রীবাহী কোচসমূহ ব্যবহার করা হলেও তা আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন আরামদায়ক ও নিরাপদ নয়। চাহিদা ও অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় অনেক আগেই পুরাতন কোচসমূহ বহর হতে প্রত্যাহার করা প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন,কোচ স্বল্পতার কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি।এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ,নিরাপদ ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন লোকোমোটিভ এবং যাত্রীবাহী ক্যারেজ সরবরাহ; যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য নতুন ট্রেন পরিচালনা এবং রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন,রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায়, রাজশাহী বিভাগ (সিরাজগঞ্জ জেলা ব্যতিত) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ প্রকল্প,‘কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ,কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ‘অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন,‘সিলেট, বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্প, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়), চক্ষু স্বাস্থ্যর উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ প্রকল্প, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং ব্রীজসমূহের উন্নয়নসহ আধুনিক যান যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সড়ক আলোকায়ন; ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর) জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণ,মিরসরাই ১৫০ মে:ও: ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সিরতা, ময়মনসিংহ ও কালকিনি, মাদারীপুর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বায়তুল মোকাররম ডায়াগনষ্টিক সেন্টার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

ছবিঃ ইয়াসিন কবির জয়

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত