১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ : স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হন।
৭ মার্চ, ১৯৭২ : বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০০টির মধ্যে ২৯২টি আসনে বিজয়ী হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি নেতা হিসেবে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদে বাংলায় বক্তৃতা দেন।
১০ জানুয়ারী, ১৯৭২ : বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১২ জানুয়ারী, ১৯৭২ : দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে সংসদীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন।
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ : ৩০ লাখ শহীদ এবং তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের চুড়ান্ত বিজয়। ৮ জানুয়ারী, ১৯৭২ : পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি লাভ। সেদিন পাকিস্তান থেকে লন্ডন পৌছে বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "আমি আমার জনগনের কাছে ফিরে যেতে চাই।''
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ : বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে তৎকালীন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ : বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন ইয়াহিয়া খানের দেয়া সমঝোতা প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন।
২৫ মার্চ, ১৯৭১ : পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম গণহত্যা ও নৃশংসতম কালো রাত। সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া খানের ঢাকা ত্যাগের খবরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’। ২৬ মার্চ, ১৯৭১ : ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ : জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পায় মাত্র ৮৮টি আসন। ৭ মার্চ, ১৯৭১ : বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির কাছে ছিল মুক্তিযুদ্ধের গ্রিন সিগন্যাল। বিশাল জনসমুদ্রে উপস্থিত বঙ্গবন্ধু জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষনে ষ্পষ্ট হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ : ছাত্রলীগ আয়োজিত রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে দেয়া বিশাল সংবর্ধনা সভায় তাকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১২ নভেম্বর, ১৯৭০ : পূর্ব বাংলায় ভয়াবহ ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করে ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮ : পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামী করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। ২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ : তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সরকার "রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য" শিরোনামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।
১৭ জুন, ১৯৫৫ : ঢাকার পল্টনের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন দাবি করেন। ৭ জুন, ১৯৬৬ : বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ‘ছয় দফা’ দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।
২৩ জুন, ১৯৪৯ : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ : রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ মিছিলে সালাম, রফিক, বরকতসহ অনেকে পুলিশের গুলিতে শহীদ হলে জেল থেকে বঙ্গবন্ধু এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন এবং একটানা তিন দিন তা অব্যাহত রাখেন।
১৯৪৪: নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২ মার্চ, ১৯৪৮ : রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে 'সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়। ১১ মার্চ, ১৯৪৮ : রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট আহবান করায় বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।
১৭ মার্চ, ১৯২০: গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৭: ৭ বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্রজীবনের শুরু হয়। ১৯৩৯: স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করার কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাবরণ করেন।