নিবন্ধন প্রশ্নবিদ্ধ ॥ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপি প্রধান

1727

Published on মে 11, 2018
  • Details Image

রাজনৈতিক দলের প্রধান যদি সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে পলাতক এমনকি বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকেন তবে সেই দলের নিবন্ধন থাকে কিনা সেই প্রশ্ন এবার সামনে চলে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, দলের প্রধান সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছাড়াও দলের গঠনতন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামির জন্য উন্মুক্ত করার পরেও কিভাবে আছে নিবন্ধন? যদিও এর আগে এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়েনি নির্বাচন কমিশন। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ইতোপূর্বে একটি সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের নজির তুলে ধরে বলেছেন, দলের প্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে পলাতক থাকলে সেই দলের নিবন্ধন আইনগত ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। আইনে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু না থাকা দুর্ভাগ্যজনক।

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির দলের প্রধান ও দুর্নীতিগ্রস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে গঠনতন্ত্র সংশোধন দুটোকেই সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত আইনে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা-অযোগ্যতা অবশ্যই নির্ধারণ করা জরুরী। যেখানে দলের প্রধান হবে নেতাকর্মীসহ সবার জন্য রোল মডেল সেখানে সেই ব্যক্তিই যদি হন অপরাধী, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার আর সুযোগ থাকে না। বিষয়টি দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য দ্রুত খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন চিকিৎসার কথা বলে। ১০ বছর ধরে চিকিৎসা করার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় এমনকি আদালতে প্রশ্ন উঠলেও বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময়েই বলা হয়েছে, সেখানে তাদের নেতা তারেক রহমান চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন। এরই মধ্যে হাইকোর্ট দুই বছর আগে মুদ্রাপাচারের এক মামলায় তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাত বছরের কারাদ- দেয়। আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ১০ বছরের কারাদ- দেয় জজ আদালত।

ওই মামলাতেই পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমানই পদাধিকার বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকে দল পরিচালনায় নির্দেশনা দিচ্ছেন। কেবল তাই নয়, আগে দলটির গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রধান হিসেবে কোন দুর্নীতিগ্রস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের থাকার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এবার তারেক রহমানকে দায়িত্ব দিতে রাতারাতি অপরাধীর জন্য সেই পথ খুলে দয়া হয়। সংশোধন করা হয় বিএনপির গঠনতন্ত্র। সম্প্রতি এখন অনেকটা বেকায়দায় পড়েই বিএনপির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে যে তারেক রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। এটা করতে গিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছেন প্রায় ৫ বছর আগে। এতদিন রাজনৈতিক আশ্রয়ের তথ্য দলটির পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছিল মূলত রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির কথা চিন্তা করেই। এ কারণে ১০ বছর ধরে দলটির পক্ষ থেকে আদালতেও বলা হয়েছে তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। এবার বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন বাধ্য হয়েই বিএনপির তরফ থেকে প্রথমবারের মতো জানানো হলো, যে আরও প্রায় পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছেন।

ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতেই সামনে চলে এসেছে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নিবন্ধন প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এ রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত আইনে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছুই বলা নেই। কিন্তু দলের প্রধান সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছাড়াও দলের গঠনতন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামির জন্য উন্মুক্ত করার পরেও কিভাবে আছে নিবন্ধন? এই নিবন্ধন কতটা গ্রহণযোগ্য?

নির্বাচনে অংশ নিতে হলে সেই দলকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত হতে হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর আগে কখনও নির্বাচন কমিশন এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী আইনের বিধান রয়েছে। তবে দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এটা কখনও ভাবা হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধনের নিয়ম চালু হয়। দেশে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা এখন ৪০।

এর বাইরে জামায়াতে ইসলামী ও ফ্রিডম পার্টি নিবন্ধন পেলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়। এ দলগুলো ছাড়া অন্য দল রাজনীতি করার সুযোগ পেলেও নির্বাচন করার সুযোগ পায় না। দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রধান শর্তই হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত হওয়া। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও অনুসারে, বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে দলগুলোকে নিবন্ধিত হতে হয়। এ বছরের শেষের দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৬ দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে কমিশনে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।

একটি দলের চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক এমনকি বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকলে সেই দলের নিবন্ধন থাকা কতটা গ্রহণযোগ্য? এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোন দলের নিবন্ধন ব্যক্তি ওপর নির্ভর করে হয় না। কমিশন দেখে দলের নিবন্ধন, সেই দলের কাউন্সিল হয় কিনা, কার্যালয় কিভাবে আছে বা এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো। দলের প্রধান অপরাধী এমনকি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক থাকলে তার দলের নিবন্ধন থাকা না থাকার বিষয় কমিশনের দেখার সুযোগ নেই। কমিশনের কর্মকর্তারা বর্তমান ঘটনাকে দেশের ইতিহাতে ব্যতিক্রমী বলে অভিহিত করে বলছেন, এর আগে কমিশনকে এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখী হতে হয়নি। এ কারণেই নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা অযোগ্যতা কিছুই আইনের মধ্যে আসেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ দেশের এবং এই উপমহাদেশের অনেক প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ কারাদ-, এমনকি মৃত্যুদ-ের ভয় তুচ্ছ করে দেশ ছাড়েননি। কারাবরণ করেছেন এবং জনহিতে কাজ করে গেছেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে দেশের একটি বড় দল পরিচালনার দায়িত্ব পালন এই প্রথম। এতে জনস্বার্থ বা দলীয় স্বার্থের বদলে পরিবারতন্ত্রই প্রকাশ পেয়েছে। তারেক রহমানের অনেক সীমাবদ্ধতা দলের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। তিনি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। বর্তমানে ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টও নেই তার। স্বেচ্ছায় দেশে এসে ভোটার হবেন, সে সুযোগও আপাতত নেই। ফলে ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তিনি অযোগ্যই থাকছেন। তার স্ত্রী ডাঃ জোবাইদা রহমানেরও একই অবস্থা।

দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা আইনে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে কিছু না থাকাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ড. ইফতেখারুজ্জামান দুর্নীতিগ্রস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধন ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হয়েও তারেক রহমানের দলীয় পদ গ্রহণ দুটোকেই অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। এমন ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব দেয়াও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি।

এমন ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে কোন দলের নিবন্ধন থাকা কতটা বৈধ? এমন প্রশ্নে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আসলে এ ঘটনা আমাদের দেশে ব্যতিক্রমী। আমাদের নির্বাচন কমিশনের আইনে এ বিষয়ে কোন বাধা এখন পর্যন্ত নেই। যেহেতু নেই তাই অন্তত বেআইনী বলা যাচ্ছে না। তবে নৈতিকভাবে এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

ছোট হোক, বড় হোক যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান যে হবেন সে হবেন সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করবে। প্রধান হবেন সৎ ভাল মানুষ এমনটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু যেটা হয়েছে তা তার বিপরীত।

ড. ইফতেখারুজ্জামান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন করে তাকে দলীয় প্রধানের পদ দুর্নীতিগ্রস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘটনায়। বলেন, এ ঘটনা গ্রহণযোগ্য বলে আমি মনে করি না। দলটির এ কাজ যেমন গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি তারেক রহমানকে এ দায়িত্ব দেয়া ও তার নেয়া সবকিছুই অগ্রহণযোগ্য। মানুষের প্রত্যাশার বিপরীত।

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ ‘জানিপপ’-এর চেয়ারম্যান ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ইতোপূর্বে প্রধানের কারণে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ফেমার নিবন্ধন বাতিলের নজির তুলে ধরে বলেছেন, দলের প্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে পলাতক থাকলে সেই দলের নিবন্ধন আইনগত ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। আইনে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু না থাকাও দুর্ভাগ্যজনক। তবে রাজনৈতিক দলের প্রধান যদি সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে পলাতক এমনকি বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকেন তবে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। ফেমার ফিরোজ এম হাসানের ইস্যুতে কমিশনের নিবন্ধন বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ আরও বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত আইনে দলীয় প্রধানের যোগ্যতা-অযোগ্যতা অবশ্যই নির্ধারণ করা জরুরী। যেখানে দলের প্রধান হবে নেতাকর্মীসহ সকলের জন্য রোল মডেল সেখানে সেই ব্যক্তিই যদি হয় অপরাধী, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার আর সুযোগ থাকে না। বিষয়টি দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য দ্রুত খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির জন্য পথ উন্মুক্ত করতে গঠনতন্ত্র সংশোধনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি দল তো দুর্নীতিকে প্রকাশ্যে সমর্থন করল। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ও বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া ব্যক্তি নিজ দেশের একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন তাও নৈতিকভাবে মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। আর এ নৈতিকতাই হচ্ছে আইনের ভিত্তি। যারা রাজনীতি করবেন, জাতীয় নেতৃত্ব দেবেন, মানবহিতের কাজ করবেন, জনজীবনের আমানতদার হবেন তারা যদি আত্মহিতের বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেন তাহলে রাজনৈতিক দলে তাদের নেতৃত্বকে জাস্টিফাই করা সম্ভব নয়। আমাদের অনুসরণীয় কোন নেতাই নিজের সুরক্ষার জন্য দেশের বাইরে চলে যাননি। জনগণকে পরিত্যাগ করেননি। দেশে দলের লোকজনকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রেখে সেই দলের প্রধানকে যদি বিদেশে আশ্রিত অবস্থায় থাকতে হয় তাহলে তা খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে আইনকে ক্লারিক্যাল পারসপেক্টিভে না দেখে মরাল পারসপেক্টিভে দেখেতে হবে।

‘সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ইতোমধ্যেই বলেছেন, বিদেশে আশ্রয় নেয়া একজন ব্যক্তির হাতে দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব থাকার ক্ষেত্রে আইনগত বাধা না থাকলেও নৈতিকভাবে তা সমর্থনযোগ্য নয় বলেই আমি মনে করি। এ ক্ষেত্রে পরিবারতন্ত্রই গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপির মতো একটি দলের নেতৃত্ব দেয়ার মতো বহুযোগ্য লোক আছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তাদের মধ্যে কাউকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, তারেক রহমান অনেক আগে থেকেই দেশের বাইরে। দেশে ন্যায়বিচার পাবেন না বলে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন এটা হতেই পারে, কিন্তু সেখান থেকে দল পরিচালনা নৈতিকতা শুধু নয়, কার্যকারিতার দিক থেকেও ঠিক হয়নি।

সৌজন্যেঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত