বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ নির্মাণ শিল্প

1066

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নির্মাণ শিল্প

কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল

১. বন্ধ অবস্থা থেকে কাজ শুরু করার আগে প্রতিরক্ষামূলক সরবরাহ যেমন মাস্ক, লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ, জীবাণুনাশক, স্পর্শ-বিহীন থার্মোমিটার সংগ্রহ করুন। জরুরী কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করুন।
২. প্রতিদিন কাজের আগে এবং পরে কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিন। যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গগুলি দেখা দিবে তাদের স্ক্রিনিং ও সময়মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
৩. অফিস অঞ্চল, অভ্যন্তরীণ সরকারী কার্যকলাপের অঞ্চল এবং কর্মীদের কার্যক্ষেত্রের বায়ু চলাচলকে জোরদার করুন। কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রকের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করুন। সতেজ বায়ু বৃদ্ধি করুন এবং সমস্ত বায়ু সিস্টেমের ফিরতি বায়ু বন্ধ করুন।
৪. পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রতিদিন আবর্জনা পরিষ্কার করুন এবং আবর্জনা অপসারণের সময় সিল লাগানো পরিবহন ব্যবহার করুন।
৫. পাবলিক টয়লেটগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ সরবরাহ করুন।
৬. স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখুন। হাতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য আচরণের প্রচার বৃদ্ধি করুন। হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে নিন।
৭. বাসস্থান,অফিস অঞ্চল এবং নির্মাণ অঞ্চলগুলোর পরিবেশ পরিষ্কার করা জোরদার করুন।
৮. বারবার ব্যবহৃত হয় এমন বস্তু যেমন লিফটের বোতাম, দরজার হাতল পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণে জোর দিন।
৯. সুশঙ্খলভাবে কাজ করে ফিরে আসার জন্য কর্মীদের জন্য "পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট" বাস বা নির্ধারিত বাস ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করুন। মারাত্মক মহামারী ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলি থেকে ফিরে আসা কর্মচারীদের ট্র্যাকিং এবং এই জাতীয় কর্মচারীদের স্বাস্থ্য এবং সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও তাদের জন্য পরিসেবা সরবরাহের ব্যবস্থা বৃদ্ধি করুন।
১০. কাজের প্রক্রিয়াটির সংযোগ অনুকূল করুন। নির্মাণ জায়গায় বিভিন্ন দলের কর্মীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করুন এবং কর্মীদের জড়ো হওয়া থেকে বিরত করুন। নির্মাণ প্রক্রিয়াটিকে অনুকুল করুন এবং সঠিকভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।
১১. ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন। অন্যের সাথে কাছাকাছি অবস্থানে থাকাকালীন মাস্ক পরিধান করুন।
১২. ক্যান্টিনের রান্নার পাত্র এবং থালাবাসন সঠিকভাবে জীবাণুযুক্ত করুন। পৃথকভাবে দূরে বসে খাবার গ্রহণ করুন।
১৩. জরুরী ক্ষেত্র স্থাপন করুন। কেউ সন্দেহভাজন হলে সময় মতো জরুরী স্থানে তাদের সাময়িকভাবে কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ এবং চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করুন।
১৪. যদি একটি নিশ্চিত কেস পাওয়া যায় তবে জীবাণুনাশক একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান দ্বারা জীবাণুমুক্ত করুন।

মধ্যম এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা

১৫. উপরের ১৪টি নিয়ম ছাড়াও নীচের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৬. একটা আলাদা ব্যবস্থাপনার জায়গা ঠিক করতে হবে যাতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে বক্স আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়, যাতে করে সরাসরি সংস্পর্শ ছাড়াই কাজ চলতে পারে। আর যেসব জায়গায় স্বংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার সম্ভব নয় তা আলাদা করে ফেলতে হবে।
১৭. নমনীয় কর্মঘন্টা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত