বিএনপি: অবিশ্বাসের ক্যান্সারে আক্রান্ত একটি রাজনৈতিক দল

810

Published on জানুয়ারি 31, 2023
  • Details Image

মুনেম শাহারিয়ার মুনঃ

ইনডেমনিটি, কারফিউ, ইমার্জেন্সি, বন্দুকের নল, উন্নয়ন বলতে খালকাটা, সিরিজ বোমা হামলা, জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দেখা, অল ডে লং লোডশেডিং, অগ্নি সন্ত্রাসের গডফাদার, এতিম ফান্ড, লন্ডন পলাতক আসামী, টেক ব্যাক বাংলাদেশ, এম্বাসির করিডোরে অপেক্ষমান ভিক্ষুক ইত্যাদি। এইসব শব্দের সমাহার দেখলেই একজন নাগরিক বুঝে যায় সর্বনাশের স্বপ্নে-মেশা বিষের হাঁড়িতে, মনের উনুনে হাঁ-হুতাশের আন্দোলন রান্না করছে এমন একটি দেউলিয়া দল! যার নাম বিএনপি!

‘বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের জন্যে যে লড়াই, প্রচলিত সমাজের নিয়ম আর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে মানুষের আদিমতম যে টিকে থাকার লড়াই, তারই বহিঃপ্রকাশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।‘এই মুক্তির সংগ্রামের বিশ্ব-বুকে বাঙালি জাতির আপন আলোয় স্বনিয়ন্ত্রানাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম-আধুনিক রাজনীতিমনস্ক অন্তহীন-প্রেরণা নাম এবং ইতিহাসের পাতায় শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখানো একজন পরিপূর্ণ আর্কিটেক্ট ছিলেন বাঙালি জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর স্পষ্ট ও বিকল্পহীন উপলব্ধি, তাঁর দৃঢ়তা ও দৃপ্ত ঘোষণা, সুচারু পরিকল্পনা, পরিকল্পনা মাফিক ধারাবাহিক কর্মসূচী, তাঁর লড়াই সংগ্রামের স্তরে স্তরে প্রথিত সংকল্পের বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট রচনা, সবশেষে দেশ ও জাতির জন্যে তাঁর চূড়ান্ত আত্মদানের মাধ্যমেই বাঙালি জাতি পেয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র "বাংলাদেশ"।

জাতির পিতা সমগ্র ইতিহাসে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় আত্ম প্রয়োগের এক আশ্চর্য দৃষ্টান্ত। আর তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের অন্যতম মদদ দানকারী খুনী হচ্ছে বি.এন.পি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। একজন সামরিক অফিসারের বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল, নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষনা, একই সাথে সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রপতি থাকা, হ্যাঁ/না ভোট, সামরিক শাসনের ঘেরা রাজনীতি, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উস্কানি, ক্যু'র অভিযোগে শত শত সৈনিক হত্যা, ইনডেমনিটির মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা, খুনি হিসেবে খুনিদের সুরক্ষা দেয়া, বিদেশে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করা এসব ডার্টি ওয়ার্ক যার হাতে হয়েছে তিনি হচ্ছেন কুল হেডেড মার্ডারার জিয়া!

১৯৭৭ সালের ৩০ মে একাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে সামরিক বিধিবিধান বা বাংলাদেশ আর্মি এক্ট ২৯২ ও ২৯৩ তে সুস্পষ্ট উল্লেখিত যে বিধান আছে সেটি বুটের তলায় পিষ্ট করেন। (সামরিক বাহিনীর কোন সদস্য চাকুরীর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।) শুধু এই বিধিবিধানই ভঙ্গ করেন নাই, ১৭৭৮ সালে ২৮ এপ্রিল খুনী জিয়া একই সাথে রাষ্ট্রপতি এবং সামরিক বাহিনীর প্রধান থাকার জন্য ফরমান জারি করেন। আইয়ুব, ইয়াহিয়া কায়দায় বাংলাদেশকে স্বাধীন না হতে দেয়া এবং জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে 'টেক ব্যাক পাকিস্তান' অবস্থায় নিয়ে যাওয়াই ছিলো যার মূলমন্ত্র!

এই হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলের জন্মের ইতিবৃত্ত!

তরুণ প্রজন্মের সন্তান হিসেবে শুধুমাত্র বিএনপির (২০০১-২০০৬) শোষণ আমলের স্মৃতিতে ফিরে গেলে বোমা-বারুদের গন্ধ এবং রক্তস্নাত বাংলাদেশের স্মৃতি সবার আগে ভেসে উঠে। একদিকে '৭১ এর মত করেই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত এবং তাদের দোসরেরা পুনরায় ধর্মের লেবাসী চাদরের নিচে জন্ম নেয়া রগকাটা শিবিরকে লেলিয়ে দিয়ে মানুষ মারার উৎসবে মেতে উঠে অন্যদিকে রক্ষাকবচ হিসেবে খালেদা জিয়া ও তার কুপুত্র মিলে দেশটাকে জঙ্গিবাদের এক উর্বর চারণ ভূমিতে পরিণত করে ফেলে। ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর, বিভাজিত, সাম্প্রদায়িক চেতনায় মগ্ন, মানবতা বিবর্জিত, তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী শিক্ষায় শিক্ষিতকরণ, লুটপাট-দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়া একটি বিচ্ছিন্ন ব-দ্বীপ হিসেবে তৈরি করাই যেনো তাদের রাজনৈতিক ইশতেহার ছিলো।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা সব সময়ই মনে করেছেন, তরুণ প্রজন্মদের ভাবনা চিন্তার বিনিয়োগ আমাদের উত্তরোত্তর সাফল্যের ওপেন-সিক্রেট চাবিকাঠি! তাই তো, 'তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের উন্নতি'- এটাই ছিল আওয়ামীলীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার।
আমরা এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের অনন্য সোনালি সুযোগের মোক্ষম সময়ে অবস্থান করছি। কেননা, বাংলাদেশে বর্তমানে তরুণের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৩০%। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগামী ৩০ বছর জুড়ে তরুণ বা উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। ২০৩০ সাল যেমন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আন্তর্জাতিক বছর। তেমনি বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ডের অনন্য সোনালি সুযোগের মোক্ষম সময়ে অবস্থান করছে। ২০৩০ সাল যেমন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আন্তর্জাতিক বছর। আবার সেই বছরটিই আমাদের সর্বোচ্চ কর্মক্ষম মানুষের দেশ (১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের মানুষ) বা সর্বনিম্ন নির্ভরশীল মানুষের দেশ হওয়ার বছর। এই একটি গোল্ডেন অপোরচুনিটি ফর বাংলাদেশ। আর এই গোল্ডেন অপোরচুনিটিকে কাজে লাগানোর জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে 'ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।

'৭৫ সালে বেঁচে যাওয়া জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার জন্য নির্বিচারে আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তখন- কোন রাষ্ট্র নায়ককে ভালোবেসে গ্রেনেড হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য দলের নেতা-কর্মীরা মানব ঢাল তৈরি হয়েছে কি না তা আমার জানা নাই। কোন রাষ্ট্র নায়ক কে ভালোবেসে রাজপথ জনসমুদ্রে পরিণত হয় কি না তাও আমার জানা নাই !

এই ভালোবাসার বাংলাদেশে বি.এন.পি-জামায়াত জোট যখন মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য হায়েনার মত মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে অকাতরে পুরো দেশটাকে বার্ণ ইউনিটে পরিণত করেছিলো সে সময় বঙ্গবন্ধু তনয়া পোড়া মানুষের আর্তনাদ সহ্য করতে না পেরে তৈরি করলেন বিশ্বের সব থেকে বড় বার্ণ ইউনিট!

‘স্মৃতির দক্ষিণ দুয়ার‘ প্রবন্ধে আওয়ামীলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা এই আটষট্টি হাজার গ্রামকে যেভাবে ধারন করেছেন,গ্রাম বাংলার উন্নয়নকে যেভাবে দেখেছেন সেটি প্রকাশ পেয়েছে প্রবন্ধে; তিনি প্রবন্ধে লিখেছেন –”গ্রামের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বলতে আমি কোনো ছিটেফোঁটা বা সাময়িক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী নই।যুগ যুগ ধরে অন্ধকারে পড়ে থাকা পশ্চাৎপদ জীবনযাত্রার অভ্যস্ত প্রাচীন কৃষি-ব্যবস্থার প্রচলিত ধ্যান-ধারণার সামগ্রিক সংস্কার করে আধুনিক গ্রাম গড়ে তুলতে হবে।আমি কোনো অনুদানমূলক বা প্রতিশ্রুতপূর্ণ উন্নয়ন নয়, টোটাল বা সামগ্রিক’ উন্নয়ন চাই!"

অপর দিকে বিএনপির ভাবনা হিসেবে আমরা দেখি গ্রাম কিংবা শহর কোনটিরই উন্নয়ন নয়, 'টোটাল' বা 'সামগ্রিক' উন্নয়ন চাই শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র 'হাওয়া ভবন' এর!

আওয়ামীলীগ যখন বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কে মুভ ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের সাফল্যের মাইল ফলকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি অন্তঃসারশূন্য 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' থিওরির ফতোয়া দিচ্ছে।

আওয়ামীলীগ যখন জনগণকে দেয়া ইশতেহার দৃশ্যমান অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে তখন বিএনপি ফেরারি আসামীর মদদপুষ্ট হয়ে 'ঈদের পর আন্দোলনের' ভ্রান্তি থেকে কিছুটা এগিয়ে তারিখ ভিত্তিক আন্দোলনের অবস্থায় উন্নীত হয়ে বরাবরের মত ব্যতীক্রমহীনভাবেই জনগণ দ্বারা প্রত্যাখানের নিরন্তর পথ চলা অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি আসলে সর্বনাশের স্বপ্নে-মেশা বিষের হাঁড়িতে, মনের উনুনে হাঁ-হুতাশের আন্দোলন রান্না করছে। কিন্তু তারা জানে না যে, তারা স্বপ্নের ভেতরে জেগে আছে। যারা স্বপ্নে জেগে থাকে তারা বাস্তব আর স্বপ্নকে আলাদা করতে পারে না।

গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামাতে এবং দেশবিক্রি তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করবার আন্দোলনে সৃষ্টিলগ্নের প্রান্ত থেকে যখন বিএনপি বরাবরই ইনডেমনিটি, কার্ফু, এমার্জেন্সি,

বন্দুকের নল, সিরিজ বোমা হামলা, জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে শুধুমাত্র মানুষ মারাকে ক্ষমতায় যাবার একমাত্র পথ হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। বিপরীতে, স্বাধীনতা বিনির্মাণের আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশের আশার দ্বীপশিখা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আন্দোলনের কেন্দ্রে থেকে জনগণকে সাহস যুগিয়েছেন। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লড়াইয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বমঞ্চে।

বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে অন্ধকার থেকে সৃষ্টি 'রাষ্ট্রের বোঝা' হিসেবে রেখে যাওয়া অশিক্ষিত, অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানব সম্পদ হিসেবে দেখেছেন। ১২ ঘন্টা লোডশেডিং, সার এবং বিদ্যুতের দাবিতে কৃষকের উপর গুলি চালিয়ে যাওয়া পাকিস্তানি চরিত্রের প্রদর্শনী বাঙালি জাতি প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশেও।

আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজকের বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

বি.এন.পি নামক দলটির প্রতি আপামরজনসাধারণের গভীর মৌলিক অনাস্থা সবসময়ই অনুতাপের পরিসীমা জুড়ে ছিলো। রাজনীতি যে একটি পিপলস ম্যান্ডেড তৈরি করার প্রক্রিয়া; এই কথাটা বি.এন.পি কখনোই বিশ্বাস করে নি। রাজনৈতিকভাবে কোন অচমকপ্রদ, অবান্তর এবং মিথ্যে গুজব তৈরি করে বাজারজাতকরণ করলে সাময়িক 'টি.আর.পি' বাচক হালকা জনসমর্থন হয়তো পাওয়া যায় কিন্তু এমন কদর্য খুনের রক্তে ভেজা রাজনৈতিক সন্ত্রাসী ঐতিহ্য নিয়ে পিপলস ম্যান্ডেড তৈরি করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়!

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণে বলেছিলেন,”আমি ভিক্ষুকের নেতা হতে চাই না”। জনকের সেই অমৃত বাণীকে মনে রেখে শেখ হাসিনা নতুন এক জাগ্রত ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণ করেছেন !

তিনি এই দেশের ভুখা-নাঙ্গা,দরিদ্র পীড়িত মানুষের মানচিত্র আঁকতে চাননি, চেয়েছেন নিজস্ব চেতনার রঙে অনুভবের মহত্তম কালিতে আঁকিয়ে তোলা বাংলাদেশ !
আঁকিয়েছেন তো!

"উদ্ভট উটের পিঠে নয়; সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ!"

বিলাপঘরে বসে মৌলবাদী জামায়াতকে সাথে নিয়ে বি.এন.পি অস্তিত্ব বিলীনের প্রহর গুনবে, আর অনির্বাণ মুক্তির ইশতেহার নিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে বিশ্ব পরিমন্ডলে একটি রোল মডেল রাষ্ট্র হিসেবে।

লেখকঃ সাধারণ সম্পাদক, স্যার এ.এফ.রহমান হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত