লোকদেখানো মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

267

Published on মার্চ 26, 2024
  • Details Image

বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। কোনো জাতির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শরিক থাকা, সামান্যতম অবদান রাখতে পারা যে কোনো ব্যক্তির জন্য গর্বের ব্যাপার। আমাদের গৌরবের জায়গা হলো এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একটি জাতিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সব ধরনের ব্যবস্থাই নিয়েছিল পাকিস্তাানিরা। এ কারণেই তারা দেশের শ্রমজীবী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। যারা বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছিলো বাঙালি জাতি কীভাবে তাদের পরাজিত করেছিল তার সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য।গণতান্ত্রিক যে চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মানুষ আজ সেই সুফল ভোগ করছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এমন উদ্যোগ লোকদেখানো ও ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয় মনে করেন এদশের সচেতন মহল। মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগকেই তাদের আদর্শিক দল মনে করে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের যথযথ মল্যায়নের সময় এসেছে বলেও তারা মনে করেন।

বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা পাশ কাটিয়ে নানান গোঁজামিলের সংজ্ঞা ও নির্দেশিকার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি রাজাকারদেরও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেয়ার অপরিণামদর্শি কার্যকলাপের দায় আমাদের সকলকে বহন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে প্রায় ত্রিশটি জাতীয়করণকৃত লাভজনক বিশাল বিশাল শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ন্যস্ত করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ঢাকার চিড়িয়াখানা পাশে কয়েক একর জমি বরাদ্দ রেখেছিলেন।

সামরিক বাহিনী, বিডিআর, জাতীয় রক্ষীবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ সিভিল প্রশাসনে বেশকিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাকে পুনর্বাসন করেছেন। তিনি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% কোটাও প্রবর্তন করেন। অপরদিকে এক বিরাট সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। অবশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধারাও বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় আর্থিক অসহায়ত্ততা অনুধাবন করে কোনো কিছু দাবি না করে, জাতির পিতার উপদেশ অনুযায়ী যে যার অবস্থানে ফিরে যান। তবে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের শৌর্য ত্যাগ ও বীরত্বকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় গণ্য করে তাদেরকে আদর করে 'আমার সোনার ছেলে' ও 'আমার লালঘোড়া' অভিধায় আখ্যায়িত করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভবিষ্যতে তাঁর আরো অনেক পরিকল্পনা ছিলো যার সব কিছুই আমরা জানি।

১৯৭৫ সালের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পালাবদলে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অবস্থান নিয়ে জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা-নিজামী সরকার প্রায় আড়াই যুগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোই মূল্যায়ন করেননি। আদর্শ ও চেতনাগত দিক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারাও সেসব সরকারের নিকট থেকে কিছু আশাও করেননি। ২৩ জুন ১৯৯৬ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে একটু অন্ন তুলে দিয়েছেন সম্মানী দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারাও স্বস্তি পেয়ে আজ নিজেদের সম্মানের সাথে প্রকাশ করতে পারছেন। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে 'বীর' অভিধা প্রদান করায় বঙ্গবন্ধু-কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ পালন করেছে বিএনপি। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাঙালি জাতির ৫৩ বছরের অর্জন-মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ কোনো ভুল নয়। এটি শুধু একটি অনৈতিক কাজই নয় বরং একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগ, দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশ প্রেম ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির একটি অনন্য দিন।

মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আমরা যে মুক্তির পথে যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেই যাত্রা পথকে রুদ্ধ করে দিয়ে আবারও পাকিস্তানী ভাবধারায় ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার প্রমাণ আমরা পাই যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, জয়বাংলা নিষিদ্ধ হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা নিধন করা হয়েছিল।
সশস্ত্র বাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল, সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছিল।

আলবদর, রাজাকার, আল শামসের প্রধানদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল, যারা এই দেশটাকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করতে লিপ্ত ছিল, যারা যুদ্ধাপরাধ করেছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের নিয়ে তারা ক্ষমতায় বসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা নিধন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিপূর্ণভাবে বিকৃত করে ফেলা হয়েছে, বাকশালকে একদলীয় শাসনের অপবাদ দিয়ে বহুদলীয় শাসনের নামে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করা হয়েছিল। একজন অবৈধ ক্ষমতা দখলদারের পকেট থেকে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টায় ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গিলিয়ে বিভিন্ন দল থেকে ছুটে আসা লোকজন, মানুষের অধিকারকে নিয়ে খেলায় মেতে উঠে।

আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি তার ভাষার অধিকার পেয়েছে, স্বাধীনতা পেয়েছে, বাঙালি গণতন্ত্র পেয়েছে, আজ বাঙালি উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পেয়েছে, বাঙালি তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আর দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি-সমৃদ্ধি এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বিজয়ের মাসে ও স্বাধীনতার মাসে এখনো মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ ছিলো বাঙালি জাতির শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো আমাদের বাঙালি জাতির আজন্মলালিত স্বপ্ন, একটি জাতির চেতনার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দোলা দিয়েছে আমাদের মনে, আমাদের স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করেছে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সহায়তা করেছে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং এই স্বপ্নকে বেগবান করেছে এবং এক নতুন আশা ত্বরান্বিত করেছে। যে চেতনা বাঙালি জাতিকে একতাবদ্ধ করেছিল একটি গণতান্ত্রিক ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায়। এই চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের চেতনাকে আরো শাণিত করতে হবে।

যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কিন্তু শুনেছে গল্পের আকারে তাদের পরিবারের কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির কাছে, শিক্ষকের কাছে, কোনো নেতার কাছে, কোনো মুক্তিযোদ্ধার কাছে বা বইতে পড়েছে। সেই শোনা বা পড়া কতটুকু সঠিক বা তার বিস্তৃতি কতটুকু, তা আমরা জানি না। একটি উদ্যোগ নিতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আমরা কতটুকু সফল? ইতিহাস বিকৃতি জাতিকে ধ্বংস আর বিভ্রান্তি ছাড়া কিছুই দিতে পারে না।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে বিষয়টি নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। যা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসই হবে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস, এই চেতনাকে শাণিত করতে আমাদের এখনই কাজ শুরু করা উচিত।

শেখ হাসিনার স্বপ্ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দেশের মানুষকে উন্নয়নের স্বাদ পাইয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা, বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান দিয়ে যথাযথ মর্যাদার আসনে বসানোই ছিল মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অঙ্গীকার ছিলো দেশবাসীর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার পূরণ করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন, অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির পথে হাঁটছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমরা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার করি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা বলি, কিন্তু নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া কী? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা এসব কোমলমতিদের হৃদয়ে গেঁথে দিতে হবে। এদের হাত ধরেই এ দেশ এক দিন দুর্নীতিমুক্ত, হিংসামুক্ত, বৈষম্যহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লাখ শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী, অজস্র, অগুনতি মুক্তিকামী মুক্তিযোদ্ধা ও লাখ লাখ বীরাঙ্গনা এবং স্বাধীনতা প্রত্যাশী কোটি কোটি বাঙালির নাম জড়িত। মাত্র ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হওয়ার নেপথ্যে যা অন্যতম বিষয় হিসেবে কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপনে বড় বাধা, ব্যর্থতা ছিল দেশে চলমান রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভিন্নতা। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও সার্বিক ইতিহাস উপস্থাপনে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে স্বাধীনতাবিরোধী জনগোষ্ঠী। এক কথায়, তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। ১৯৭৫ সাল কিংবা তার পরবর্তীকালে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তার পারিবারিক রাজনৈতিক চেতনা ও সমাজে বিদ্যমান চিন্তাধারা থেকে জেনেছে এবং শিখেছে। এই শেখা ছিল নিজেদের মতো করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সার্বিকভাবে উপস্থাপনে বাধা দিয়েছে তৎকালীন শাসকশ্রেণি, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি মেনে নিতে পারেনি, পারে না ২৫ মার্চসহ অন্যসব পাশবিক হত্যাকাণ্ড। মূলত এই মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী দলগুলোই বাঙালি জাতির ভেতর বিভক্তি টেনে দিয়েছিল এবং আজও দিয়ে চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। দেশকে পরাধীনতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করছে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সাধারণ জনগণই পারে এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে রুখতে। এর জন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের প্রতি স্বচ্ছ ও পরিষ্কার ধারণা এবং সার্বিক জ্ঞান। প্রয়োজন জনসচেতনতা।

লেখক: হীরেন পণ্ডিত; প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলামিস্ট

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত