বিজয়ের গৌরবগাথা, মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধী

শাহাব উদ্দিন মাহমুদঃ ‘আজ আমি বেঁচে আছি, কাল নাও থাকতে পারি। আমি আমার দেশের মানুষের সেবা করতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় সান্ত¡না। আমি যদি মারা যাই, আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা ভারতকে শক্তিশালী করবে।’ উড়িষ্যায় এই বক্তব্য প্রদানকালে ইন্দিরা গান্ধী জানতেনও না এটাই জনতার সামনে তার শেষ বক্তব্য। এই জনসভার ঠিক একদিন পর ৩১ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে দেহ...

দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত

সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সকল ‘অন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে সমগ্র দেশবাসী। মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের কণ্ঠে ছিল সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সকল ‘অন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার প্রত্যয়। সাম্প্রদায়ি...

দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে অর্জিত মহান স্বাধীনতা: যুদ্ধ, মৈত্রী ও মুক্তির উপাখ্যান

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিজয়ের পর থেকেই বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা শুরু করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু গণমানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা বুঝতে পারেন। এরপর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তত করতে থাকেন জনগণকে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই পাকিস্তানি প্রশাসনকে কোণঠাসা করে ফেলে জনতা। সাত কোটি বাঙালি...

মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বুদ্ধিজীবীরাঃ সজীব ওয়াজেদ জয়

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আজ তারা থাকলে বাংলাদেশ হয়তো অনেক আগেই আরও উন্নতি করতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী দিবসে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে একথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র জয়। ...

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের উপলব্ধি

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাবঃ আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ’৭১-এর এইদিনে পরাজয় অত্যাসন্ন বুঝতে পেরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এদেশীয় দোসররা তালিকা ধরে রাতের আঁধারে উঠিয়ে নিয়ে যায় দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের। বিজয়ের পর রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে আবিষ্কৃত হয় তাদের মৃতদেহ। বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর বধ্যভূমিতে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার আগ পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা...

বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল জাতিকে বিকলাঙ্গ করার ষড়যন্ত্র

আব্দুর রহমানঃ ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্মের পরপরই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝতে পারেন, পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের শোষণের চারণক্ষেত্র বানাতে চাইছে। ১৯৪৭ সালে করাচীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্রে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের সুপারিশসহ...

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও বাঙালি নারীদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: কেন এই বর্বর পরিকল্পনা?

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত বাঙালি জাতির ওপর ট্যাঙ্ক নিয়ে হামরে পড়ে পাকিস্তানি জান্তারা। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে ঘরে ঘরে বাঙালি নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতে থাকে তারা। রাজাকার-আল বদর-আল শামস বাহিনীর সহায়তায় প্রতিটি এলাকায় তারা স্থাপন করে নারীদের জন্য আলাদা বন্দিশালা। দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার মহোৎসবের মেতে ওঠে পাকিস্তানি পিশাচরা। কিন্তু কেন? কারণ...

ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের পর অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় পাকিস্তানি হানাদাররা

ডিসেম্বর মাস এলেই বাঙালি জাতি যেমন বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে, তেমনি বর্বর পাকিস্তানিরাও পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবে যায়। তবে ১৯৭১ সালে আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের পরও কিন্তু তাদের বর্বর সেনাদের হিংস্রতা থামে নি। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের পরও সভ্য হতে পারেনি এই জান্তারা। ত্রিশ লাখ বাঙালি হত্যা ও কমপক্ষে দুই লাখ নারী...

মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে এসে প্রাণ হারায় দেড় হাজার ভারতীয় সেনা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস আপামর বাঙালির অদম্য সাহস ও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের অক্ষরে রচিত হয়েছে। হাজার বছরের মুক্তির স্পৃহা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন করে বীর বাঙালি। পাকিস্তানিদের দুই যুগের শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে যখন ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু, এরপর প্রতিটি অ...

ব্যাটেল অব ইছামতি

জাহাঙ্গীর আলম সরকারঃ আমি, এই প্রবন্ধ লিখতে যে তথ্য ব্যবহার করেছি তার অধিকাংশই পেয়েছি মিত্রবাহিনীর ৭১, মাউন্টেন ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার প্রয়াত পিএন কাথাপালিয়া এবং ২১, রাজপুত ব্যাটেলিয়নের লে: কর্ণেল এস জি ডালভি সাহেবের সাথে আলাপচারিতা এবং সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে। তাদের দেয়া তথ্যের ব্যবহার করেই ইছামতির যুদ্ধ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা দেয়ার চেষ্টা করছি মাত্র। সুনির্দি...

মুক্তিযুদ্ধে ঘটনাবহুল আশুগঞ্জ

অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজুঃ ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ছিল আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ও ঘটনাবহুল দিন। বিজয়ের ঊষালগ্নে ৯ ডিসেম্বর আশুগঞ্জে ভারতীয় মিত্রবাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তানি শত্রু বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই ভয়াবহ যুদ্ধেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১০ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত হয়েছিল। এই যুদ্ধে ভারতীয় সে...

আত্মসমর্পণের শেষ প্রস্তুতি

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজঃ ১৯৭১-এ ভারতীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের প্রধান (Chief of Staff) লে. জেনারেল জ্যাক জ্যাকবের গ্রন্থে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পূর্বক্ষণের মূল্যবান কিছু চিত্র পাওয়া যায়। ষোলো ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যেই জ্যাকবসহ ভারতীয় কয়েকজন সামরিক অফিসার জেনারেল নিয়াজীর সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ চারদিকের পরিবেশ শান্ত রাখত...

পাকিস্তানিদের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বানচালের চেষ্টা করেছিল জামায়াত

মুক্তিযুদ্ধ যখন শেষের দিকে, বাঙালি জাতির বিজয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। পাকিস্তানিদের বর্বরতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিকামী বাঙালি জাতির পক্ষে যখন বিশ্বজুড়ে জনমত তুঙ্গে, ঠিক তখনই নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানিরা। তারা তখন জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে বাঙালি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের অধিবেশনে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। উদ্দেশ্য, বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় বানচাল করে বা...

মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র

মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল): একাত্তরে বাংলাদেশের নয় মাসের যে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম; তার গতিপ্রকৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে। কখনও মুক্তিবাহিনী এগিয়েছে তো পিছিয়েছে কখনও। একাত্তরের ডিসেম্বরেই আছে এমনি একাধিক উদাহরণ। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে সঙ্গত কারণেই সবচাইতে গৌরবের দিন। তেমনি ডিসেম্বরেই আছে শোকাবহ ১৪। এই ডিসেম্বরের আরেকটি অনন্য তারিখ ৬। আজ ৬ ডিসেম্বর। একাত্...

বিজয়ের গৌরবগাথাঃ অপারেশন জ্যাকপট

শাহাব উদ্দিন মাহমুদঃ চট্টগ্রাম, মংলা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দরে একযোগে অভিযান ছিল মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নৌ-কমান্ডোদের প্রথম অপারেশন। মুক্তিযোদ্ধারা জানতেন তাদের এই অভিযান সফল হলে বাঙালী জাতিকে তা এগিয়ে নেবে বিজয়ের বন্দরে। আর ব্যর্থতার ফল হবে মৃত্যু। এ কারণে লিম্পেট মাইন নিয়ে মরণপণ সেই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্...

ঢাকায় গেরিলা অপারেশন

শাহাব উদ্দিন মাহমুদমুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান মিলিটারির নাকের ডগায় ঢাকা শহরে দুঃসাহসিক গেরিলা অপারেশন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে দুঃসাহসী তরুণ গেরিলাযোদ্ধার একটি দল। ১৭ তরুণের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই দলটি। স্বাধীনতাকামী বাঙালী জাতির মুক্তি এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে ঢাকায় চালিয়েছিলেন প্রথম গেরিলা যুদ্ধ &l...

বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির খুলে নিরূপায় বাঙালির পাশে ছিল ভারত

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি জান্তারা ঢাকাসহ সারাদেশে গণহত্যা ও ধর্ষণ শুরু করে। ফলে জান বাঁচাতে দেশ ছেড়ে সীমান্তের দিকে ছুটতে থাকে লাখ লাখ বাঙালি। পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতার মাত্রা উপলব্ধি করে সীমান্ত খুলে দিয়ে অসহায় বাঙালিদের পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। ফলে যুদ্ধের ৯ মাসে দেশের ১৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ, তথা তৎকালীন ৭ কোটি বাঙালির মধ্যে ১ কোটির বে...

এই ভূখণ্ড যেভাবে 'বাংলাদেশ' হয়ে উঠলো

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই আমাদের এই উর্বর ভূমি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা বহিরাগতদের শাসন ও শোষণের শিকার হয়েছি। চূড়ান্তভাবে ১৯০ বছরের ব্রিটিশ-রাজত্বের অংশ ও পাকিস্তানিদের দুই যুগের শোষণের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিশ্বের বুকে আমরা এখন উন্নয়নশীল ও বিকাশমান একটি রাষ্...

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১: পাকিস্তানি বাহিনীর বিদায় ঘন্টা

ডা. সুব্রত ঘোষ: ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাস। মুক্তিবাহিনীর একের পর এক হামলায় পাক হানাদাররা দিশাহারা। দেশে সব অঞ্চলেই বিজেয়ের বেশে একের পর এক এগিয়ে যেতে লাগলো মুক্তিযোদ্ধারা। উপায়ান্তর না দেখে পাকবাহিনী এ দেশের সাধারণ জনগণের ওপর হত্যা, নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিল কয়েকগুণ। ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলা করে পাকিস্তান। তাদের উদ্দেশ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা প...

স্বাধীন বাংলাদেশকে নির্বাচিত নেতার হাতে রেখে চলে গেলো ভারতীয় সেনারা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি জান্তারা যখন বাংলার আপামর জনতার ওপর গণহত্যা ও ধর্ষণের বর্বরতা চালাতে শুরু করে, প্রাণ বাঁচাতে প্রায় এক কোটি মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে। আওয়ামী লীগ সরকার যেমন মিয়ানমারের সৈন্যদের হাতে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়েছিল, ঠিক তেমনি সেসময় আমাদের পূর্ব পুরুষদের প্রতি আরো অনেক বেশি মানবিকতা দেখিয়েছে ভারত সরকা...