আঁধার ঘুচুক, পরশ থাকুক হৃদয় ভরাঃ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিচ্ছে ভারত

6028

Published on এপ্রিল 26, 2020
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভারতের প্রতিশ্রুত সহযোগিতার অংশ হিসেবে এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ আজ এই চালান হস্তান্তর করেন।

সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। চিকিত্সা সামগ্রীগুলি বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় ওষুধগুলো ভারত থেকে আনা হয়।

ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে ১৫ মার্চ ২০২০ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে তিনি প্রতিবেশি দেশসমুহকে এই সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এবং ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠন করেন। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান ২৫ মার্চ ২০২০ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, “সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই”। ভারতীয় হাই কমিশনার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

হাই কমিশন থেকে পাঠানো একটি পেস রিলিজে বলা হয়, 'বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।'

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত