বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রীদের তালিকার শীর্ষে কারা?

বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তাঁর ‘বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি’ গ্রন্থে লিখেছেন, “মিলিটারি এখন শাসন করছে, যেমনটা তারা করে এসেছে ১৯৫৮ সালের পর থেকে; সামান্য কিছু বিরতি অবশ্য মাঝখানে ছিল। অবশ্যই মিলিটারি মানে সেনাবাহিনী (The Army); আর মিলিটারি বা সেনাবাহিনীর শাসন মানে সেনা প্রধানের নেতৃত্ব।”[বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি, পৃষ্ঠা ২৯] বিচারপতি সা...

১৫ আগস্ট ১৯৭৫, কেমন ছিল সংবাদপত্রের খবরগুলো?

মিল্টন বিশ্বাসঃ বাংলাদেশের সংবাদপত্রে পঁচাত্তরের আগস্ট মাসটি ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। তার শাহাদতবরণের পরের দিন ১৬ আগস্ট ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, দি বাংলাদেশ অবজারভার, দি বাংলাদেশ টাইমস প্রভৃতি পত্রিকা ১৫ আগস্ট মোশতাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহ...

শোক থেকে শক্তি হোক আমাদের ব্রত

ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ:  আগস্ট বাঙালির কাছে শোকের মাস। বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে হারানোর মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এদিন ভোররাতে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ বিসর্জন দেন জাতির পিতা। জাতির পিতার সঙ্গে এসময় আরও হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গ...

মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানব বঙ্গবন্ধু

মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেলঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডও হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। এই দিনে জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে পরিবারসহ এরূপ ভয়াবহভাবে হত্যারঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ঘাতক খুনিচক্র এমন বর্বর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল।...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ও মেজর জিয়ার ভূমিকা

মোঃ ফুয়াদ হাসান: ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫, প্রথম প্রহরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে নির্মম ও ন্যক্কারজনক ভাবে নিহত হলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিনই দুপুর বেলাতে (স্বঘোষিত) প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে খন্দকার মোস্তাক নিজেকে। ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতার ভোগ দখলকারী খন্দকার মোস্তাক পরিবার সহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনীদের বাচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জাড়ি ক...

শোক হোক শক্তি

ড. প্রণব কুমার পান্ডেঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্যসাধারণ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠনে অবদানের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর পরিপক্ক ও সাহসী নেতৃত্বের কারণেই স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল। যতদিন বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে,...

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা: বিএনপি-জামায়াতের ঘৃণ্য ভূমিকা

বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক চক্র ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ব্লুপ্রিন্ট রচনা করে কুচক্রীরা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহ...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : ক্রীড়নক ও হন্তারকদের মনঃতত্ত্ব

আসিফ কবীর: বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা ছিল ‘হাইলি মোটিভেটেড’। আমাদের নিকট অতীতে দেখা হলি আর্টিজানে যেমন মোটিভেটেড একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায় ও নিরীহ মানুষদের বেঘোরে হত্যা করে (১লা জুলাই ২০১৬, নিজেদের প্রত্যক্ষ করা এ নৃশংস ঘটনা পরিক্রমা থেকে মোটিভেশন: মগজ ধোলাই’র তীব্রতা ও কুফল বুঝতে সরণ নিতে পারি)। থাইল্যান্ডের মার্কিন দূতাবাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা

খন্দকার হাবীব আহসানঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে; দেশীয় সামরিক- বেসামরিক ক্ষমতালোভী জোট এবং দেশী- বিদেশী স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় জুনিয়র কর্মকর্তার পরিকল্পিত সশস্ত্র আক্রমণে নিহত হয়েছিলেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিলো দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের কিছু বেশি...

স্বপ্নীল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু

মোহাম্মদ বেলাল হোসেন: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘ঐ মহামানব আসে।’ আমাদের জাতীয় জীবনে মহামানব হিসেবে এসেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এসে আমাদের উপহার দিয়েছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, মুক্ত করেছিলেন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ও পরাজয়ের অপমান হতে। তিনি ছিলেন ‘দিঘল পুরুষ।’ তাঁর চোখে সর্বদাই ধরা পড়...

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা

ড. জহিরুল হক শাকিল বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভর রাজনীতির মূল প্রতিপক্ষ ছিল মৌলবাদ ও সামরিক আধিপত্যবাদ। ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দু’শো বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনের অবসান ঘটলেও এ অঞ্চলের বিশেষতঃ পূর্ব বাংলার মানুষের স্পৃহা ছিল রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মকে ব্যবহার করা হবে না...

'অনুপ্রেরণার বাতিঘর' বঙ্গবন্ধু

এন আই আহমেদ সৈকত: একটি শোষিত ও পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তবাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার অধিকার দিয়ে গেছেন যে মহামানব, তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার থাকা বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাংলার মানুষ...

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিস্ময়

ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএঃ ঐতিহাসিকেরা এ ব্যাপারে একমত যে ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরাস্ত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার কব্জা করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের থাবা বিস্তার করতে সক্ষম হয়। তারও আগে সমৃদ্ধ এই বাংলা জনপদে বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ইউরোপীয় অন্য বণিকদের হারিয়ে ব্রি...

বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিদেশি যােগসূত্র

সােহরাব হাসানঃ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খন্দকার মােশতাক আহমদ নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘােষণা করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ভ্রাতৃপ্রতিম মােশতাক সরকারকে স্বীকৃতি দেন। একইসঙ্গে তিনি ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সব সদস্য এবং তৃতীয় বিশ্বের সব দেশের প্রতি অনুরূপ আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদ...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত ছিলো

শামস্ রহমানঃ ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস। ওইদিন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য। হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে সে আজ দীর্ঘদিন । অপরাধীদের সাজা কার্যকর হয়েছে সেও বেশ অনেক বছর। সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বিচার বা অপরাধীদের তালিকায় নেই। তারপরও কেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হা...

চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু

সন্তোষ গুপ্তঃ   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেকে হত্যা করা হয়েছে আজ থেকে বিশ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। তাঁকে হত্যা যারা করেছে সেদিন তাদের দেয়া যুক্তি আর কিছু রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিকদের দেয়া বিবৃতি ও সভা-সমিতিতে তাদের ভাষণের আশ্বর্য মিল দেখে আমাদের মনে কি কখনাে এ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মানসিক সহযােগী আমাদের অনেকের মধ্যে রয়ে গেছে। আর এ...

বঙ্গবন্ধু হত্যাঃ পলিটিক্যাল নয় ফিলোসোফিক্যাল কিলিং

হায়দার মোহাম্মদ জিতু: মাধ্যমিক পর্যায় বা তার নিম্ন শ্রেণীর গণিতে বামপক্ষ সমান ডানপক্ষ মেলানোর অঙ্ক শেখানো হয়। প্রোমোশন ও নম্বর পাবার আকাংক্ষায় সেই অঙ্ক শেখার অতীত সকলেরই আছে। কিন্তু ইতিহাসের বাঁক বদল বুঝতেও যে এই পন্থা সহায়ক হতে পারে সে বিষয়টি বহুলাংশেরই অজানা। তেমন এক ঐতিহাসিক বিষয় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, যাকে এর মাধ্যমে জানা সম্ভব। এই হত্যাকাণ্ডের একদিকে অর্থ...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : সেই দুঃসাহসী প্রতিবাদের দিনগুলো

অজয় দাশগুপ্তঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিষ্ঠুর হতাকাণ্ডের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে কেন দেশবাসী গর্জে উঠল না, সে প্রশ্ন ৪৫ বছর ধরেই উচ্চারিত হচ্ছে। যে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগ, জাতীয় যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ ও জাতীয় কৃষক লীগের অফিসগুলো ‘পদপ্রত্যাশীদের’ ভিড়ে ...

শেখ হাসিনার নির্বাসন ১৯৭৫-১৯৮১

শেখ হাসিনার নির্বাসন ১৯৭৫-১৯৮১

পঁচাত্তরের খুনিদের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ এবং আমাদের দায়

মো. জাকির হোসেন: ২৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। ১৫ই আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর নয়, রক্তাক্ত হয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ। খুনিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে পিতাহন্তারকের কাঠগড়ার দাঁড় করিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর সভ্যতা ...