চক্রান্তকারীরা ভস্মীভূত হয়ে যাবে, বঙ্গবন্ধুর হুঁশিয়ারি

১৯৭১ সালের ২ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি একবার আগুন জ্বলে ওঠে, তাহলে সে আগুনে চক্রান্তকারীরা ভস্মীভূত হয়ে যাবে।’ একাত্তরের মার্চের প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এদিন বঙ্গবন্ধু বিবৃতি দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর ঠিক একবছর পর ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসে...

গোপনে অস্ত্র জমা দিলেও ক্ষমা করা হবে: বঙ্গবন্ধু

কেউ থানায় গোপনে অস্ত্র জমা দেয় তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে। কিন্তু গুন্ডাদের বরদাশত  করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রয়ারি পত্রিকা বের না হওয়ায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।  ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির  সভায় বঙ্গবন্ধু এ বক্তব্য  দেন। তবে সবচেয়ে...

প্রথমবার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু

স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রায় দেড় মাসের মাথায় নিজের গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের এই দিনটি সপরিবারে নিজের বাড়িতে কাটান তিনি। এর আগে এক বার্তায় পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালদের দুর্দশা লাঘবে প্রভাব খাটাতে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া এশীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করার জন্য নিক্সনকে সতর্ক করেন বঙ্গবন্ধু। ...

মুক্ত দেশে স্বাধীন নেতা

- জেএন দীক্ষিত নিরাপত্তা পরিষদের মিটিং থেকে ২৪ ডিসেম্বর আমি ফিরে এলাম। ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি সকালবেলা আমাদের গোয়েন্দা সূত্র থেকে খবর পেলাম, শেখ মুজিবুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আপাতত জানা যাচ্ছে না এমন এক জায়গায় চলে গেছেন এবং সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার বন্দোবস্ত করছেন। পাকিস্তানি ইন্টারন্যাশনাল কলের ওপর নজরদারি করে এবং অন্যান্য সূত্রের বরাতে ওই দিনই বিকেল ...

জনকের প্রত্যাবর্তন ও বিজয়ের পরিপূর্ণতা

এম নজরুল ইসলামঃ আজ ১০ জানুয়ারি। বাঙালী জাতির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে, প্রিয় মানুষের কাছে ফিরে আসেন জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১০ জানুয়ারি তাই ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। জনকের প্রত্যাবর্তনে ১৯৭২ সালের এই দিনটিতে সত্যিকার অর্থেই রোমাঞ্চ লেগেছিল বাংলাদেশের ‘দিকে দ...

অস্ত্র সমর্পণের এক টুকরো স্মৃতিঃ মনোয়ার হোসেন

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করার পর বিরাজমান পরিস্থিতি কোনভাবেই প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলাও স্বাভাবিক জীবনের জন্য সহায়ক ছিল না। সর্বত্র শঙ্কা ও উদ্বেগ লক্ষ্য করা যেত। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের ওপর নতুন সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা। যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের কাছে যেমন ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, আবার যারা সরাসরি যুদ্ধ ...