ছয় দফাঃ বিস্মৃত পঙতিমালা

মনিরুল ইসলামঃ ১৮৮৫ সালে সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারত উপমহাদেশের জনগণের প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক চর্চার শুরু। এরপর বহু নেতা, বহু দল জনগণের পক্ষ থেকে অনেক দাবীদাওয়া উত্থাপন করেছেন। কিন্তু কোনটাই এত অল্প সময়ে এত বিপুল সাড়া জাগাতে পারেনি, ব্যাপক জনসমর্থন পায়নি এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি, যা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার ক্ষেত্রে ঘটেছে। কিন্তু কেন? এমন নয়...

ছয় দফা : স্বাধীন বাংলাদেশের 'অগ্রিম জন্মসনদ'

বোরহান উদ্দিন: বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর, পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাঙালিরা কখনো সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেনি। শুরু থেকেই পূর্ব বাংলার ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন–শোষণ কায়েম হয়। সেই রাষ্ট্রে বাঙালিদের সমস্যায় পড়ার মূল কারণ ছিল জাতিসত্তাগত। ফলে শুরুতে সাংস্কৃতিক নিপডীড়ন দিয়ে শুরু হলেও ধীর...

ছয় দফা কর্মসূচি: বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি

সাখাওয়াত মজুমদারঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, অধিকারবঞ্চিত বাঙারির পক্ষে যে ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি পেশ করেন; তা বাঙালির বাঁচার দাবি বা ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর ৬-দফা কর্মসূচি সমগ্র বাঙালি জাতির চেতনার মূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। ছয় দফা ছাড়া জাতি হিসেবে টিকে থাকার অন্যকোনো বিকল্পই ছিল না আর। ঐতিহাসিক এই ছয় দফার ভিত্ত...

বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ও আজকের বাংলাদেশ

হাসনাইন হক ইজাজ চৌধুরীঃ ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা উত্থাপন করেন। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং প্রতিটি রা...

ছয় দফা: পরাধীন জাতির মুক্তির ইশতেহার

ইয়াসির আরাফাত তূর্যঃ বাঙালি জাতির মুক্তির প্রমিথিউস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ''একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি, একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা ,অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।" বাঙালির প্রতি...

বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ও আমাদের মুক্তির সংগ্রাম

মাহমুদুল হাসান (ইমন):  ১৯৪৭ সালে স্যার রেডক্লিফের আঁকা মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথক দুটো রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল- ভারত ও পাকিস্তান। ভারতকে একটি খণ্ডে ভাগ করা হলেও, পাকিস্তানকে ভাগ করা হয়েছিলো দুটো খণ্ডে। একটি পশ্চিম পাকিস্তান, আরেকটি হলো পূর্ব পাকিস্তান। এই পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন টুঙ্গিপাড়ার খোকা বাবু। তাই তো একটা জাতিকে স্বাধীনতা...

ছয় দফা: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলনের যুগলবন্দি

মো. জুয়েল হোসেনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা কর্মসূচিতেই বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয়। এই দাবিগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাওয়ার পর, স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে আপামর জনতা। তবে এই ছয় দফা কোনো রাতারাতি কর্মসূচি ছিল না। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৭ এর ভারত-ভাগ, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম, ...

ছয় দফা ঘোষণার পর শঙ্কিত হয় পাকিস্তানিরা, গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুকে

মো. আসাদ উল্লাহ তুষারঃ বাঙালির মুক্তির সনদ 'ছয় দফা' যে 'ছয় দফা' ছিল না, 'ছয় দফা'র চূড়ান্ত লক্ষ যে 'এক দফা' ছিল, তা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। যে কারণে ছয় দফা ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে এক সুতায় গাঁথতে ধীরে ধীরে তৈরি করছিলেন। তা করতে গিয়ে যে আন্দোলন সংগ্রাম করত...

বঙ্গবন্ধুর ঈদ, উৎসবের নয় ত্যাগের ঈদ

স্কোয়াড্রন লিডার ( অব) সাদরুল আহমেদ খানঃ ঈদ মানেই আনন্দ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই আনন্দে মেতে উঠে, এটাই আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাংলাদেশের আর দশজন সাধারণ মানুষের মত ছিল না। কারণ স্বাধীনতার আগে, জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি জেলহাজতে কাটিয়েছিলেন। ফলে স্বাধীনতার আগে বঙ্গবন্ধুর অনেক ঈদও...

শেখ মুজিবুর রহমানঃ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু

শেখ মুজিবুর রহমানঃ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু 

অসহযোগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু

অজয় দাশগুপ্তঃ   মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী) ১৯২০ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন। এ বছরেই জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচির সফল প্রয়োগ করেছিলেন ১৯৭১ সালে। কাকতালীয় হতে পারে আরও একটি তথ্য- মহাত্ম...

নাটোরে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী পেল বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’

নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ তুলে দেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকদের হাতে ডিজিটাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন হস্তান্তর করা হয়।আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধ...

বঙ্গবন্ধু চলার পথ সহজ করেছেন, শেখ হাসিনা ধরে আছেন আলো

অজয় দাশগুপ্তঃ ১৯৫২ সালের ১৪ জুন। পশ্চিম পকিস্তানের লাহোর নগরী থেকে হায়দ্রাবাদ শহরে অবস্থানরত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দিকে চিঠি লিখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান- Please don’t think for me. I have born to suffer। বয়স তাঁর ৩২ বছর। মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি একটানা প্রায় আড়াই বছর জেল খেটে মুক্তিলাভ করেছেন। মুক্তিলাভের ঠিক দুই মাস পর তাঁর ওপর অর্পিত হয় নত...

কৃষকের জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন

অজয় দাশগুপ্ত: তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মুসলিম লীগকে জমিদার-নবাব-খান বাহাদুরদের কব্জা মুক্ত করে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সচেষ্ট থাকেন। তিনি ছাত্র সংগঠন ও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ পুনর্গঠন করেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে শুরু করেছেন। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ভাষা আন্দোলনের পুরোভাগে থাকে...

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ব্রেইল সংস্করনের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি বলেন, ‘৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পরে বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছ...

মুজিবের অনুপ্রেরণা রেণুঃ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ডাকনাম রেণু; আমাদের প্রিয় বঙ্গমাতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনীর চেয়েও তাঁর বড় পরিচয় তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণাদায়ী। বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে আজীবন পাকিস্তানি শোষকশ্রেণীর জেল-জুলুম সহ্য করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের কর্মীদের দেখভাল করার ভার সামলেছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু অন্তরীন থাকাকালীন ...