১৯৭২ সালে প্রথম বিজয় দিবসের স্মারক ডাকটিকেট ও খাম

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার মুক্তিকামী মানুষ। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়। এদিন পাকহানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বীর বাঙালি আনন্দে মেতে ওঠে, চারদিকে বিজয় মিছিল বের...

জেনেভায় বঙ্গবন্ধু

ওয়ালিউর রহমানঃ ১৯৭২ সালে মার্চের শেষে জেনেভায় যাওয়ার আগে হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর একটি টেলিফোন পেলাম। তিনি বললেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের একটি ড্র্যাফট পাঠালাম, তুই একটু দেখতো। এই মহান মানুষটি সম্পর্কে যখন লিখতে যাই তখন কেমন জানি আনমনা হয়ে যাই। হারিয়ে যাই সেই অতীতের স্মৃতিতে। তখন চোখ দুটি অশ্রুতে ছল ছল করে ওঠে। এই মহান মানুষটিকে একনজর দেখার জন্য দূ...

আসলেন ফিরে ওই জনগণের ‘রাজা’

হায়দার মোহাম্মদ জিতু: কালের ইতিহাসে কোন কোন শাসকও যে জনগণের জন্যে কাতর-উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য সব ছেড়ে-ছুঁড়ে সংগ্রাম করেছেন তারই একখণ্ড উদাহরণ সফোক্লিসের ‘ঈদিপাস’ নাটক। যেখানে গ্রিক রাজা ঈদিপাস তার প্রাসাদ মুখে দাঁড়িয়ে দু’হাত প্রসারিত করে জনগণের দুর্দশাকে আলিঙ্গন করেছেন এবং তার থেকে উদ্ধারের পথ নির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছে...

জাতির পিতা- বাংলাদেশ

এম নজরুল ইসলামঃ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের পরও একাত্তরের বিজয় দিবসে বাঙালীর একটি শূন্যতা ছিল। স্বজন হারানো মানুষের প্রিয় নেতা, যিনি গোটা স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাঁর নির্দেশিত পথে গোটা জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তিনি পাকিস্তানের কারাগারে। দেশজুড়ে মানুষের প্রতীক্ষা, নেতা কখন ফিরবেন। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে সেই আকাক্সক্ষা পূরণ হলো আমাদের। নেতা ফিরে এলেন বাং...

মহানায়কের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন

আবদুর রহমানঃ আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে আজকের এই দিনে তিনি তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পরিপূর্ণতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্...

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

আলোর পথের যাত্রা

জাহাঙ্গীর আলম সরকারঃ আজ ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তান কারাগারে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশের মাটিতে এসে তিনি আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন। সশস্ত্র সংগ্রাম ও ...

১২ জানুয়ারি ১৯৭২ঃ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন বঙ্গবন্ধু

১২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে বিপুল করতালি, জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধু জিন্দাবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শপথ নেওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ১১ সদস্যের মন্ত্রিসভার নাম দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক ও অবিসংবাদিত নেতা, যার ওপর জনসাধারণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে...

মহামানবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

ড. মুনাজ আহমেদ নূর: বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির প্রেরণার উৎস। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের মধ্যরাতে ঢাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যখন হাজার হাজার বাঙালীকে হত্যা করে, ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাঙালী জাতিকে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষ...

জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : বিজয়ের পরিপূর্ণতা অর্জন

তোফায়েল আহমেদঃ বাঙালি জাতির জীবনে ১০ জানুয়ারি চিরস্মরণীয় অনন্য ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২-এর এ দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষ বিজয়ের পরিপূর্ণতা অর্জন করে। যদিও ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হয়। কিন্তু বাংলার মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। কারণ যাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ তিনি তখনো কারাগারের...

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ঃ বিজয়ী বাংলার সবুজে ফিরলেন মুক্তির মহানায়ক

বইছিল স্বাধীনতার সুবাতাস। শ্লোগানে মুখরিত চারদিক, আকাশ-বাতাস, জোর গলায় উচ্চারিত হচ্ছে, “জয় বাংলা”, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর জুড়ে যেন অনুরণিত হয়ে চলেছে, প্রতিধ্বনিতে একাকার হালকা শীতের আমেজময় সেই ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারী, ১৯৭২ সাল। বেলা দ্বিপ্রহরের পরপরই হাজার দশেকেরও বেশি সদ্য মুক্তির স্বাদ পাওয়া আবেগে উদ্বেলিত বাঙালি সেখানে জড়ো হয়েছিলেন, যদিও তার...

ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি বিএনপি ঘোষিত তথাকথিত বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র বিবৃতি

আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’-এর দিনে বিএনপি ঘোষিত তথাকথিত বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। আজ এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি বাঙালি জাতি রাষ্ট্...

বঙ্গবন্ধু মুক্ত: ৮ জানুয়ারি সবার চোখ ছিল লন্ডনে

দীর্ঘ ৯ মাস কারাবাসের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের ইচ্ছাতেই তাকে পাঠানো হয় লন্ডনে। এ খবরে বঙ্গবন্ধুর পরিবার, দেশের আপামর জনসাধারণ ও বিশ্ব নেতৃত্বসহ সবার চোখ ছিল তখন লন্ডনে। বঙ্গবন্ধু হিথ্রো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেও সেখানে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাননি। ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি দৈনিক বাংলার সংবাদ ব...

লন্ডনে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু: মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম আমি

৮ জানুয়ারি ১৯৭২। নয় মাসের বন্দিজীবন কাটিয়ে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান সরকার তাকে লন্ডন পাঠিয়ে দেয়। সেখানেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেন। হোটেল ক্ল্যারিজ'স এর লবিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, পাকিস্তানের কারাগারের কনডেম সেলে আমি যখন ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন ...

রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু ও আধুনিক শাসনব্যবস্থা

প্রফেসর এম কামরুজ্জামানঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন স্বার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি। মুজিবনগর সরকার, জাতির পিতার বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আওয়া...

আদর্শ বজায় রাখলে সংগঠনের মৃত্যু হয় না: বঙ্গবন্ধু

১৯৭২ সালের ২১ জুলাই ছাত্রলীগের ৩ দিনব্যাপী সম্মেলন শুরুর দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার বক্তৃতায় ছাত্রলীগের জন্ম ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে বাংলার সংগ্রামের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ছাত্রলীগের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা হয়েছিল। জনতার সঙ্গে একাত্মতা ও সংগ্রামী ঐতিহ্যের জন্য ছাত্রলীগের মৃত্যু ঘটেনি। অনুরূপভাবে আওয়ামী লীগ থেকে বহুবার বহু নেতা দলত্...

বঙ্গবন্ধুর সরকার পরিচালনা ১৯৭২-১৯৭৫

মুনতাসীর মামুনঃ একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের স্বপ্ন, বাংলাদেশে বসবাসকারী অনেকে দেখেছেন বহুদিন। অতীতে অনেকে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে চেয়েছেন, যদিও তারা বাঙালি ছিলেন না। গত শতকের গত ৪০ বছরেও অনেকে সে-ভূখণ্ডের কথা বলেছেন, ভারত ভাগ হওয়ার সময় সে-পরিকল্পনাও একবার হয়েছিল। গত শতকের ষাটের দশকে মওলানা ভাসানীও বাঙালিদের জন্য স্বাধীন ভূখণ্ডের কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবে সেই...

‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ বঙ্গবন্ধু, বিস্মিত গ্রামবাসী শোনালেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা

খুব হঠাৎ করে ঢাকার পাশের একটি গ্রামে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাওয়ার আগে কাউকে জানাননি বলেই তিনি সেখানকার সঠিক চিত্র দেখতে পেয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল ডেইলি অবজারভারের প্রথম পাতায় এই খবরটি প্রকাশিত হয়। গ্রামবাসী নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। তারা কী স্বপ্ন দেখছে! সবার চোখে মুখে বিস্ময়। অন্য কেউ না, তাদের সামনে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু।...

সমৃদ্ধির পথে কোনও শর্টকাট রাস্তা আমার জানা নেই: বঙ্গবন্ধু

শতাব্দী শোষণের সমস্যা আমাদের সামনে। এর সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং আরও আত্মত্যাগের প্রস্তুতি থাকতে হবে। তাহলেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি রচিত হবে। ভবিষ্যৎ বংশধরদের শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ নিশ্চিত হবে। সমৃদ্ধির পথে কোনও শর্টকাট রাস্তা আমার জানা নেই। ১৯৭২ সালের মে দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাল বাহিনীর এক জনসভায় এসব কথা বলেন। তিনি সমাজতন্ত্রের শত্রুদের রুখে দাঁড়...

১২ জানুয়ারি ১৯৭২: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন বঙ্গবন্ধু

১২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে বিপুল করতালি, জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধু জিন্দাবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শপথ নেওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ১১ সদস্যের মন্ত্রিসভার নাম দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক ও অবিসংবাদিত নেতা, যার ওপর জনসাধারণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে...