বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ শিশু যত্ন কেন্দ্র

1084

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শিশু যত্ন কেন্দ্র

১. মাস্ক, হাত ধোয়ার তরল সাবান / লিকুইড সাবান, জীবাণুনাশক, ডিজিটাল থার্মোমিটার ও অন্যান্য মহামারী প্রতিরোধক প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণে রাখতে হবে। যে কোনো ইমারজেন্সি পরিস্থিতিতে করণীয় সুত্রবদ্ধ করে রাখতে হবে। কর্মী ও শিশুশালা পরিচালক / পরিচালিকার দায়িত্ববোধের সত্ত্বীকে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস থাকতে হবে এবং প্রশিক্ষণ জোরদার করতে হবে।
২. শিশু, কর্মী এবং শিশুশালা পরিচালক / পরিচালিকা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবে। নিয়মিত সকালে ও বিকালে নির্দিষ্ট সময়ে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে এবং “ডেইলি রিপোর্ট”, “জিরো রিপোর্ট" সিস্টেম প্রবর্তন করতে হবে।
৩. কর্মচারী, শিশুশালা পরিচালক / পরিচালিকা, শিশু এবং প্রবেশপথে আগত সকলের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে। কারো তাপমাত্রা বেশি পাওয়া গেলে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা।
৪. বিভিন্ন জায়গায় যেমন কাজ করার ও অবস্থানের জায়গায় বায়ু চলাচলের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের ক্ষেত্রে পরিশুদ্ধ বায়ু চলাচল ও বায়ু নির্গমনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. পাবলিক টয়লেট, বারবার স্পর্শ করা হয় এমন জায়গা যেমন দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং ও খেলাধুলার সামগ্রী ইত্যাদি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
৬. খাবারের আগে ও পরে খাবারে ব্যবহৃত থালা / বাটি, গ্লাস ইত্যাদি ভালভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সম্ভব হলে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা খাদ্য সামগ্রী অথবা ডিসপোজেবল খাদ্য সামগ্রী বা ওয়ান টাইম প্লেট / গ্লাস-এর ব্যবস্থা করা উত্তম।
৭. আবর্জনা বাছাই করা এবং সময়মত আবর্জনা অপসারণ করা সম্পর্কে উপযুক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। অপসারণের পর আবর্জনা রাখার পাত্র অথবা ডাস্টবিন ভালভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৮. খুব বেশি ভিড় করে গ্রুপভিত্তিক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. হাত পরিক্ষারের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন লিকুইড জীবাণুমুক্তকরণ সাবান অথবা ক্ষারযুক্ত সাবান সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে হবে।
১০. কর্মচারী, শিশুশালা পরিচালক / পরিচালিকা অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবে এবং হাঁচি-কাশির সময় কনুইয়ের ভাঁজে অথবা টিস্যু ব্যবহার করবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার বিনে ফেলবে।
১১. কোন কর্মচারীর যদি সন্দেহজনক কোন উপসর্গ যেমন জ্বর, শুকনা কাশি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায় তবে তৎক্ষণাৎ তার কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। অন্যান্যদের সংস্পর্শ থেকে তাকে দূরে রাখতে হবে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. যদি কোন শিশুর সন্দেহজনক উপসর্গ যেমন জ্বর, শুকনা কাশি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায় তৎক্ষণাৎ তাকে কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে। তার বাবা-মাকে জানাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩. একটি ইমারজেন্সি ইউনিট অথবা কক্ষ অথবা এলাকার ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। যদি কোন কর্মচারী, শিশুশালা পরিচালক / পরিচালিকা অথবা শিশুর মাঝে কোভিড-১৯-এর সন্দেহজনক উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় তবে তৎক্ষণাৎ তাকে ইমারজেন্সি কক্ষে স্থানান্তর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪. নিশ্চিতভাবে কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত করা গেলে উক্ত এলাকার এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থাগুলো গাইডলাইন অনুযায়ী পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত চালু করা যাবেনা।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত