বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ বৃদ্ধ নিবাস

946

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃদ্ধ নিবাস

কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল

১. মাস্ক, তরল হাত সাবান, জীবাণুনাশক এবং অন্যান্য মহামারী প্রতিরোধক সামগ্রী সংরক্ষণ করতে হবে। জরুরী কর্ম পরিকল্পনা তৈরি, জরুরী জায়গা নির্বাচন, কর্মীদের প্রশিক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. বয়স্ক ও কর্মীদের প্রতিদিনের স্বাস্ত্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং যে কেউ অসুস্থ বোধ করলে সে ক্ষেত্রে সময় মতো চিকিৎসা দিতে হবে ।
৩. নিবাসে প্রবেশকারী কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিতে হবে। জ্বর, কাশি, সর্দি এবং ডায়রিয়ার মতো সন্দেহজনক লক্ষণবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারেন। প্রবেশ এবং প্রস্থান নিবন্ধন করতে হবে।
৪. যদি কেন্দ্রীয় এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয় তবে অফিসের জায়গাগুলিতে এবং অভ্যন্তরীণ জনসাধারণের ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে বায়ু চলাচলকে শক্তিশালী করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার সাধারণ মাত্রায় নিশ্চিত করতে হবে। বিশুদ্ধ বায়ু চলাচল বৃদ্ধি করতে হবে এবং ফিরতি বায়ু চলাচল বন্ধ করতে হবে ।
৫. বৃদ্ধদের জন্য থাকার ঘরে বায়ু চলাচল শক্তিশালী করতে হবে। তাপমাত্রা সহনীয় হলে প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় রুমটি নিয়মিত পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬. অফিস, ক্যান্টিন এবং অভ্যন্তরীণ সাধারণ কাজের জায়গা পরিষ্কার এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার জোরদার করতে হবে।
৭. পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আবর্জনা ভালোভাবে পরিষ্কার এবং আবর্জনা পরিবহনে ঢাকনা যুক্ত গাড়ি ব্যবহার করতে হবে
৮. পাবলিক টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং হাত ধোয়ার সুবিধা রাখতে হবে এবং তরল সাবান বা সাবান রাখতে হবে।
৯. দর্শনার্থী সংখ্যা, দর্শনার্থীর কাজের এলাকা এবং দর্শনার্থীর পরিদর্শন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং দর্শনার্থীদের নাম নিবন্ধন করে রাখতে হবে।
১০. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রেকর্ড পূর্ণাংগ রূপে রাখতে হবে। বয়স্ক নিবাসীদের মূল রোগ ও লক্ষণগুলির পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে। হাসপাতাল, সেবার সময়, যানবাহন, সঙ্গে যাওয়ার জন্য কর্মী, পরীক্ষার দ্রব্যাদি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আগে থেকেই পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে হবে যাতে দ্রুত তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
১১. কর্মচারিদের মাস্ক পরতে হবে। বার বার হাত পরিষ্কার করতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় মুখ এবং নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে বা বা কনুই ব্যবহার করতে হবে।
১২. নিবাসীদের থাকার ঘরে মাস্ক পরিধান করার প্রয়োজন নাই। তবে বহিরাঙ্গন ক্রিয়া কলাপে অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার সময় মাস্ক পরিধান করা উচিত। কথা বলতে হবে বা দাঁড়াতে হবে এক মিটারের চেয়ে কম বা সমান দুরত্বে।

মধ্যম এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল

১৩. উপরোক্ত পদক্ষেপগুলির পাশাপাশি নিয়লিখিত পদক্ষেপগুলিও গ্রহণ করতে হবেঃ
১৪. যদি নিবাসে কোন নিশ্চিত কেস পাওয়া না যায় এবং কোন নিবাসী অসুস্থ বোধ করেন তবে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎ প্রতিষ্ঠানে ফোন করতে হবে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. কোভিড ১৯- মেডিকেল প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি এবং তার সাথে থাকা স্টাফ সদস্যরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
১৬. যদি কারও জ্বর, শুকনো কাশি এবং ক্লান্তির মতো লক্ষণ থাকে তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আনতে হবে এবং ক্জিনিং করে চিকিৎসা করতে হবে।
১৭. যদি কেউ সন্দেহজনক কেস বা নিশ্চিত কেস হিসাবে চিহ্িত হন, তবে অবিলম্বে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তার কক্ষ এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত। তার নিকটস্থ ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১৮. এ ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দর্শনার্থীদের নার্সিংহোমে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত