গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন সজীব ওয়াজেদ

২৫ মার্চ 'অপারেশন সার্চ লাইট' নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন সজীব ওয়াজেদ। স্বাধীনতা দিবসে করা এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার একটি এই ঘটনা (২৫ মার্চ)। এটির পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়নি, যা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থনকারী বিশ্বশক্তির বিবেকের এক স্পষ্ট ব্যর্থতা। তি...

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসঃ ভয়াল কালরাত্রির গণহত্যা

মানব ইতিহাসের অন্যতম বর্বর নিষ্ঠুরতম গণহত্যার একটি রাত। একাত্তরের ২৫শে মার্চের সেই রাত। গভীর রাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে হঠাৎই ট্যাংকের গর্জন শুনতে পায় শহরবাসী। পাখির ডাক নয়, বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ জনসাধারণ জেগে ওঠে অনবরত গোলাগুলির শব্দে। বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম এবং বৃহত্তম এক গণহত্যার সূচনা হয় এভাবেই, যা পরিচালনা করেছিল তৎকালীন পাকিস্তানের সাম...

২৫ মার্চে গণহত্যা হয়েছিল-এটিই বাস্তবতা

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকার ২৫শে মার্চের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য ২০১৯ সালে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিবর্গ এই গণহত্যার সার্বজনীন স্বীকৃতি আদায়ে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেছেন। এছাড়াও, গণহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ কাউন্সেলর-অ্যাডামা দেইং ২০১৯ সালের ২৪ শে মার্চ আমাদের মাননীয় ...

পাকিস্তানকে গণহত্যা ও যুদ্ধের দায় শোধ করতে হবে

প্রধানত দুটি কারণে পাকিস্তান দায় এড়াতে পারবে না। প্রথমত, এই যুদ্ধে স্পষ্টতই পাকিস্তান আগ্রাসী রাষ্ট্র। কারণ সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে তারাই প্রথম যুদ্ধ ঘোষণা এবং শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলি এবং আক্রমণকারী দখলদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশ স্বাধীন করি। দ্বিতীয়ত, বিনা উসকানিতে হাজার হাজার গ্রামগঞ্জে নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং ত...

ছয় দফা এবং ২৫ মার্চের কালরাত

অধ্যাপক রশীদুল হাসানঃ ১৯৬৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি, তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও এম মনসুর আলী সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত আরটিসি সম্মেলনে শেখ মুজিব বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব শেখ মুজিব ও আওয়ামী লী...

২৫শে মার্চ, ‘গণহত্যা দিবস’, ইতিহাসের দায় মুক্তি

শিরিন আখতারঃ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব। এই একটি শব্দে জাতি খুঁজে পায় তার শেকড়ের সন্ধান। বাংলাদেশের ইতিহাস স্মরণ করতে গেলে হাজার বছরের স্বাধীনতার সংগ্রামের বিভিন্ন খণ্ডিত ইতিহাস আমাদের কাছে স্মরণযোগ্য। এই সব কিছু ছাপিয়ে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ মূর্ত করেছে আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা। আর এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গড়ে উঠেছে আমাদের ভাষার অধিকার ও স্বাধীন স্বায়ত্বশাসন...

একাত্তরের জেনোসাইডকে স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জেনোসাইড ওয়াচ’

একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জেনোসাইড ওয়াচ’। বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের ওই বর্বরতার ৫০ বছর পূর্তিতে জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গ্রেগরী এইচ স্ট্যানটন বৃহম্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দেন। পাকিস্তানিদের শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ...

পাকিস্তানের ক্ষমা না চাওয়ার ৫০ বছর

খন্দকার হাবীব আহসানঃ বাংলাদেশে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের সাথে চলছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মহোৎসব।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের আগমনে উৎসবটি জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নতুন মাত্রায় আনন্দের ঢেউ তুলেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব আগামীর সময়ে এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তোলারই ইঙ্গিত দেয়। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর প...

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি

ড. প্রণব কুমার পান্ডেঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম কারণ একাত্তরের এই মাসে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা স্বাধীনতা যুদ্ধে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসকের চক্রান্তের মুখে আমাদের স্বাধীনতার কূটনৈতিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একনায়ক ভীত হয়ে পড়েছিল ...

২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’

২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্বিচারে চালায় বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যকে সা...

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ :ফার্মগেটে প্রতিরোধের প্রথম ব্যারিকেড

আসাদুজ্জামান খান কামালঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালিদের যে ঐক্যবদ্ধ লড়াই ছিল; তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা অর্জন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৫২-র অধিকারের আন্দোলন থেকে ’৬৬-র স্বাধীকারের আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি ধাপে ধাপে আন্দোলন করে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদের নির্ব...

ভাসান চরে উন্নত জীবন পেয়ে রোহিঙ্গাদের মুখে হাসি

অনেক উন্নত দেশের শরণার্থীর তুলনায় রোহিঙ্গারা ভাসান চরে বেশ ভালো জীবনযাপন করছে। উন্নত বিশ্বের শরণার্থীরাও যেসব সুযোগ-সুবিধা পায় না, সেসব সুবিধাও বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট যেসব রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তে ভিড় করেছিল, মানবিক কারণে তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।...

১৯৭১, ভোলার ওয়াপদা কলোনি-খেয়াঘাট গণহত্যা

মোহাম্মদ আরিফুল হকঃ একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলার মাটিতে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা ছিল বিংশ শতাব্দীর নৃশংসতম গণহত্যা। পাকবাহিনীর পরিকল্পিত এ গণহত্যায় প্রাণ দিয়েছিল ৩০ লাখের অধিক মানুষ। সম্ভ্রম হারিয়েছিল ৫ লক্ষাধিক মা-বোন। ২৫ মার্চের গভীর রাতে ঘুমন্ত বাঙালীদের নিধনের মাধ্যমে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এ হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, দ্বীপাঞ্চল ভোলাতেও এর ব্যত্য...

১৯৭১, রাজশাহীর যোগীশো ও পালশা গণহত্যা

সাব্বির মাহমুদ রাবাতঃ ১৬ মে, ১৯৭১। ভোর বেলা। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ৬টি ভ্যান রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যোগীশো গ্রামে পৌঁছায়। গ্রামে মিলিটারি প্রবেশ করেছে খবর পেয়ে পুরো জনপদ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিশেষত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সকলেই পরিবারসহ পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে আত্মগোপন করে। পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আগত রাজাকার ও তাদের সহযোগীগণও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ...

গণহত্যার দিকে এগিয়ে গেল শ্বাপদরাঃ শান্তা মারিয়া

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলার বুকে যে গণহত্যা হয়েছিল, তা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন। তখনো তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়নি। তার আগে পর্যন্ত বলা চলে পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান একই দেশ ছিল। সেই হিসেবে নিজ দেশের বেসামরিক ঘুমন্ত নগরবাসীর ওপর সেনাবাহিনীর এভাবে নির্বিচারে এত ব্যাপক গণহত্যা চালানোর নজির আর কোনো দেশে নেই। ইয়াহিয়া ও পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং জুলফিক...

গণহত্যার নীলনকশা চূড়ান্ত

তোফায়েল আহমেদঃ লাগাতার চলা অসহযোগ আন্দোলনের ২০তম দিবস আজ অতিবাহিত হয়। ১৯৭১-এর ২১ মার্চের এ দিনটি ছিল রোববার। যেসব অফিস খোলা রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেগুলো ছাড়া আর সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অসহযোগ কর্মসূচি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই পালিত হয়। যথারীতি আজও রাজধানীর সব সরকারি-বেসরকারি বাসভবন এবং যানবাহনগুলোয় ক...

১৯৭১, রাজশাহীর হরিপুর গণহত্যা

মোহাম্মদ আরিফুল হকঃ একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নারকীয় গণহত্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ^ মানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যায় প্রাণ দিতে হয়েছিল ৩০ লাখের অধিক মানুষকে। ধর্ষণ আর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল ৫ লাখেরও বেশি মা-বোনকে। ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো রাজশাহীতেও নিরীহ জন...

১৯৭১, খুলনার দেয়ারা গণহত্যা

মো. রোকনুজ্জামান বাবুলঃ ১৯৭১ এর আগস্ট মাস। সারাদেশের ন্যায় দালাল রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজছে। এমনই একটি দিন আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ। মাত্রই দিনের আলো ফুটতে শুরু করেছে। এমনই সময় খুলনা জেলার দেয়ারা গ্রামে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানী সেনাদের নিয়ে হামলা করে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা খালিশপুরের পিপলস্ জুট মিলের খেয়াঘাট পার হয়ে...

গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী

আরিফ রহমানঃ দিনটি ছিল মঙ্গলবার। হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় আনুমানিক ভোর পাঁচটায় বাগবাটী গ্রাম ঘেরাও করে। গাড়ির শব্দে পাহারারত যুবকরা গ্রামবাসীদের সতর্ক করার আগেই এক শ’ পাকসেনা গ্রামে ঢুকে পড়ে তিন ভাগে অভিযান চালায়। একটি গ্রুপ হত্যা চালায়, একটি গ্রুপ ধর্ষণ করে, আরেকটি গ্রুপ পুরো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় রাজাকারর...

১৯৭১, রংপুরের হাতিয়া গণহত্যা

মোহাম্মদ আরিফুল হকঃ ‘সবুজ পূর্ব পাকিস্তানকে লাল রঙে রাঙাতে হবে’ রাও ফরমান আলীর এই আদেশই হয়তো বাংলা ভাষাভাষীকে সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অপরাধের বলিতে পরিণত করেছিল। উত্তাল একাত্তরের ১৩ নবেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে এক নারকীয় গণহত্যার শিকার হয়েছিল বর্তমান রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার অন্তর্গত হাতিয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।...