তোমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারো, একজন বঙ্গবন্ধু সৃষ্টি করতে পারো না

হীরেন পণ্ডিত: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি না জন্মাতেন, তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্ম কি হতো? এর একটিই মাত্র জবাব 'না'। বঙ্গবন্ধু তাঁর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা সম্পর্কে কিছু কথা বলতেন বিভিন্ন সময় প্রিয়জন ও ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের। বলতেন তাঁর পরিকল্পনার কথা। অনেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করতেন, আপনি ক্ষমতায় কতদিন থাকবেন। এই প্রশ্ন শুনে বঙ্গবন্ধু হেসে বলতেন, &ls...

বঙ্গবন্ধু হত্যা: দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের নীলনকশার নটরাজ জিয়াউর রহমান

১৯৭৫ সালের শুরু থেকেই সামরিক ও বেসামরিক কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকে। এমনকি সিনিয়র অফিসাররা সন্ধ্যায় সেনানিবাসের যেখানে লন টেনিস খেলতেন, খেলা শেষ হওয়ার পর সেই টেনিস কোর্টে নিয়মিত আড্ডা দিতে শুরু করে শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরিচ্যুত মেজর নুর ও মেজর ডালিম। আগস্ট মাসে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ বিষয়টি জানতে পেরে চ...

বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো বেঈমান মোশতাক-জিয়া : সজীব ওয়াজেদ

নৃশংস কায়দায় ও ইতিহাসের বর্বরোচিত উপায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা খন্দকার মোশতাককে দায়ী করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ ক...

বেদনায় ভরা দিন

শেখ হাসিনাঃ তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। দূরের মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে। এমন সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ। এ গোলাগুলির আওয়াজ ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি ঘিরে, যে বাড়িতে বসবাস করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এক বিঘা জমির উপর খুবই সাধারণ মানের ছোট্ট একটা বাড়ি। মধ্যবিত্ত মানুষের মতই সেখানে বসবাস করেন দেশের রা...

১৫ আগস্টঃ ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্ণেল জামিল উদ্দিন আহমেদ, প্রায় একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যু...

শোকাবহ আগস্ট

শোকের মাস আগস্ট মাস। এই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ড ও নারকীয় গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, ...

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জেলহত্যা করেছেঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই জেল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, যা একটি সংরক্ষিত স্থান। জাতির পিতার খুনি ছিল জিয়া ও মোশতাক এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ড (জেল হত্যা) ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন...

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষার ঘৃণ্য অপচেষ্টা ও ইনডেমনিটি আইন

যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিলেও বাংলাদেশে জাতির পিতার হত্যার বিচারই আটকে দেওয়া হয়েছিল, যা বিশ্ব ইতিহাসেই বিরল। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদ। পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে সংবিধান সংশোধন করে খুনিদের রক্ষার পর পথটি স্থায়ী করার প্র...

১৫ আগস্ট প্রাণ দিয়েছেন যারা

১৫ আগস্ট প্রাণ দিয়েছেন যারা

যারা মানবাধিকারের সবক দেয় তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব দেশ মানবাধিকার বিষয়ে সবক দেয় বা প্রশ্ন তোলে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারাই বঙ্গবন্ধু ও নারী-শিশুসহ তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে এদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের সবক নিতে হয়। যারা আমার বাবা, মা, ভাই, নারী-শিশুদেরকে হত্যা করেছে তাদেরকে তারা রক্ষা করে।’ তিনি আ...

বঙ্গবন্ধুর দাফনের অজানা গল্প

কাওসার রহমানঃ  মৌলভী শেখ আবদুল হালিম মর্মান্তক সংবাদটা শোনেন ১৫ আগষ্ট সকালে রেডিওতে। রেডিওতে ঘোষণা করা হয়, স্বৈরাচারী শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘোষণা শুনে সমগ্র দেশবাসীর মতো তিনিও স্তম্ভিত হয়ে যান। হতভম্ব হয়ে পড়েন, তার কাছে মনে হয় এ যেন অবিশ্বাস্য ঘটনা। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই বিষাদ মাখা কোন অনাকাক্ষিত ইস্যু। পরদিন (১৬ আগষ্ট) দুপুর ১২টার সং...

১৫ আগস্ট কালরাতে শহীদ হয়েছিলেন যারা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর এ হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়। ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুন্নেছা মুজিব ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরও ২৬ জন। এদের মধ্যে যারা রয়েছেন: শেখ কামালবঙ্গবন্ধুর বড় ছেলেজন্ম: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৫ই ...

চিরঞ্জীব মুজিব

ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ:  বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছে আগস্ট। এই মাসটি বাঙালির কাছে শোকের মাস হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এদিন ভোররাতে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ বিসর্জন দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাত...

ষড়যন্ত্রময় আগস্ট

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ধানমন্ডির বাসায় কর্তব্যরত এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামি...

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার করেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতা হত্যাকান্ড ইতিহাসের একটি কলংকজনক অধ্যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাঁদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আপনজন হিসেবে বাবাকে যেজন্য তাঁরা কাছে পাননি সেই বাঙ্গালিদের হাতেই কেন জাতির পিতাকে জীবন দিতে হলো সে প্রশ্নের উত্তর আজো খুঁজে ফেরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ...

৭৫-এর হাতিয়ার বলতে কী বোঝাতে চায় বিএনপি

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই আকস্মিক আঘাতে স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজ থমকে যায়। এরপর একই বছরের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় চার নেতাকে। এরপর ৭ নভেম্বর সেনানিবাসেও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সেই খুনি চক্রটি। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযু...

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ও জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহিতা

শ ম রেজাউল করিমঃ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে ঘৃণ্য কালো আইন নামে সমধিক পরিচিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে নিকৃষ্ট অন্তরায় হিসেবে আবর্তিত হওয়া জগদ্দল পাথর। একটি স্বাধীন দেশে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া পঙ্কিল অধ্যায়। একের পর এক সংবিধান লঙ্ঘনের কলঙ্কিত দলিল। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন কালো আইন ছিল না এবং নেই। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, ...

১৯৮৩ সালে সাপ্তাহিক চিত্রবাংলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার সাক্ষাৎকার

১৯৮৩ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার সাক্ষাৎকার

১৫ আগস্ট; ফিরে দেখা

ড. আব্দুল জব্বার খাঁনঃ খন্দকার মোশতাকের সরকার বা বিচারপতি সায়েমের সরকার কোনোটিই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা মেনে গঠিত হয়নি। সংবিধান মতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর দায়িত্বভার উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে অর্পিত হওয়া উচিত ছিল। তা না করে সামরিক ব্যাকআপে খুনী চক্রের অন্যতম সহযোগী খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি এবং হাস্যকরভাবে প্রথম বেসামরিক প্র...

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও কিছু আত্মজিজ্ঞাসা!

সজল চৌধুরী: ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২। বেলা আড়াইটা। আকাশে ঝকঝকে রোদ। কমেট বিমানের চাকা স্পর্শ করল তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে। উপচে পড়া ভিড় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখার জন্য। তারপর সেখান থেকে সরাসরি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মঞ্চহীন ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে সেদিন স্বাধীন দেশের লাখ লাখ মানুষের সামনে উচ্চারণ করলেন দেশ-মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার কথা, অঙ্গীকারের কথা। তখনও ...