৩২ নং রোডের সেই বাড়িটি - লে. কর্নেল মহিউদ্দিন সেরনিয়াবাত (অব.)

7281

Published on আগস্ট 4, 2019
  • Details Image

এটি সম্ভ্রান্ত, মধ্যবিত্ত এক মুসলিম পরিবারের একটি আদর্শ বাড়ি। ছোট-বড় সব মিলিয়ে পাঁচটি, দোতলায়ও পাঁচটি রুম। তৃতীয় তলায় দুটি। একবারে বাড়ি তৈরির সামর্থ্য ছিল না। তাই তিন ধাপে ধীরে ধীরে কোন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধান ব্যতীত এই বাড়িটি বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। মূলত প্রকৌশলী এবং বাড়ি নির্মাণকালে তত্ত্বাবধানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন বাড়ির মালকিন বেগম ফজিলাতুন্নেছা স্বয়ং। বাড়ির পেছনের দিকে একটি রান্নাঘর ও পাশে কবুতর ও মুরগির বেশ বড় দুটি ঘর। দুধপানে অভ্যস্ত পরিবারের প্রায় সবাই। তাই তো ঢাকা শহরের বনেদিপাড়া হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত গরুপালা হয় এই বাড়িতে, আছে গোয়ালঘর। ধান, জমি-জিরাত বিক্রি করে যখন যেটুকু অর্থ পাওয়া যেত, দৈনন্দিন খরচ বাদে যা অবশিষ্ট সেখান থেকে পাই পাই বাঁচিয়ে মালকিনই এই বাড়ি এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই তো তিনি সার্থক স্ত্রী এবং জননী বটে। পাশে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিলেন পিতৃতুল্য শ্বশুর।

এই বাড়ির প্রকৃত মালিক শেখ মুজিবুর রহমান। স্কুল জীবনেই তার শুধু রাজনীতিতে হাতে খড়ি নয়, কারা জীবনেরও সূচনা ঘটেছে। খুব অপরিপক্ব বয়সে বাবা-মার পছন্দে আত্মীয়া কিশোরী ফজিলাতুন্নেছা রেণুকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর সংসার সন্তান হয়েছে ঠিকই কিন্তু কারাগার অথবা দলীয় অফিসে পূর্ণ মেধা ও সময় চলে যায় শেখ মুজিবের। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অজোপাড়াগাঁয়ে দাদা শেখ লুৎফর রহমানের হাত ধরেই প্রাথমিক স্কুলে যাতায়াত শুরু মুজিবের সন্তানদের। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বেগম মুজিব শ্বশুর ও সন্তানদের নিয়ে সেই ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। আগ-পিছ না ভেবে হঠাৎ করে ঢাকায় তার উপস্থিতি প্রথমদিকে শেখ সাহেব মোটেই ভালভাবে গ্রহণ করেননি। তারপরও সেগুনবাগিচা, সিদ্ধেশ^রী ও এর আশপাশে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। দিন যতই এগিয়ে যাচ্ছে- একদিকে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার চাপ, অন্যদিকে শেখ সাহেব রাজনীতিতে সরকারবিরোধী কর্মকা-ে অধিকতর ডুবে যাচ্ছিলেন। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে তৎকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা মুজিবের বাড়িওয়ালাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে। তারা যেন কোনমতেই মুজিবের পরিবারকে ঠাঁই না দেন। এমতাবস্থায় আত্মীয়-শুভাকাক্সক্ষীরা এগিয়ে এলেও কতদিন এভাবে চলতে পারে!

১৯৫৫-৫৬ সালে তৎকালীন সরকার লালমাটিয়া, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, কাঁটাবন, ঢাকা কলেজ, ঝিগাতলার মধ্যবর্তী ধানম-ির ১.৬৮ বর্গমাইলজুড়ে প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে। কিন্তু খুব কমসংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়ে। ফলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে খুব সহজেই ধানম-ি ৩২নং রোডের ৬৭৭নং প্লটটি বরাদ্দ পেয়ে যায়। প্লট বরাদ্দের সংবাদ জেনে পিতা শেখ লুৎফর রহমান তড়িঘড়ি তার সঞ্চয়সমূহ নগদ অর্থে পুটলি বেঁধে ঢাকায় উপস্থিত। শুরু হয়ে যায় মাটি ভড়াটের কাজ। এক বছরেই মাত্র দুটি রুম নির্মাণের পরপরই বেগম মুজিব ছেলে-মেয়ে নিয়ে ৩২নং রোডের ৬৭৭নং ঠিকানায় উঠে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাড়ি বানিয়েছে এমন সংবাদ চাওড় হয়ে গেলে আত্মীয়রা’তো বটেই টুঙ্গিপাড়ার সাধারণ মানুষও ঢাকা শহরে এসে সামান্য কাজের অজুহাতে এই বাড়িতে মেহমান হতে থাকে। উপায়ন্তর না দেখে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বেশকিছু জমিজমা বিক্রি করে বেগম মুজিব নিচতলা সম্প্রসারিত করে আরও ছোট ছোট তিনটি রুম বাড়াতে বাধ্য হন। রুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অতিথির চাপ আরও বেড়ে যায়। আত্মীয় এবং গ্রামের মানুষ যারা ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে চাকরির খোঁজ, মামলা মোকদ্দমা কিংবা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসে তাদের সবার বর্তমান ঠিকানা হয়ে যায় ৬৭৭/৩২ ধানম-ি। শুধু তাই নয়, জেলের ভেতর বা বাইরে যেখানেই মুজিব থাকুন না কেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিতীয় দলীয় অফিস হিসাবে এই বাড়িই ব্যবহৃত হতে থাকে। এমতাবস্থায় ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার কথা বিবেচনা করে পশ্চিম দিকের সিঁড়িকে আরও ওপরে নিয়ে দোতলায় একেক করে পাঁচটি রুম নির্মাণ করা হয়। দক্ষিণ দিকে ব্যালকনি, পূর্ব পাশে টানা তিনটি ও পশ্চিম পাশে সিঁড়ির ডান দিকে একটি এবং মাঝখানে কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ড্রইং কাম ডাইনিং রুম। উত্তর-পূর্ব কোণের রুমে থাকতেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাঝখানে রাসেলকে নিয়ে বেগম মুজিব। পাশের রুমটিতে শেখ রেহানা। এর উল্টো দিকে অর্থাৎ দক্ষিণ পশ্চিম কোণের রুমে ছেলে শেখ কামাল ও জামাল। প্রতিটি রুমে আছে একটি খাট, আলমিরা, একটি ড্রেসিং টেবিল, টেবিল-চেয়ার। বেগম মুজিবের ঘরে আছে অতিরিক্ত একটি আলমিরা। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা উপস্থাপনের পর থেকে এই বাড়িটি আর মুজিবের থাকেনি, এটি যেন বাঙালীর রাজনীতির ঠিকানা হয়ে যায়। শেখ সাহেব জেলে থাকলেও প্রতিদিন অসংখ্য নেতা-কর্মী হাজিরা দিত এই বাড়িতে। বেগম মুজিবকে অভয় দেয়ার লক্ষ্যে তারা স্লোগান তুলত ‘জেলের তালা ভাঙ্গব শেখ মুজিবকে আনব।’ এই জনতা তাদের অঙ্গীকার ঠিকই রেখেছিল। তারা মুজিবকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরেছিল। মৃত্যুর কোল থেকে তারা মুজিবকে বের করে এনে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির পর থেকে ৬৭৭নং বাড়ি বাঙালীর তীর্থস্থানে পরিণত হয়ে যায়। মিটিং মিছিলে বক্তৃতা দিয়ে এই কিছুক্ষণ আগেই নেতা মুজিব হয়ত দোতলায় উঠে এসেছেন, এমন সময় সামনের গেটের বাইরে আরেকটি মিছিল উপস্থিত। লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরিহিত বঙ্গবন্ধু নিরুপায়। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মেগাফোনে আবারও বক্তৃতা। কি আর করা! সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে সর্বদা সিরিয়াস বেগম মুজিব এবার ওপরে তিন তলায় আরও দুটি রুম বাড়াতে বাধ্য হন। পরীক্ষা কিংবা পড়াশোনার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছেলে-মেয়েরা এই তিন তলাতেই লেখাপড়া করে। পরে বড় ছেলে শেখ কামালের জন্য উত্তর পাশের রুমটি বরাদ্দ হয়।

নিচ তলার দক্ষিণ দিকের দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমে যে বড় রুমটি তা মূলত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অপেক্ষা, সাক্ষাত কিংবা ছোটখাটো সভার কাজে ব্যবহৃত হয়। বেগম মুজিব সত্যিই এক মহীয়সী, ধৈর্যশীল নারী। সকাল থেকে রাত অবধি সাক্ষাত প্রার্থী অতিথিদের যে স্রোত লেগে থাকে, এদের কেউ কিছু আপ্যায়ন ছাড়া যেতে পারে না। আর কিছু সম্ভব না হলেও অন্ততপক্ষে এক কাপ চা ও বিস্কুট পরিবেশন করা হয়। সম্ভবত, এই কারণেই এই কক্ষের উত্তর পাশেই রান্নাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গৃহ কর্মচারী রমা ও আব্দুল হিমশিম খায় নিচ তলায় চা-বিস্কুট জোগান দিতে। বড় এই রুমটির পূর্বপাশে বঙ্গবন্ধুর লাইব্রেরি। প্রায় প্রতিদিনই তিনি সময় করে কিছুক্ষণের জন্য হলেও এখানে বসেন। কার্ল মার্কস থেকে শুরু করে পবিত্র কোরানও এখানে আছে। নিচ তলার পশ্চিম পাশে ছোট ছোট তিনটি রুম যা বরাবরই ঢাকার বাইরে থেকে আসা দলীয় নেতা, কর্মী কিংবা টুঙ্গিপাড়ার আত্মীয়-অনাত্মীয়দের দখলে থাকে। অনেক সময় বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব বা তাদের ছেলে-মেয়েরাও জানে না কে কতদিন ধরে বাড়িতে আছে, খাচ্ছে। বেগম মুজিব সাধারণত নিজেই রান্না করে তৃপ্তি পান, সহযোগী হিসেবে আছে এক মহিলা। প্রতিদিন সকালে ও রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেতে পছন্দ করেন মুজিব দম্পতি। জীবনের সুন্দরতম সময়ে রাজনীতিক বাবা হিসেবে কারাগারে, মুক্ত অবস্থায় সাড়াটা দিন দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকলেও রাতে শেখ মুজিবকে ছেলে-মেয়েদের সাহচর্য আনন্দ ও শান্তি দেয়। সাড়ে তিন বাই সাড়ে তিন ফুট এর ডাইনিং টেবিল এর চারদিকে ছেলে মেয়ে, অনেক সময় ভাগ্নে-ভাস্তে, আত্মীয়স্বজন নিয়ে গাদাগাদি করে খাওয়া-দাওয়ায় দারুণ তৃপ্ত পিতা মুজিব। একটি খাটি বাঙালী মধ্যবিত্ত সুখী পরিবার তার।

এই ৩২ নং রোডের বাড়ি থেকেই আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত এবং দলীয় সভায় তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ৬ দফা প্রণয়নের পূর্বে বিশ^স্ত নেতা ও সুধীজনদের সঙ্গে তার সকল বৈঠক এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনের সকল কৌশল ও নির্দেশনা এখান থেকেই দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ২৫ মার্চ রাতে তাড়াহুড়া করে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সর্বশেষ শলাপরামর্শ এই বাড়ির তিন তলার দক্ষিণ দিকের রুমেই এবং গ্রেপ্তারের পূর্বে স্বাধীনতার ঘোষণা এই বাড়ি থেকেই দেয়া হয়েছিল। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িযে আছে এখন এই বাড়িটি।

এ বাড়িটির মালিক শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক শত্রুর শেষ নেই সেই ১৯৪৭ সাল থেকে। প্রতিদিনের পরিচিত অপরিচিত মানুষের আনাগোনা দেখে সহজেই অনুমেয় যে শত্রুর সঙ্গে বসবাস করলেও বাড়ির কর্তাব্যক্তি কিংবা কোন প্রাণীই নিরাপত্তার বিষয়টি কখনও আমলে নিচ্ছে না। ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু এই বাড়িতে ওঠেন। ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সুরক্ষিত গণভবন তার কার্যালয় হলেও একটি বেসামরিক আবাসিক এলাকায় এরূপ একটি সাধারণ বাড়িতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অথচ এই বাড়ির পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর দিকে রয়েছে সারি সারি অট্টালিকা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে রয়েছে তার আত্মিক সম্পর্ক, আর তাই তো তিন দিকের বাড়িতে যাতায়াতের জন্য রাখা হয়েছে পকেট গেট। বাড়ির দক্ষিণ দিকে ছয় ফুট দেয়ালের পরেই রাস্তা যা সর্ব সাধারণের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। রাস্তার দক্ষিণে পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত একশত গজ প্রশস্ত ধানম-ি লেক। লেকের পানিতে গোসল, মাছ ধরায় ব্যস্ত কত মানুষ। মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, জনতার মুজিব জনগণকে ছাড়া থাকবে কিভাবে? কিন্তু তারপরও তিনি সেই নেতা যার অঙ্গুলি হেলনে বাঙালীরা কেবল ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যদল নয়, পরাজিত করেছিল তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী চীন-মার্কিন অক্ষশক্তি এমনকি মধ্য প্রাচ্যের মুরব্বিদের। অথচ সেই নেতা ও সদ্য স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে আছে হাতেগোনা কয়েকজন এসবি ও পুলিশ। সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি নিরাপত্তায় আছে বলা হলেও কেউই নিশ্চিত নন যেÑ তাদের দায়িত্ব আসলে কি? সেনা অফিসার যিনি এই বাড়ির দায়িত্বে তার মতে সেরিমনিয়াল ডিউটিতে আছে আর্টিলারির মুজিব ব্যাটারি। সকালে ও বিকেলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নামানই সেনাবাহিনীর কাজ। এই সময়ে একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে সাতজন সৈনিক উপস্থিত থাকে। দায়িত্বরত সেনা অফিসার বিকেল বেলা চলে যান আজিমপুরে মামা বাড়িতে। বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে তখন কেবলই পুলিশের একডজন সাদা ও খাকি পোশাকধারী। অস্ত্রধারীর অস্ত্রের চেম্বারে একটি বুলেটও আছে কি-না সন্দেহ। সম্ভবত তা রাখা হয় আলমিরার ড্রয়ারে। অর্থাৎ ভিভিআইপির নিরাপত্তা অপেক্ষা বুলেট এর নিরাপত্তা নিয়ে তারা সতর্ক। এদের কারই যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেই, ভিভিআইপি নিরাপত্তার ওপর কোন প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা তো নেই-ই। নিরাপত্তা এলাকার ডেপথ বলতে যা বোঝায় তা এখানে নেই। ১৯৭২ সালে মুক্তির পর বিদেশী সাংবাদিকের বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রশ্ন ছিল ‘হোয়াট ইজ ইওর কোয়ালিফিকেশন?’ শিশুসুলভ বঙ্গবন্ধুর সহজ উত্তর ছিল ‘আই লাভ মাই পিপল’। আবারও প্রশ্ন ছিল হোয়াট ইজ ইওর ডিসকোয়ালিফিকেশন? এবার উত্তর ছিল ‘আই লাভ দেম টু মাচ’। ১৫ আগস্ট ৭৫ পরবর্তীকালে এই বাড়িটির প্রকৃত উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পিতা, মাতা ও ভাইয়েরা যখন এই বাড়িতে নৃশংসতার শিকার, তখন এই বাড়িতে বসবাসের কোন ইচ্ছেই আর তাদের নেই। জীবদ্দশায় যে পিতা দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেছিলেন বাংলার মানুষকে তিনি খুব বেশি ভালবাসেন, তার কথার প্রতি সম্মান ও বিশাল রেখেই শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ভগ্নিদ্বয় বঙ্গবন্ধু ভবন উৎসর্গ করেছেন তার বাংলার মানুষের জন্য। ৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ বাড়িটি এখন বাঙালীর আবেগ ও ভালবাসার ঠিকানা।

লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা
সৌজন্যেঃ জনকণ্ঠ 

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত