8519
Published on ডিসেম্বর 30, 2018এম. নজরুল ইসলাম:
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনায় অসম দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্বে নতুন উদাহরন সৃষ্টি করতে যাচ্ছে, এমন কথাও এখন উচ্চারিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে বাংলাদেশ বিষয়ে এই আগ্রহের কারণও বিগত দশ বছরের ইতিবাচক দেশ পরিচালনা।
মানব কল্যণবোধ আর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত শেখ হাসিনা নিজের সবটুকু সামর্থ্য ঢেলে দিয়ে শোষিত-নির্যাতিত জনতার কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় চার দশক যাবত। রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন বয়স ৩৪ বছরেরও কম বয়সে। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বিপুল প্রাণচাঞ্চল্য সামরিক স্বৈরশাসক জে. জিয়াকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ ফেরার পথ বন্ধ করার সর্বাত্তক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সামরিকতন্ত্রের সকল প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে সভানেত্রী পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর বাঙালিদের সীমাহীন আস্থা ছিল। তাঁর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তারা হতাশার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিল। রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অভ্যুদয় দলের নেতৃত্বশূন্যতা পূরণ করে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিলাষী ছিলেন না। জাতির জনক ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডের পর কান্ডারিহীন দলের নিমজ্জমান অবস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমূলে বিনাশ করার লক্ষ্যে জে. জিয়ার ক্যু ও হত্যার রাজনীতির মহাদুর্যোগ থেকে দল এবং দেশ ও জাতিকে বাঁচানোর তাগিদে এগিয়ে এসে শেখ হাসিনা ইস্পাতদৃঢ় মনোভাবের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি এক জটিল ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে গণতান্ত্রিক রাজনীতির হাল ধরে, দেশী-বিদেশী চক্রান্ত মোকাবিলা করে, আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত ও পুনর্গঠিত করেছেন। আশির দশক জুড়ে সামরিক কর্তাব্যক্তির একচ্ছত্র স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের এবং পরবর্তীকালে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে কারচুপিমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান বন্ধের লড়াইয়ে তিনি সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন। বছরের পর বছর অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে নিত্যনৈমিত্তিক প্রচারণা উপেক্ষা করে একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে দলকে তিনি আবার ক্ষমতায় এনেছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক ও সাম্প্রদায়িক স্বৈরতান্ত্রিক শাসকরা তাদের পাকিস্তানি প্রভুদের ইচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করে চলছিল। সেই অবস্থায় শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি চুক্তি, গণশিক্ষার সাফল্য, বিধবাভাতা ও বয়স্কভাতার প্রবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রগতি, দ্রব্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বর্হিবিশ্বের সঙ্গে প্রশংসনীয় সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৮ সালে দেশে ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন তিনি। দেশ ও জনগণের কল্যাণে এতো সব করার পরও স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী আন্তর্জাতিক চক্রের সহায়তায় বিএপি-জামাত জোট ষড়যন্ত্র করে ২০০১ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় যেতে দেয়নি। বিএপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। ব্যাপক দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আত্মীয়করণ, পারিবারতন্ত্র, দলীয়করণ, চল্লিশ হাজার সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে সাধারণ ক্ষমা প্রদান, সত্তর হাজার সন্ত্রাসীর মামলা প্রত্যাহার, জঙ্গি মৌলবাদের ভয়াবহ উত্থান, বোমা হামলা, অপারেশন ক্লিনহার্ট ও ক্রসফায়ারের নামে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, অতি জরুরী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষ হত্যা, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন, নারী নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ইতিহাস বিকৃতি এবং অপশাসনের ফলে বাংলাদেশ “অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র"-এর কলঙ্কিত ভাবমূর্তি ধারণ করেছিল।
পরবর্তিতে দু‘বছরের সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের বিরাজনীতিকরণের জটিল পরিবেশে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এ নির্বাচনে বিপূলভাবে বিজয়ী হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপূলভাবে বিজয়ী হয় মহাজোট। সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা দুর্যোগময় বছরগুলোতে সাহস ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশ ও জাতিকে পরিচালনা করেছেন। তিনি স্বৈরাচার ও মৌলবাদকবলিত, চরম দুর্নীতিগ্রস্থ, গণতন্ত্র বিবর্জিত দেশকে প্রগতি ও গণতন্ত্রে উত্তরণে সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ইতিহাসে শেখ হাসিনার সরকারের সংগ্রাম ও সাধনা একটি উজ্জল অধ্যায় হয়ে থাকবে। সব সরকারেরই সাফল্য ও ব্যর্থতা থাকে। তাঁর সরকারেরও আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্যের বৈশিষ্ট্য এই যে, ঘনদুর্যোগময় সময় পাড়ি দিয়ে এই সাফল্যগুলো সরকারকে অর্জন করতে হয়েছে। সরকার যে সমস্যাগুলো মোকাবিলা করছে এগুলো সবই অতিতের গণবিরোধী সরকারগুলোর কাছ থেকে পাওয়া। এগুলোর সুষ্ঠু সমাধান সময় সাপেক্ষ। মাঝে মাঝে সরকার কোনো কোনো সমস্যা সমাধানে ভুলত্রুটি করলেও তারা সেই ভুলত্রুটি সংশোধনে আগ্রহ দেখায়।
শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে মাত্র চার বছরে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচার শেষে সাজা হয়েছে। চিরকালের দুভিক্ষের দেশ উদ্বৃত্ত কৃষির দেশে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কোটি কোটি ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যা সমাধানে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে সবাই এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। জঙ্গি সমস্যা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সরকারের অনমনীয় দৃঢ়তা প্রশংসনীয়। তথ্যপ্রযুক্তির তৃণমূলভিত্তিক সম্প্রসারণ একটি বড় সাফল্য। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে সরকার চমৎকার ভারসাম্যের নীতি অনুসরন করেছে। যখন অর্থনৈতিক দুর্যোগে সারা পৃথিবী টালমাটাল, তখন বাংলাদেশ নিজেকে যে এখনো সঠিক পথে ধরে রাখতে পেরেছে, এটা সরকারের একটা বড় কৃতিত্ব। বিশ্ব শান্তি, পরিবেশ রক্ষা এবং দক্ষিন এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশিলতা রক্ষার কাজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সাফল্য বিশ্বময় স্বীকৃত। সংবিধানকে সামরিক শাসনের আবর্জনা থেকে মুক্ত করা, দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তি শক্ত করা, সর্বোপরি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো এই সরকারের এক বিরাট ইতিবাচক দিক। যদি শেখ হাসিনার সরকার আগামী মেয়াদেও ক্ষমতায় থাকতে পারে তাহলে বর্তমানের ভুলত্রুটিগুলো দুর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে তারা সফল হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি আজ খুব দৃঢ় অবস্থানে আছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ইতিবাচক ধারায় এগোচ্ছে দেশ। আজ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশের তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান। গত এক দশকে মোট জিডিপি ৯১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে প্রায় ২৮৫ বিলিয়ন হতে চলছে। প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪ থেকে বেড়ে ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। মূল্যস্ফীতি ১২ থেকে কমে ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। দারিদ্র অর্ধেকে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৬৮৬ থেকে বেড়ে ১৭৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। চার গুণ বেড়েছে বিনিয়োগ। রেমিট্যান্স বেড়েছে দ্বিগুনেরও অধিক। যা ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ১০ বিলিয়ন থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে রপ্তানি। দ্বিগুণ বেড়েছে ব্যাংকের শাখার সংখ্যা। যা এখন ১০ হাজারেরও অধিক। দুই লাখ কোটি থেকে বেড়ে ১০ লাখ কোটি টাকার অধিক হয়েছে ব্যাংকে আমানত। রয়েছে পথশিশুদের ব্যাংক হিসাব। ১০ টাকার হিসাব রয়েছে এক কোটি কৃষকের। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে বিরাট অর্জন বলে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাগুলো সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছে। দীর্ঘমেয়াদে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম একটি দেশ। বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি-ইঞ্জিন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আমাদের ভাবতে ভাল লাগে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২০১১ সালের অধিবেশনে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন মডেল’ উত্থাপন করেন। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব পাস করেছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটিও সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা প্রদান আইন, মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে। হাজার হাজার অসহায় দরিদ্র মানুষকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মামলাজট কমাতে উচ্চ আদালতে ও নিম্ন আদালতে বহু বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। জনপ্রশাসনকে দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করা হয়েছে। নারীর অধিকার সুরক্ষায় পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন করা হয়েছে। এসবই শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য। আগামী দিনেও এই সাফল্যের ধারা ধরে রাখার দায়িত্ব প্রতিটি বাঙালির।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। সাহস, প্রজ্ঞা, মমত্ববোধ, ধৈর্য্য, দূরদর্শিতা ও সব ধরনের প্রতিকুলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে তিনি কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে এখনো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানকে ভোগ করেন না তিনি। আর সে কারণেই বাঙালির সঙ্গে তাঁর জন্মান্তরের নিবিড় যোগসূত্র। দেশের মানুষের আস্থা ও অস্তিত্বে তাঁর স্থায়ী আসন। মানুষের পাশে থাকেন সবসময়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে উন্নয়নের নতুন পথে শনৈ শনৈ এগিয়ে নিয়ে চলছেন। তিনি মানুষকে অভাবমুক্ত করেছেন। তাঁর চেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এবারও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ উন্নত দেশ সমূহের পর্যায়ে উন্নীত হবে, একথা আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
কিন্তু আমরা আজ দেখতে পাচ্ছি দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক অপশক্তির তৎপরতা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আজ ৩০ ডিসেম্বর, রবিবার, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকায় ভোট দিন, একাত্তরের স্বাধীনতার শত্রুদের চুড়ান্তভাবে পরাজিত করুন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
লেখক: অস্ট্রিয়া প্রবাসী রাজনৈতিক, মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশঃ আমাদেরসময়.কম
 
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                            