দল গোছানোর কাজে বঙ্গবন্ধুর জেলায় জেলায় ভ্রমণ এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা

3969

Published on জুলাই 3, 2020
  • Details Image

শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবন গণনা করা হয়েছে। তিনি মোট ১৪ বছর জেল খেটেছেন। তার রাজনৈতিক ভ্রমণ কি গণনা করা হয়েছে? ওই ১৯৪০ সাল থেকে যখন তিনি তরুণ ছাত্রনেতা, মাত্র নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদান করেছেন তখন থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ঠিক কতশত মাইল ভ্রমণ করেছেন, এর কোনো হিসাব কি আছে? একজন মানুষ কতটা কর্মতৎপর হলে এমনটা হতে পারেন, তা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। আর এই কর্মতৎপরতা পুরোটাই দলের জন্য, রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য, সাধারণ মানুষের দুঃখ মোচনের জন্য। এ ভ্রমণের ছেদ পড়েছে প্রায়ই জেলে যাওয়ার জন্য। এক মামলা থেকে জামিন পাওয়ার পর পরই আরেকটি মামলায় জড়িয়ে পড়েন নতুন করে। আটকের কথা তার আত্মজীবনীতে বারবার উঠে এসেছে। এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারের বারবার বদলি করা হচ্ছে নয়া মামলা মোকাবিলা করার জন্য। আর এ জন্য তাকে নদীপথ, সড়কপথ ও রেলপথে প্রায়ই ভ্রমণ করতে হতো।

১৯৫২ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি শেখ মুজিব ঢাকা থেকে বরিশাল যান রাজনৈতিক প্রচারের কাজে। বরিশাল থেকে গোপালগঞ্জ আসেন আগস্ট মাসের প্রথম দিকে। গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর যান, মাদারীপুর থেকে ঢাকা আসেন আগস্টের ৭ তারিখ। ১৫ তারিখ তিনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। রংপুর, দিনাজপুর গাইবান্ধা, ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি দলের স্থানীয় কমিটিও গঠন করেন। অপেক্ষাকৃত তরুণ ও ছাত্রনেতাদের দলের স্থানীয় কমিটিতে যুক্ত করে পূর্ববাংলায় এক নয়া ধারার তারুণ্যনির্ভর সজিব রাজনীতি চর্চার সূচনা করেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সবাইকে এক করেন। বিভিন্ন জেলা থেকে গোয়েন্দারা তার কর্মতৎরতার খবর জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। কোথায় কোথায় গিয়ে তিনি কী কী বলেছেন, এর একটা সমন্বিত রিপোর্ট আছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের দুই নম্বর ভলিউমের ১৯৫২ সালের ২৩ আগস্টের ১৮১ নম্বর প্রতিবেদনে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বহু দেশ ঘুরেছেন, সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন। তার জীবন ও কর্মের ওপর ধারাবাহিক এ লেখায় সময়ও প্রয়োজনমতো সেসব আমরা কিছু নিশ্চয় উল্লেখ করব। আজ শুধু ১৯৫২ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ রাজনৈতিক সফর করেছিলেন, ওই এক মাসের ভ্রমণবৃত্তান্তের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং তালিকা উপস্থাপন করছি। এ থেকেই অনুমান করা যাবে তার অতুলনীয় সাংগঠনিক দক্ষতা ও ক্ষীপ্রতার বিষয়গুলো।

১৫.৮.৫২

সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট। শেখ মুজিবুর রহমান রংপুর রওনা হন। তার সঙ্গী হন অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সেক্রেটারি কামারুজ্জামান ও বাদশা মিয়া।

১৬.৮.৫২

দুপুর ২টায় তারা রংপুর পৌঁছান। স্টেশনে তাদের স্বাগত জানান শাহ আব্দুল বারী, মাসুদুল হক, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ফজলুর রহমান ও রংপুরের অন্যান্য নেতা। তারা রংপুর ডাকবাংলোয় গিয়ে ওঠেন। বিকালে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ২ হাজার লোকের উপস্থিতি দেখা যায়। বিকাল ৫.৪০ সভা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭.১৫ পর্যন্ত। শেখ মুজিব তার বক্তব্যে বলেন, ‘বক্তব্য শুরু করার আগে আমি মৌলভী খয়রাত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তিনি এখন জেলে। তার সঙ্গে আছেন মতিউর রহমান, সোবহান। আরও আছেন মওলানা ভাসানী। এই মুহূর্তে জননিরাত্তা আইনে প্রায় ৫০০ মানুষ জেলখানায় বন্দি। আমি আড়াই বছর জেল খেটে মাত্র আসলাম। আমাদের একমাত্র দোষ, আমরা আমাদের মানুষের জন্য খাদ্য ও বস্ত্র চাই। যে মুসলিম লীগ এখন দেশ চালাচ্ছে, তারা পাকিস্তানকে জাহান্নামে পরিণত করতে চাচ্ছে। আপনাদের হয়ে পাটের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার বিষয়ে আমি সরকারের সঙ্গে কথা বলব। ফারুক আর ইস্পাহানি জুট বোর্ড গঠন করেছে, কৃষকের সাথে যাদের কোনো সম্পর্কই নাই। তারা শুধু নিজেদের ব্যাংক-ব্যালান্স বাড়াচ্ছে। আমাদের পাটের ভালো বাজার ছিল, সেটি হারালাম কী করে? মুসলিম লীগ সরকারকে এই কৈফিয়ত দিতে হবে। আমেরিকা-ব্রিটেনে যদি পাটের বাজার না থাকে, তা হলে তারা অন্য দেশে বাজার খোঁজে না কেন? যদি আমরা পাটের ন্যায্যমূল্য না পাই, তা হলে সবারই ভোগান্তি হবে। আমাদের দাবি ছিল মণপ্রতি অন্তত ৩০ রুপি দিতে হবে। তারা ১৬ রুপি দিবে বলে ঠিক করেছিল। এখন সেই ১৬ রুপি দেওয়ার সামর্থ্যও তাদের নাই। তামাকের জন্যও তারা কিছুই করে নাই। শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে শেষ করে দিয়েছে। আর দুই মাসের মধ্যেই দুর্ভিক্ষ আসছে। আমরা অবশ্যই এর বিচার চাই। গরিবের ঘরে খাদ্য নাই, ওষুধ নাই। আর তাদের ট্যাক্সের অর্থ দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা খরচ করে হোটেল বানানো হচ্ছে। আমরা যখন এসবের প্রতিবাদ করি, তখন আমরা হই দেশদ্রোহী!’

১৭. ৮. ৫২

রংপুরের কিছু কর্মী নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান দিনাজপুরের ট্রেনে ওঠেন সকাল ৮.৩০ মিনিটে। ১০টা নাগাদই তারা দিনাজপুর পৌঁছে যান। ওঠেন গিয়ে তাজমহল হোটেলে। ৫.৫০-এ মিটিং করেন দিনাজপুর ইনস্টিটিউটে। আনুমানিক ৫০০ লোকের সমাগম হয়েছিল। এখানেও শেখ মুজিব আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছিলাম, পাকিস্তান পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতা মানে শুধু ক্ষমতার হাতবদল না। এর মানে জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি, যা আমরা পাই নাই। পাকিস্তানে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, গরিব আরও গরিব হচ্ছে’ (পৃষ্ঠা-৩২৩)। রাত ৯টায় তারা তাজমহল হোটেলে ফিরে আসেন এবং ১০টায় বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

১৮.৮.৫২

১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় শেখ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে বগুড়া এসে পৌঁছান। স্টেশনে তাদের স্বাগত জানান বগুড়ার আওয়ামী মুসলীম লীগের কর্মী, নেতৃবৃন্দ। বগুড়ার আওয়ামী মুসলীম লীগের কর্মী-নেতা আলীমুদ্দিন মুক্তিয়ারে বাড়িতে তারা ওঠেন। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে তারা এডওয়ার্ড পার্কে একটি সভা ডাকেন। সভার সভাপতি ছিলেন আলীমুদ্দিন মুক্তিয়ার। আনুমানিক পাঁচ হাজার মানুষ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেদিনের সভায় শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ করে শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘নেতারা ওয়াদা করেছিলেন বিনা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষার। কিন্তু কোথাও এর নজির দেখলাম না। শিক্ষকের অভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জননিরাপত্তা আইনের আওতায় ভালো ভালো অধ্যাপকদের আটক করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গরিব ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্যাক্সের বোঝা আর ধনী লোকদের ছেলেমেয়েদের দেওয়া হয়েছে নানান সুবিধা। মন্ত্রী ও বড় অফিসারদের ছেলেমেয়েদের জন্য ৭ লাখ রুপি ব্যয়ে স্কুল নির্মিত হয়েছে’ (গোয়েন্দা প্রতিবেদন, ভলিউম-২, পৃষ্ঠা-৩২৫)। এখানেও তিনি পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যবিবরণী ঠিক করে দেন। সভা থেকে ফিরে শেখ মুজিবুর রহমান রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘরে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করেন। তখন সেখানে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।

১৯.৮.৫২

সকালবেলাতেই শেখ মুজিবুর রহমান রংপুরের আবুল হুসাইনসহ অন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে ট্রেনে করে রাজশাহী রওনা হন। ১০টায় তারা রাজশাহী পৌঁছান। ওঠেন ডাকবাংলোয়। সারাদিন রাজশাহী শহরে কিছু জনসংযোগ করে রাতেও ডাকবাংলোয় ফিরে মিটিং করেন।

২০.৮.৫২

২০ আগস্ট বিকাল ৪টায় শেখ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে পাবনা রওনা হন। পৌঁছান রাত সাড়ে ৮টায়। ওঠেন গিয়ে মাজহারুল হকের শিবরামপুরের বাড়িতে। এর পর আব্দুস সবুর ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর বাড়িতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সাক্ষাৎ করেন। মনসুর আলীর সভাপতিত্বে পাবনা টাউন হলে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে আরও ছিলেন আতাউর রহমান, কামারুজ্জামান, আবুল হুসাইন, মাহমুদুল হক ও আবদুল মুকিম তালুকদার। ৫.৪০ মিনিটে সভা শুরু হয়। আনুুমানিক ২ হাজার লোকের জনসমাগম হয়।

২১.৮.৫২

দুপুর ২.৪৫ মিনিটে শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সি করে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈশ্বরদীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত সাড়ে ১১টায় তারা গন্তব্যে পৌঁছান। সেদিনই শেখ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে জগন্নাথগঞ্জ ডাউন ট্রেনে ঢাকা ফিরে আসেন রাত সাড়ে ১১টায়।

এত বিস্তৃত করে দিন-তারিখসহ তার উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের বৃত্তান্ত তুলে ধরলাম এ কারণে যে, তার রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা কতটা ক্ষীপ্র ও বিস্তৃত ছিল-এ বিষয়টি পাঠকদের বোঝানোর জন্য। কতটা নিবেদিত, নিরলস শ্রম তিনি দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারের আদায়ের জন্য! নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। সারাদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন খেয়ে, না খেয়ে। এই সভাগুলোর উদ্দেশ্য ছিল কর্মীদের একত্র করা, দলের ভিত্তি মজবুত করা এবং জনগণকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা।

সাপ্তাহিক ‘নও বেলাল’ পত্রিকায় ২১ আগস্ট বগুড়া প্রতিনিধি একটি প্রতিবেদন পাঠায়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখিত শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের ছমির উদ্দিন আহমদ সরকারের জননিরাপত্তা আইনের তীব্র প্রতিবাদ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে জীবন সংগ্রামই মানব ইতিহাসের মূল কাহিনী-মানুষের ধ্যান, ধারণা, সুখ, দুঃখ প্রভৃতির বিকাশ লাভের মূলে আছে এই জীবন সংগ্রাম। এই জীবন সংগ্রামের তাগিদেই মানুষ সরকারের নীতির সমালোচনা করে’ (ভলিউম-২, পৃষ্ঠা-৩৩৩)। এর পর পরই শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষিণবঙ্গে ভ্রমণের উদ্দেশে বেরিয়ে যান।

বরিশাল যাওয়ার আগে নওয়াবপুর থেকে একটি সাউন্ড স্পিকার ভাড়া করেন। তাও গোয়েন্দারা লিপিবদ্ধ করে রাখে। ৩০ আগস্টের প্রতিবেদনটি থেকে জানা গেছে, আগের রাতে (২৯-৩০ আগস্ট) শেখ মুজিবুর রহমান বরিশালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। একাই।

শেখ মুজিবুর রহমানের দক্ষিণবঙ্গ ভ্রমণের দিন-তারিখ আগেই সংরক্ষণ করে রেখেছিল গোয়েন্দা বিভাগ। বরিশাল-৩০ আগস্ট ১৯৫২/খুলনা-৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫২/যশোর-৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫২/কুষ্টিয়া-১০ সেপ্টেম্বর ১৯৫২/ফরিদপুর-১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫২।

উল্লেখ্য, পুনশ্চ স্মরণীয় যে, শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভ্রমণবৃত্তান্ত, দিন-তারিখ সব গোয়েন্দাদের সংরক্ষণ করা। তা প্রকাশিত হয়েছে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে। মোট ১৪টি খ-ে ভলিউমগুলো প্রকাশ করছে হাক্কানী পাবলিশার্স। ভলিউমগুলো সম্পাদনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচ্য ভ্রমণবৃত্তান্তের তথ্যগুলো ভলিউম-২ থেকে নেওয়া।

এসব প্রতিবেদন থেকেই উপলব্ধি করা যায়, একজন গণমানুষের নেতা কীভবে শিকড় থেকে বেড়ে উঠেছেন। জীবন সংগ্রামই যে মানব ইতিহাসের মূল কথা, ওই ভাবনাকে তিনি তার নিজের রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও একাগ্রতার আলোকে সারাজীবন মনের গভীরে বহন করেছেন। গভীর এ উপলব্ধিই তাকে এত বড়মাপের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বিকশিত হতে প্রেরণা জুগিয়েছে দিনের পর দিন। আর এ জন্যই তো তিনি হতে পেরেছিলেন জনগণের প্রিয় বঙ্গবন্ধু, আমাদের স্বপ্নের সম্রাট।

ড. আতিউর রহমান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত