সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিঃ পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ও কলঙ্কময় অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংসতার পর এই জেল হত্যাকাণ্ড বিশ্ববিবেককেও স্তম্ভিত করে দেয়। এদিন মহান মুক্তিযুদ্ধের চার কাণ্ডারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যাঁরা স্বাধীনতা যুদ্ধকে দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই চার মহান জাতীয় নেতাকে সভ্যতার ইতিহাস লঙ্ঘন ...
সিমিন হোসেন রিমিঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সকালবেলা আমার ঘুম ভেঙেছিল প্রচণ্ড গুলির শব্দে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি- বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, মা জোহরা তাজউদ্দীনসহ পরিবারের সবাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের সাত মসজিদ রোডের সেই বাসা। আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কী ঘটছে। বাবাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। তিনি নানান জায়গায় ফোন দিচ্ছিলেন, কিন্তু কেউ ফোন তুলছিল না। সকালের আলো ফুটতে ...
মোহাম্মদ নাসিম: ১৯৬৬ সাল। তখন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে এইচএসসির ছাত্র ছিলাম। ভুট্টা খাওয়ার বিরোধিতা করে ওই অঞ্চলের জনগণ তীব্র আন্দোলনে নেমেছিল। সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমাকেও নেতৃত্ব দিয়ে হয়েছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাবা এম মনসুর আলীসহ পাবনার অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে আমিও গ্রেফতার হয়েছিলাম। আমরা পিতা-পুত্রও জেলে ...
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ৩ নবেম্বর সকালেই আমরা বাবার মৃত্যু সংবাদ পাই। মা অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েন। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে যে মানুষটি কখনও হতোদ্যম হননি, সেই মানুষটিই বাবার মৃত্যু সংবাদে কেমন মুষড়ে পড়েন। এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী আর আত্মীয়-স্বজনে ভরে যায় আমাদের বাড়ি। মা চাচ্ছিলেন বাবার লাশটা রাজশাহীতে এনে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করতে। কিন্তু খুনীদের দোসররা ত...
ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধান শোকাবহ ১৫ আগস্টের পর ৩ নবেম্বর বাঙালী জাতির জন্য একটি শোকের দিন, বেদনার দিন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য ও অনেক নিকটাত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করে। মীর...
আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান(১৯২৬-১৯৭৫) - ১৯২৬ সালের ২৬ জুন নাটোর মহকুমার বাগাতীপাড়া থানার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - ১৯৪৬ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স পাশ করেন এবং রাজশাহী আইন কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। - ১৯৫৭ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। - ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠি...
৩ নভেম্বর: বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেক কলঙ্কিত দিন রক্তক্ষরা জেলহত্যা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৪৩ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয়...
বাহরাম খানঃ পৃথিবীর আর কোন সরকার প্রধানকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে হয়েছে জানা নেই। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে সেই বন্ধুর পথে হাঁটতে হয়েছিল। স্বাধীনতা ঘোষণার ঠিক পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বন্দি করে পাকিস্তানি জান্তা। তাঁর ডাকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধে জাতি তখন নেতৃত্বহারা। মহাসংকটে তাজউদ্দীন আহমদ যে অকল্পনীয় যোগ্যতা...
শুভ কিবরিয়াঃ তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫) তখনো কলেজ স্টুডেন্ট। তার পরের বছর তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করছেন। কিন্তু পুরোদস্তুর রাজনীতিতে নিমগ্ন। ঢাকায় মুসলিম লীগের প্রগতিশীল অংশের মূল চক্রের একজন তখন তিনি। আবার নিজ এলাকা কাপাসিয়ায় পূর্ণোদ্যমে যুক্ত সামাজিক কাজে। ঢাকা-কাপাসিয়া নিত্য যাতায়াত। এরকম এক দিন ৩ নভেম্বর ১৯৪৭, সোমবার। এই বছরের আগস্টেই ধর্মের ভিত্তিতে দ...
হাকিম মাহি: ‘আমি দেশের জন্য এমনভাবে কাজ করবো, যেনো দেশের ইতিহাস লেখার সময় সবাই এ দেশটাকেই খুঁজে পায়, কিন্তু আমাকে হারিয়ে ফেলে।’ উক্তিটি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমদের। সত্যি আজ তিনি নেই, কিন্তু বাংলাদেশ আছে। তাকে হারিয়ে ফেলেছি সেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর। এই সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ ন্যায়-নিষ্ঠতার জন্...
শুভ কিবরিয়া: মুক্তিযুদ্ধকালীন ও মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী ২৩ জুলাই ২০১৯। তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫) জন্মেছিলেন এখনকার গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পবিত্র কোরআনে হাফেজ ছিলেন। ভালো ছাত্র হিসেবে উন্নততর শিক্ষার আশায় স্কুলের শিক্ষকদের প্রেরণায় ক্রমাগত স্কুল পাল্...
ড. মো. আনিসুজ্জামানঃ যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাঙালি জাতির এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন, সেই সরকারকে সঠিক পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদ। বঙ্গবন্ধুর নামে পরিচালিত সরকারে তাঁর নেতৃত্বে ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি ছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযো...
জি এম তারিকুল ইসলামঃ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর যে নামটি অনিবার্যভাবে এসে যায়; সেই নামটি হলো বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বে ও উত্তরকালের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন এই তাজউদ্দীন আহমেদ। ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বর্তমান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপ...
এই কাজটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কপিরাইটযুক্ত এবং অনুমোদিত। আপনি কেবলমাত্র আপনার ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিকব্যবহারের জন্য অথবা আপনার সংস্থার মধ্যে ব্যবহার করার জন্য এই উপাদানটিকে অনির্দিষ্ট ফর্মের মধ্যে ডাউনলোড, প্রদর্শন, মুদ্রণ এবং পুনরায় তৈরি করতে পারেন (এই বিজ্ঞপ্তিটি ধরে রেখে)। চুক্তি ও শর্তাদি | গোপনীয়তা শর্তাবলী