বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ নৌপথে যাত্রী পরিবহন

1119

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নৌপথে যাত্রী পরিবহন
১. নৌপথে যাত্রীবাহী পরিবহন স্টেশনে জরুরী পরিকল্পনা তৈরী করতে হবে। নিরাপত্তা এবং জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে । সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে।
২. কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে এবং তাদেরর স্বাস্থ্য অবস্থা প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করতে হবে। যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের যথা সময়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
৩. স্টেশনে আগত এবং নির্গত যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য ফেরি টার্মিনালে তাপমাত্রা নির্ধারক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে বা ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যথাযথ শর্তাবলী মেনে ফেরি টার্মিনালে একটি জরুরী এলাকা (61191939170 8168) থাকতে হবে। যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩০ সেঃ-এর উপরে থাকবে তাদের ওই জরুরী এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
৪. বায়ু নির্গমন পদ্ধতি যেন স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নৌ চলাচলের সময়ে সর্বোচ্চ বায়ু চলাচল করতে দিতে হবে। যথাযথ তাপমাত্রায় বায়ু চলাচলের জন্য কেবিনের জানালা খুলে রাখতে হবে।
৫. ফেরি টার্মিনাল গুলোতে জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলোকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণের হার বাড়াতে হবে। টয়লেট গুলোতে তরল সাবান (অথবা সাবান) থাকতে হবে। সম্ভব হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত জীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে।
৬. ফেরি টার্মিনাল এবং নৌযানগুলোকে তাদের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আবর্জনা যথাসময়ে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানসমূহকে পরিষ্কার করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশক দিতে হবে।
৭. প্রতিটি নৌযানে হাতে-ধরা থার্মোমিটার থাকতে হবে। যথাযথ স্থানে একটি জরুরী এলাকা স্থাপন করতে হবে যেখানে সন্দেহজনক উপসর্গ (যেমন জ্বর ও কাশি) আছে এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
৮. নৌযানের অভ্যন্তরীণ তথ্য কেন্দ্র বা সেবা কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে। সেবা প্রক্রিয়া নিখুঁত হতে হবে এবং খাদ্য সরবরাহ সহজ করতে হবে।
৯. প্রতিবার নৌযান ছেড়ে যাবার পূর্বে কেবিন এবং ব্রীজের পৃষ্ঠতল পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জনগণের জন্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন সিটগুলোকে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সিট কভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
১০. যাত্রীদের এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে
১১. যাত্রীদের অনলাইনে টিকেট ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দিতে হবে। সারিবদ্ধভাবে উঠার সময়ে এবং নেমে যাবার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে।
১২. ফেরি টার্মিনাল ও নৌযানে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।
১৩. যুক্তিসঙ্গত ভাবে পরিবহনের ধারণক্ষমতা সজ্জিত করতে হবে এবং সীমিত আকারে টিকিট বিক্রয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেসব নৌযান মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা হতে ছেড়ে যাবে অথবা পৌঁছাবে অথবা এ এলাকা দিয়ে যাবে সেসব ক্ষেত্রে যাত্রীদের কে আলাদা সিটে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ এর রোগী পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে টার্মিনালগুলোকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত