অজয় দাশগুপ্তঃ জনকল্যাণে যারা নিবেদিত, মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যারা জীবনকে উৎসর্গ করেন– সেই সব রাজনীতিকের কাছে বন্দিজীবন কিংবা নির্বাসন দণ্ড অন্যায় বলে অবশ্যই বিবেচিত হবে। কিন্তু একইসঙ্গে তা গণ্য হয় ন্যায় ও সত্যের জন্য নিবেদিত থাকার পুরস্কার হিসেবে। এ জীবন নিঃসঙ্গ, অনেক সময় অসহনীয়। কীভাবে জেলে সময় কাটে? বঙ্গবন্ধু ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে ল...
জাতির পিতার শততম জন্মদিনে ছোট্ট সোনামনিদের সামনে বঙ্গবন্ধুর শৈশবের গল্প শোনালেন তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলের এক অনুষ্ঠানে ‘আমার বাবার ছেলেবেলা’ শিরোনামে এক বক্তৃতায় তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশবের নানা ঘটনার পাশাপাশি তার রাজনৈতিক জীবনের নানা বাঁকের কথা তুলে আনেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ব...
বাংলাদেশ আজ ১৭ মার্চ-২০২১ বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম শুভ জন্মদিন উদযাপন করেছে। রাজধানীর একটি স্কুলের জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদরের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর অমূল্য কিছু স্মৃতি শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন । টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল পরিবেশে শেখ মুজিবের জীবন কাটে দুরন্তপ...
শেখ রেহানাঃ ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে আমার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি পেশ করেন। ঢাকায় ফিরে ৬-দফার সমর্থনে জনমত তৈরি করতে সারা দেশে তিনি সভা-সমাবেশ করা শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৬-দফার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ভীত হয়ে পড়েন। শেখ মুজিবকে রুখতে হবে। তিন মাসের মধ্যে বাবাকে আট বার গ্রেফতার করা হলো। আমার &lsquo...
এম নজরুল ইসলামঃ জগত্সংসারে এমন কিছু মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যাঁরা নিজেদের নিয়ে কখনো উদগ্রীব হননি। আবার কখনো পাদপ্রদীপের আলোয় নিজেদের আলোকিত করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আড়াল করে রেখেছেন সব কিছু থেকে। এমন নির্মোহ থাকা সবার জন্য সম্ভব হয় না। বিশেষ করে রাজনৈতিক আবহে যাঁদের বেড়ে ওঠা, তাঁদের পক্ষে নিভৃত জীবন কাটানো একেবারে অসম্ভব বলেই মনে হয়। তবে নিতান্ত সাদামাটা...
শেখ হাসিনার নির্বাসন ১৯৭৫-১৯৮১
১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা'র ছোট বোন শেখ রেহানা'র ৬৫তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিল...
ডা. নুজহাত চৌধুরীঃ ১৯৭৫ সালের মধ্যভাগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা যখন গিয়েছিলেন বড় বোন শেখ হাসিনার কাছে জার্মানিতে, দেশে রেখে গিয়েছিলেন পিতামাতা, ছোট্ট রাসেলসহ মায়াভরা এক পরিবার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল রাতে ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার গোটা পরিবারকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। বাবাকে হারিয়ে হঠাৎ করে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলেন বঙ্গবন্ধুর ...
খায়রুল আলমঃ একজন সাধারণের মতই জীবনযাপন করেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। যেন একদম সাদাসিধে একজন নারী । চরিত্রে কখনও আদিখ্যেতা কিংবা অহংকার মনোবৃত্তি পোষণ করেননি। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। সংগ্রাম করে যাচ্ছেন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পর্দার অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন সাহস ও ...
মুহম্মদ শফিকুর রহমান: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি। সামনে ছোট্ট লন। দুর্বা ঘাসে ভরা, যেন মখমলের গালিচা বিছানো। এখানে ক্রিকেট ম্যাচ হতো ভাইবোনে। ভাইয়ের হাতে থাকত ব্যাট আর বোনের হাতে বল। বোন বল করত ভাই ব্যাটিং। বোন বোলিং করল- ভাই এমনভাবে ব্যাট চালাল যে বল লন ছাড়িয়ে বাউন্ডারি ওয়ালের ওধারে চলে গেল। ভাই এমনভাবে উল্লাস করতে থাকল যে, বোনের মনে কিছু...
শেখ রেহানাঃ ১৫ আগস্ট আমাদের কাছে এক শোকাবহ স্মৃতি। বেদনার্ত অশ্রুভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমাদের সবসময় কাটে। মা-বাবা, ভাই ও প্রিয়জন হারানোর এই দুঃখ-কষ্ট, অভাববোধ আমাদের সবসময় তাড়া করে। আমাদের আবেগাচ্ছাদিত করে রাখে। ১৯৭৫ থেকে ২০১৪- এই ৩৯ বছর ধরে লালন করে চলেছি আপনজনদের স্মৃতি। এক-এক করে দিন কেটে যাচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনে আমাদেরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। অনেক কথা...
এম. নজরুল ইসলামঃ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান তিনি। বেড়ে ওঠা রাজনীতির আবহে। জন্মের পর থেকেই দেখে এসেছেন, বাড়িতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আসা-যাওয়া। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক অঙ্গনের মানুষদের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা। কিন্তু নিজে এড়িয়ে চলেন সব ধরণের রাজনৈতিক যোগাযোগ। নিজে সবসময় থাকেন আড়ালে। এই আড়ালচারিতা তাঁর মাহাত্ম্যকে একটুও ম্লান করেনি। বরং পাদপ্রদীপের ...
শেখ রেহানাঃ সেই সময়ে আমাদের পরিবার সকাল বেলায় আব্বা বাইরে থেকে মর্নিং ওয়াক করে আসতেন। আমাদের ৩২ নম্বরের যে বারান্দাটা আমরা ওখানে, আব্বা ইজি চেয়ারে আর সব মোড়ায়। টোস্ট বিস্কুট চা নিয়ে আমরা সবাই খবরের কাগজ পড়ে যার যার স্কুল-কলেজে যেতাম। এই জিনিসটা আমরা ওই যে একটা পরিবেশের মধ্যে বড় হওয়া। ওখান থেকে আর বের হইনি। কামাল ভাইয়ের সবচেয়ে প্রিয় ছিলাম আমি। মায়ে...
এম. নজরুল ইসলামঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে। আর এর পর থেকেই দেশজুড়ে এক দমবন্ধ করা পরিবেশ। স্তম্ভিত জাতি তখন দিকনির্দেশনাহীন। সামরিকতন্ত্রের বুটে পিষ্ট গণতন্ত্র। সুযোগ বুঝে দলের স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী তখন ঘাতকদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে ব্যস্ত। বাকস্বাধীনতা ছিল না ...