ওই মহামানব আসে

2652

Published on মার্চ 17, 2020
  • Details Image

আবদুল মান্নান

বেঁচে থাকলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বছরের ১৭ মার্চ একশতম জন্মবার্ষিকী পালন করতেন। তিনি হয়তো করতেন না, কারণ জীবদ্দশায় তিনি কখনও জন্মদিন পালন করেননি। একাত্তরের উত্তাল মার্চের এই দিনে এক বিদেশি সাংবাদিক তাঁকে বলেছিলেন আজ তো আপনার জন্মদিন। জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি তো জন্মদিন পালন করি না। স্বাধীনতার পর ১৭ মার্চ প্রচলিত অর্থে জন্মদিন পালন না করে দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন, যেমনটি ভালোবাসেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু প্রথম চার সন্তানকে শিশু হিসেবে খুব কাছে পাননি। কারণ, তাদের শিশু অবস্থায় হয় তিনি কারাগারে ছিলেন অথবা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বাইরে ছিলেন। দ্বিতীয় সন্তান শেখ কামাল তো একবার বড় বোন শেখ হাসিনার কাছে আবদার করেছিলেন তাঁর বাবাকে বাবা বলে ডাকার। তা শুনে বঙ্গবন্ধু শেখ কামালকে বলেছিলেন, ‘আমি তো তোমারও বাবা’। দেশ স্বাধীন হলে দেখা যায় তাঁর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে তিনি যথেষ্ট সময় দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যখনই দেশে অথবা দেশের বাইরে তিনি ভ্রমণ করেছেন, শেখ রাসেলকে তিনি সঙ্গে নিয়ে গেছেন।

আজ বাংলার এই অকৃত্রিম বন্ধু আমাদের মাঝে নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাঁকে আমাদের মাঝ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর ২১ বছর সরকারিভাবে তাঁর নাম মুখে আনা অপরাধ বলে গণ্য করা হতো। সেই মানুষটির জন্মদিন আজ, ‘মুজিববর্ষ’-এর প্রথম দিন হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে দিনটি অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করার জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। ঢাকায় আসার কথা ছিল বিশ্ববরেণ্য অনেক সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান ও মান্যবর অতিথিদের। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। অতিথিরা সশরীরে হাজির না থাকলেও ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে কথা রয়েছে। বছরব্যাপী নায়কের জন্মশতবর্ষ পালন করার ব্যবস্থা সম্ভব হয়েছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে বলে। সেই কন্যাটি যাতে এই মহানায়কের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারেন তার জন্য তাঁকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের দোয়া আর আল্লাহর ইচ্ছায় বেঁচে গেছেন তিনি।

কয়েক বছর আগে বিবিসি’র এক জরিপে বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে। জরিপে অংশ নিয়েছিলেন বিবিসি’র সাধারণ শ্রোতারা। এটি ২০০৪ সালের কথা, যখন বাংলাদেশ বেগম জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় শাসনের অধীনে। সেই জরিপে বাংলাদেশ ভারতসহ সারাবিশ্বের বাঙালিরা অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বিএনপিপন্থী সুশীল সমাজের অনেক পণ্ডিতজন এই জরিপের সমালোচনা করেছিলেন এই বলে, রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বেছে নেওয়া কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই জরিপে কবিগুরুর স্থান হয়েছিল দ্বিতীয় আর বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার অবস্থান হয়েছিল তালিকার শেষ ব্যক্তি হিসেবে,২০তম। রবীন্দ্রনাথ প্রথম না হওয়ায় যারা আহত হয়েছিলেন তাদের বক্তব্য ছিল, যিনি বিশ্বকবি তিনি কেন এই তালিকার শীর্ষে নেই? তার জবাবে আমি একটি জাতীয় দৈনিকে লিখেছিলাম রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি তা ঠিক, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে হয়তো কোনও একসময় আর একজন কবির আবির্ভাব হতে পারে, যিনিও নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হবেন,নন্দিত হবেন দেশে বিদেশে, বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিতও হতে পারেন। তা হয়তো হতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু একজন বাঙালি আজীবন সংগ্রাম করে, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বাঙালিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তেমনটি ঘটার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। সেই অসম্ভব কাজটি যিনি করেছেন তিনি শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু,বাংলার বন্ধু।

শেখ মুজিব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বটে তবে তিনি বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে একজন এবং একমাত্র মহানায়ক। কারণ, তিনি আজীবন বাঙালিকে শুধু মুক্তির স্বপ্নই দেখাননি, তাদের শোষক আর বিদেশি প্রভুদের হাত হতে মুক্ত করে গেছেন, নিজের একটি পৃথক জাতিসত্তার জন্ম দিয়ে গেছেন। বাঙালির ইতিহাসে তেমনটি আর কেউ আসেনি। আর একজন বাঙালি,নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, তবে তা বাঙালির জন্য নয়, তিনি সারা ভারতবাসীর স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। তিনি তা করতে পারেননি। বলতে হয়, ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই দু’জন বাঙালিকে সিডনি প্রবাসী কলামিস্ট ও আমার সাবেক ছাত্র অজয় দাসগুপ্ত তুলনা করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন ‘বিশ শতকের ত্রিশের দশকে একজন বাঙালি বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো’। চার দশক পর আর একজন বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। প্রথমজন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। ভারতীয় অবাঙালি শীর্ষ নেতাদের অনেকে তাঁর কথা মানতে পারেননি। কংগ্রেসের নেতৃত্ব পাওয়ার ভোট পেলেও নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি। রাগে হোক ক্ষোভে হোক, ভিন্ন পথে যাওয়ার কারণে হোক, হারিয়ে গেলেন অন্তরালে। এমন নিঃসঙ্গ ঝড়ো পাখি বাঙালির সাহসের সঙ্গে বেমানান। রবীন্দ্রনাথ ‘তাসের দেশ’ উৎসর্গ করেছিলেন তাঁকে। সারা ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে ঋষি অরবিন্দ ও তাঁর মতো পড়াশোনা জানা বাঙালি বিরল। ছিলেন একজন পুরো আধুনিক এবং অসাধারণ সাহসী। যা করতে চেয়েছিলেন তা পারেননি। সাহসের অভাব কখনও বাঙালির হয়নি আমাদের ইতিহাস তার সাক্ষী। সেই ইতিহাসের বরপুত্র আরেকজন শেখ মুজিব, যিনি বাংলার বন্ধু,আমাদের প্রিয় জাতির পিতা। তাঁর নাম শুনলেই এখনও যেন বুকের তলায় শিহরণ জাগে। অজান্তেই মাথা নুয়ে আসে বাঙালির (অজয় দাসগুপ্তের উদ্ধৃতি থেকে)। সেই অমিত তেজের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একশতম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

খুঁজলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের অনেক বৈশিষ্ট্য হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু তাঁর দুটি বৈশিষ্ট্য তাঁকে অন্যদের কাজ থেকে পৃথক করেছে, যে কারণে তিনি বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের মহানায়ক হতে পেরেছেন। প্রথমটা হচ্ছে অন্যায় দেখলে তার প্রতিবাদ করা আর দ্বিতীয়টি সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঙালিকে মুক্ত করা। স্কুলে পড়ার সময়ই শেখ মুজিব মনে করতেন ‘ইংরেজদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই’, কারণ তারা এ দেশের মানুষকে শোষণ করতেই পারঙ্গম। তখন সারা ভারতবর্ষে স্বদেশি আন্দোলন চলছে। মুজিব সেই আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চরিত্র যে একগুঁয়েমি স্বভাবের ছিল তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। পেছন ফিরে তাকালে বলতে হয়, তাঁর একগুঁয়েমি স্বভাবই তাঁকে পূর্ববাংলার স্বার্থে আপসহীন নেতা হতে সহায়তা করেছিল। শেখ মুজিবের প্রতিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তাঁর গোপালগঞ্জে বাল্য ও কিশোর জীবনেও দেখা গিয়েছিল। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-তে তিনি লিখেছেন, একদিন সন্ধ্যায় ...আমাকে খন্দকার শামসুল হক ওরফে বাসু মিয়া মোক্তার সাহেব (পরে মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন) ডেকে বললেন, মালেককে হিন্দু মহাসভা সভাপতি সুরেন ব্যানার্জির বাড়িতে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। যদি পার একবার যাও। তোমার ওদের সাথে বন্ধুত্ব আছে বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আস। আমি ... ওদের ওখানে যাই এবং অনুরোধ করি ওকে ছেড়ে দিতে। রমাপদ দত্ত নামে এক ভদ্রলোক আমাকে দেখেই গাল দিয়ে বসল। আমিও তার কথার প্রতিবাদ করলাম এবং আমার দলের (শেখ মুজিবের অনুসারীদের) খবর দিতে বললাম। তিনজন পুলিশ এসে হাজির হয়ে গিয়েছে। আমি বললাম, ‘ওকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে কেড়ে নেব’। ...এর মধ্যেই আমাদের সাথে মারপিট শুরু হয়ে গেছে । দুই পক্ষে ভীষণ মারপিট হয়। আমরা দরজা ভেঙে মালেককে কেড়ে নিয়ে চলে আসি।’ কিশোর শেখ মুজিব গোপালগঞ্জের যে স্কুলে পড়তেন সেখানে রেওয়াজ ছিল মুসলমান আর নিম্নবর্ণের হিন্দুরা ক্লাসের পেছনের সিটে বসবে। এমন একটা ব্যবস্থা মানতে পারেন না মুজিব। ভাঙলেন বহুদিনের প্রথা। একদিন বসে পড়লেন সামনের বেঞ্চে। সেই চরিত্র তিনি আজীবন লালন করেছেন।

ভারতবর্ষ থেকে শোষক ইংরেজদের তাড়াতে হবে, দেশ স্বাধীন করতে হবে, এমন রাজনীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেলেন তরুণ শেখ মুজিব। নেতা মানলেন নেতাজি সুভাষ বসু,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী,এ কে ফজলুল হক,আবুল হাশিম, শরৎ বসু,আবদুস সালাম আর মোহন মিয়াকে। ১৯৪৩ সালে যোগ দিলেন মুসলিম লীগেই। লক্ষ্য একটাই। ভারত থেকে ইংরেজদের তাড়াতে হবে। মনে করলেন পাকিস্তান সৃষ্টি হলে বিশাল দরিদ্র মুসলমান জনগোষ্ঠী হিন্দু জমিদার আর মহাজনদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবে। পাকিস্তান সৃষ্টি হলে সেই ভুল ভেঙে গেলো অচিরেই, যখন তিনি দেখলেন পাকিস্তান সৃষ্টির ফলে শুধু প্রভুর পরিবর্তন হয়েছে। ইংরেজ, হিন্দু জমিদার আর মহাজনদের পরিবর্তে জায়গা দখল করেছে পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও ভারতের বিহার থেকে আসা পুঁজিপতি আর ধনিক শ্রেণি। যেই পাকিস্তান সৃষ্টি করার জন্য একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে রাজপথে তিনি লড়াই করেছেন, আর যে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুজিব প্রতিবাদ করবেন তাই তো প্রত্যাশিত। প্রতিবাদ করতে হলে প্রয়োজন সংগঠন। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (পরে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছিল)। ১৯৪৯ সালে তার ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হলো পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে আওয়ামী লীগ)। পাকিস্তানের পরবর্তী ২৩ বছরে এই আওয়ামী লীগই বাংলা ও বাঙালির মুক্তির একমাত্র আস্থার সংগঠন ছিল। যাত্রা শুরু করেছিল মাওলানা ভাসানী,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে। ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে নেতৃত্ব চলে আসে বঙ্গবন্ধুর হাতে। আওয়ামী লীগের প্রধান হতে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ৭০-এর নির্বাচনের পর বাঙালি জাতির মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখতেন বাঙালির একটি পৃথক আবাসভূমির, যে আবাসভূমিতে বাঙালি নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হবে। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি কমপক্ষে দু’বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, পাকিস্তানের ২৩ বছরে জেল খেটেছেন ১৩ বছর কিন্তু কখনও আপস করেননি। বাঙালির ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে সব সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর নির্ভর করেছেন,রোমান্টিক বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করেননি। শেষে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির জন্য একটি নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন সাড়ে তিন বছর। এই সাড়ে তিন বছরে তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে হাঁটতে শিখিয়েছেন। দেশ যখন চলতে শুরু করেছে তখন ঘাকতরা তাঁকে হত্যা করে। কারণ, তারা তাঁর স্বপ্নের সঙ্গে কখনও খাপ খাওয়াতে পারেনি,তারা আজীবন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে নিজেদের প্রভু হিসেবে দেখতে পছন্দ করতেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও ঘাতকরা তাঁর স্বপ্নকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাই তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন। এখন বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তা দেখে ও স্বীকার করে। গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা যখন যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-মাওয়া পথে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করছিলেন, তখন কার না গর্ব হবে হবে? দেশের এসব উন্নয়নের জন্যই তো ৩০ লক্ষ মানুষ একাত্তরে নিজের জীবন দিয়েছিলেন। ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ বা স্বপ্নকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি। বাঙালির রাজনীতির ইতিহাসে মহানায়ক একজনই ছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাঙালির ইতিহাসে চিরদিন তাঁর নাম অক্ষয় হয়ে থাকুক এই প্রত্যাশা রইলো। নায়কের প্রতি সশ্রদ্ধ অভিবাদন। জয় বাংলা।

লেখক: সদস্য, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় ও বাস্তবায়ন কমিটি

সৌজন্যেঃ বাংলা ট্রিবিউন (১৭ মার্চ, ২০২০)

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত