সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহার: অনন্য উচ্চতায় বঙ্গবন্ধু

ড. জেবউননেছা: ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারে নীতি গ্রহণ করেন। তারপরও কেউ কেউ নানা অজুহাতে সরকারি নথি ইংরেজি ভাষায় লিপিবদ্ধ করতেন। বঙ্গবন্ধু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারি দাফতরিক কাজে রাষ্ট্রভাষা বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সর্বশেষ নির্দেশনা জারি করেন ১২ মার্চ, ১৯৭৫। গণভবন হতে ৭২১/১ (৪০০) নং প্রজ্ঞাপন উল্লেখ করা হয় &lsquo...

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

ড. মুহাম্মদ সামাদ: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আমাদের ভাষা শহিদ ও বাংলা ভাষার মানুষের জন্যে সত্যিই এক অহংকারের ইতিহাস। এই অহংকারের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহী বাংলাদেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মের কাছে দীর্ঘ সময় ধরে খণ্ডিততভাবে উপস্থাপন ক...

ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবের তেজস্বী অবদানের ঐতিহাসিক ধারাক্রম

১৯৪৭ সালের আগস্টে অখণ্ড ভারতবর্ষ ভেঙে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টির সময় পূর্ব-বাংলা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়। ইংরেজদের ষড়যন্ত্রের কারণে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক বৈষম্য থেকে রক্ষা পেয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য পাকিস্তানে যোগদান যে ভয়াবহ ভুল ছিল, তা অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারে বাঙালি জাতি। দেশভাগের পরপরই আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বাংলা ভাষাকে নিশ্চি...

ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে বার বার কারাবরণ করতে হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের জন্য বারবার কারাবরণ করলেও তার অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, সেই অবদানটুকু কিন্তু মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। অনেক বিজ্ঞজন, আমি কারো নাম বলতে চাই না, চিনি তো সবাইকে। অনেকে বলেছেন, ওনার আবার কী অবদান ছিল? উনি তো...

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা

হীরেন পণ্ডিত: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মর্মে-মর্মে রাজনীতিবিদ হয়েও ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর দর্শন বহন করতেন। যা ফুটে উঠতো তার বিভিন্ন বক্তব্য। এমনি এমনি তো তিনি রাজনীতির কবি হয়ে ওঠেননি। তাঁর লেখা ও বক্তৃতায়ও লোকভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের বিস্ময়কর সার্থকতা লক্ষ্য করা যায়। এর সর্বোৎকৃষ্ট উদারহরণ হলো ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি। ১৯৭০ সালের স...

শেখ হাসিনাঃ অগ্রযাত্রার অগ্রদূত

বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটেছে যার নেতৃত্বে, সেই মহান মানুষটির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ দুই যুগের সংগ্রাম শেষে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর বাঙালি। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে পড়ে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই রণাঙ্গণ। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে, ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের ব...

আমার নেতা বঙ্গবন্ধু

আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক: মাত্র ৫৫ বছরের জীবন ছিল তাঁর। নিষ্ঠাবান কর্মী থেকে তিনি হয়েছিলেন রাজনীতির মহাকবি। রচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহাকাব্য। যাঁর জন্মের সাথে জড়িয়ে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তিনি মহান নেতা, মহান শিক্ষক, মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি পাকিস্তান সৃষ্টিলগ্ন থেকেই চিন্তা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের কথা। যে পাকিস্তানের সৃষ্টির জন্য তিনি ...

বহ্নিমান শোকের ১৫ আগস্ট

আব্দুর রহমান: শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক সরদার ফজলুল করিম বলেছিলেন, "শেখ মুজিবকে আমরা ঈর্ষা করেছি আমাদের অতিক্রম করে বড় হওয়াতে। সবদিকে বড়। তেজে, সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায় এবং দুর্বলতায়, সবদিকে এবং সেই ঈর্ষা থেকেই আমরা তাঁকে হত্যা করেছি। কেবল এই কথাটি বুঝিনি যে, ঈর্ষায় পীড়িত হয়ে ঈর্ষিতের স্থান দখল করা যায় না। তাইতো এই ভূখণ্ডে মুজিবের স্থায়ী অবস্থান মধ্যগগনে এবং তাঁর ন...

বঙ্গবন্ধুর দাফনের অজানা গল্প

কাওসার রহমানঃ  মৌলভী শেখ আবদুল হালিম মর্মান্তক সংবাদটা শোনেন ১৫ আগষ্ট সকালে রেডিওতে। রেডিওতে ঘোষণা করা হয়, স্বৈরাচারী শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘোষণা শুনে সমগ্র দেশবাসীর মতো তিনিও স্তম্ভিত হয়ে যান। হতভম্ব হয়ে পড়েন, তার কাছে মনে হয় এ যেন অবিশ্বাস্য ঘটনা। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই বিষাদ মাখা কোন অনাকাক্ষিত ইস্যু। পরদিন (১৬ আগষ্ট) দুপুর ১২টার সং...

ইতিহাসের অনন্য পুরুষ

এম নজরুল ইসলামঃ শ্রাবণের শেষরাত ছিল সেটা। সে রাতে কি বৃষ্টি হয়েছিল? সে রাতে কি কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল আকাশের চাঁদ? জোছনাকে কি গ্রাস করেছিল রাহুর অশুভ ছায়া? কেমন ছিল সে রাতের প্রকৃতি? আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যেমন সূর্য ওঠে, তেমনি কি সেদিনের সূর্য একটি সম্ভাবনার কথা বলেছিল? নাকি এক স্বপ্নভঙ্গের বিস্ময়-বেদনা নিয়ে শুরু হয়েছিল আমাদের দিন? আমরা কেউ কি ভাবতে ...

জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭...

১৫ আগস্ট কালরাতে শহীদ হয়েছিলেন যারা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর এ হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়। ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুন্নেছা মুজিব ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরও ২৬ জন। এদের মধ্যে যারা রয়েছেন: শেখ কামালবঙ্গবন্ধুর বড় ছেলেজন্ম: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৫ই ...

বঙ্গমাতা: বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অতন্দ্র প্রহরী

শেখ ফজিলাতুন নেছা, ডাক নাম রেণু। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে রেণু নামেই অসংখ্যবার সম্বোধন করেছেন তাকে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠাঙ্গিনী, তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে সদাব্যস্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সংসারের প্রাণভোমরা এই বাঙালি গৃহবধূ ক্রমেই হয়ে উঠেছেন জাতিকে স্বস্তির ছায়াদানকারী আঁচলধারিণী। তিনি যেমন একহাতে নিজের সংসার সামলেছেন, ত...

আওয়ামী লীগের হাত ধরে বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তা অর্জন

১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল এর কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কেনার মাধ্যমে নিজস্ব জ্বালানী উৎপাদন শুরু করে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে জ্বালানী নিরাপত্তা অর্জনের দিকে এগিয়ে যায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ। মাত্র ৬ দিন পরেই আততায়ীদের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু, আর থেমে যায় অগ্রগতি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার...

জ্বালানি নিরাপত্তা: বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান

ড. সেলিম মাহমুদঃ ৯ আগস্ট। জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মৃত্যুর মাত্র ছয় দিন পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই দিন তিনি জাতীয় স্বার্থে দেশের বৃহৎ পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র— তিতাস, বাখরাবাদ, রশীদপুর, কৈলাসটিলা ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রভাবশা...

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার করেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতা হত্যাকান্ড ইতিহাসের একটি কলংকজনক অধ্যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাঁদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আপনজন হিসেবে বাবাকে যেজন্য তাঁরা কাছে পাননি সেই বাঙ্গালিদের হাতেই কেন জাতির পিতাকে জীবন দিতে হলো সে প্রশ্নের উত্তর আজো খুঁজে ফেরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ...

সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি

নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বর্ষাকাল যেনো এক আশীর্বাদ। বর্ষার বারিধারায় বহমান পলিতে উর্বর হয়ে ওঠা জমিনেই ফলে সারা বছরের ফসল। অর্ধশতাব্দী আগের কথা বলছি। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সময়টা ১৯৭১ সাল, বাঙালি জাতির চূড়ান্ত প্রসববেদনার কাল। ১৯৭১-এর বসন্তকালে পাকিস্তানি জান্তাদের গুলির শব্দে ঢাকা পড়েছিল কোকিলের কুহু তান, বাঙালির বুকের তাজা রক্তে রক্তিম রাজপথ...

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ

হীরেন পণ্ডিতঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার নেতৃত্বেই শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে দেশ এগিয়ে গেছে।  তার সেই চিন্তায় ডিজিটাল বাংলাদেশের বিকশিত রূপটি এখন আমরা দৈনন্দিন জীবনে উপভোগ করছি। প্রাণঘাতী ব্যাধির চিকিৎসা থেকে শুরু করে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাই...

সজীব ওয়াজেদ জয় : ব্যক্তিগত সীমা ছাড়িয়ে

এম নজরুল ইসলামঃ অন্তরে যাঁর দেশমাতৃকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্রত, তিনি যেকোনো বাধাকেই তুচ্ছ জ্ঞান করে এগিয়ে যেতে পারেন। ইসক্রা থেকে যেমন জ্বলে ওঠে মশাল, তেমনি আজকের দিনের তারুণ্যই আগামী দিনের নেতৃত্বের পথটি দেখিয়ে দিতে পারেন। যেমন দেখিয়ে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। উত্তরাধিকার সূত্রেই এখন রাজনীতির মঞ্চে তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার টেনে নিয়ে যাওয়...

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ছয় দফা ছিল ম্যাগনা কার্টাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর উত্থাপিত ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক দলিল ‘ম্যাগনা কার্টা’। এটি দেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণকে প্রস্তুত করেছিল। তিনি বলেন, ‘ছয় দফা দাবি ছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণকে পুরোপুরি প্রস্তুত করা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পক্ষে জনগণকে প্রস্তুত করা। শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল ‘ম্যা...