৩,৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক

457

Published on জুলাই 1, 2014
  • Details Image

আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় এ প্রকল্পগুলো পাস করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহীত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘একনেক’-এ পাস হওয়া ৫টি প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

তিনি বলেন, মোট প্রকল্প বরাদ্দের মধ্যে সরকারি অর্থায়নের পরিমাণ হচ্ছে ৯শ’ ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ২ হাজার ৪শ’ ৯৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ৫টি প্রকল্পের মধ্যে ২টি নতুন প্রকল্প এবং ৩টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। এরমধ্যে ৩টি প্রকল্প সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি দু’টি সরকারি ও প্রকল্প সাহায্য নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে আজ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবারের একনেক সভায় ‘তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) (ইউজিআইআইপি)’ শীর্ষক ২ হাজার ৬শ’ কোটি ৪৮ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাস হয়েছে।

জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘এলজিইডি’ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩১টি পৌরসভায় দারিদ্র্য ও জেন্ডার বান্ধব নগর সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং উন্নত নগর অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে পরিসেবার উন্নয়ন, নির্বাচিত পৌরসভাসমূহে সমন্বিত ও সার্বিকভাবে সর্ববিষয়ে উন্নত পৌরসেবা, টেকসই আর্থিক ব্যবস্থা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রিত নগর উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করে সুশাসন ও উন্নত ভৌত অবকাঠামো সেবা নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়াও একনেক-এর এ সভায় ‘নেত্রকোনা-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক উন্নয়ন (নেত্রকোনা অংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পটি পাস হয়। ৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জানুয়ারি ২০১২ থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটির মাধ্যমে নেত্রকোণা-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক (নেত্রকোণা অংশ) উন্নয়নের মাধ্যমে নেত্রকোণা থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় যাতায়াতের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন ও জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। প্রকল্পটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

‘বিরিশিরি-বিজয়পুর স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণ (মাদুপাড়া সংযোগসহ)’ শীর্ষক ৮০ কোটি ৬১ লাথ টাকার অপর একটি প্রকল্প আজ একনেকে’র সভায় পাস হয়েছে।

সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) অর্থায়নে সড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জানুয়ারি ২০১২ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত।

এ প্রকল্পটির মাধ্যমে নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় মাদুপাড়া সংযোগসহ বিরিশিরি-বিজয়পুর স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, পণ্য পরিবহণ ও বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‘সোলার প্যানেল স্থাপনসহ সমবায় ভবনের অসমাপ্ত অংশের ভৌত নির্মাণ’ শীর্ষক ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার অপর একটি প্রকল্প আজ একনেকে পাস হয়। সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতায় সমবায় অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে মার্চ ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৬ ।

প্রকল্পটির মাধ্যমে মূল স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী নির্মাণাধীন সমবায় ভবনের ১০ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সমাপ্তকরণ, অফিস ভবনের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে ভবনের অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ সমাপ্তকরণ, বিভিন্ন শাখা ও বিভাগের স্থান সংকুলানের জন্য ৭৫১৯ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস নির্মাণ এবং জরুরি মুহূর্তে ভবনে বিদ্যুৎ ব্যাক-আপ দেয়ার জন্য ১৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়্যারিং কাজ সম্পাদন।

‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি (এনএটিপি): ফেজ-১’ শীর্ষক ৬শ’ ৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যায় সম্বলিত আরেকটি প্রকল্প আজ একনেক সভায় পাস হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) ৬৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা অর্থায়নসহ প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ৬শ’ ২৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ে কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০০৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৪।

কৃষকের চাহিদাভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক উচ্চ অগ্রাধিকার সম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বিকেন্দ্রিক অংশগ্রহণমূলক ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক জ্ঞাননির্ভর সম্প্রসারণ সেবার কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি পণ্যের ফলনোত্তর সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও সরবরাহ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ এ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত