বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার শঙ্কা নেই: আইএমএফ

780

Published on নভেম্বর 10, 2022
  • Details Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ বলেছেন, গেল ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার শঙ্কা নেই। বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৪ জুলাই ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। ঋণ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি আইএমএফ প্রতিনিধিদল ২৬ অক্টোবর ঢাকায় আসে।

সংবাদ সম্মেলনে রাহুল আনন্দ বলেন, বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি। তিনি বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে জোরালো পুনরুদ্ধার হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তা ব্যাহত হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও দ্রুত কমে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে। যদিও এসব প্রতিকূলতা বাংলাদেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো সংকট রয়ে গেছে।

রাহুল আনন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও হুমকিতে রয়েছে। ২০৩১ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে মধ্য-আয়ের দেশে উন্নীত হতে অবকাঠামো সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে ও জলবায়ু স্থিতিশীলতা আনতে হবে বাংলাদেশকে।

এর আগে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, কঠিন কোনো শর্ত ছাড়াই বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যেভাবে আমরা চেয়েছিলাম, আইএমএফ সেভাবেই আমাদের ঋণ দিচ্ছে। আইএমএফের ঋণ আমরা পেতে যাচ্ছি ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আইএমএফ মিশন জানিয়েছে, তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের সব আনুষ্ঠানিকতা ও চূড়ান্ত বোর্ড অনুমোদন সম্পন্ন হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, মোট ঋণের পরিমাণ হবে ৩ দশমিক ৪৬৮ বিলিয়ন এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস)। যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাত কিস্তিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ আসবে। এ ঋণ মোট সাত কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ আইএমএফ প্রথম কিস্তি ৩৫২.৩৫ মিলিয়ন এসডিআর অর্থ ছাড় করতে পারবে বলে আশা করছি। বাকি ঋণ প্রতি ছয় মাস অন্তর ৫১৯ মিলিয়ন এসডিআর হিসেবে ছয়টি সমান কিস্তিতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত