স্বপ্নের বিজয় যেভাবে এলাে

শামসুজ্জামান খানঃ বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটেছে ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় ১৯৭১ সালে। ইতিহাসে লেখা আছে বাঙালির স্বাধীনতা কামনার, স্বপ্ন কুঁড়ির মতাে বা অস্পষ্ট আকাঙ্ক্ষার ও ইচ্ছার মতাে বীজাকারের, অঙ্কুর উদগমের অবয়বের মতাে কিছু দিকচিহ্নের কথা। লেখা আছে সেই স্বাধীনতা-স্বপ্নের আগুনে প্রবেশ করে ওই স্পর্ধার জন্য পুড়ে মরার কথা। লেখা আছে অগণন ত্যাগ-তিতিক্...

বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও রাষ্ট্রগঠনকালে প্রতিবেশী ভারতের ভূমিকা

সুভাষ সিংহ রায়ঃ অতি সম্প্রতি ভারত সরকার কোভিড-১৯ এর ২০ লাখ টিকা বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠিয়েছে বন্ধুত্বের শুভেচ্ছা হিসেবে। আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক রক্তের আখরে লেখা। এ কথা আমরা সবাই জানি, ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল। ১ কোটিরও বেশি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় দেয়া সেই...

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বিশ্বজুড়ে ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক তৎপরতা

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কন্যা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজুড়ে জনমত সৃষ্টি করতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পাকিস্তানি হানাদাররা যখন এদেশের লাখ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটিকে গৃহযুদ্ধ বলে চালানোর চেষ্টা করছিল, তখন একমাত্র ইন্দিরা গান্ধী এর প্রতিবাদ করেছেন। ...

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ঃ বিজয়ী বাংলার সবুজে ফিরলেন মুক্তির মহানায়ক

বইছিল স্বাধীনতার সুবাতাস। শ্লোগানে মুখরিত চারদিক, আকাশ-বাতাস, জোর গলায় উচ্চারিত হচ্ছে, “জয় বাংলা”, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর জুড়ে যেন অনুরণিত হয়ে চলেছে, প্রতিধ্বনিতে একাকার হালকা শীতের আমেজময় সেই ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারী, ১৯৭২ সাল। বেলা দ্বিপ্রহরের পরপরই হাজার দশেকেরও বেশি সদ্য মুক্তির স্বাদ পাওয়া আবেগে উদ্বেলিত বাঙালি সেখানে জড়ো হয়েছিলেন, যদিও তার...

বঙ্গবন্ধুর মুখে বাংলা ভাষণ শুনতে চাইলেন ভারতের জনগণ

মঞ্চ থেকে প্রথা মাফিক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর ভাষণ শেষ করলেন৷ জনতা ফেটে পড়ল৷ মাইকের সামনে তখন দীর্ঘদেহী মুজিবুর রহমান৷ তিনি এবার ইংরাজিতে বক্তব্য শুরু করলেন– ‘প্রাইম মিনিস্টার শ্রীমতি গান্ধী, লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান প্রেজেন্ট… এরপরেই জনতার প্রবল দাবি– ‘বাংলা…বাংলা’। একটু থেমে গেলেন বঙ্গবন্ধু৷ পাশ থেকে ইন্দিরা মুচ...

বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন ও পরিবারের বিরাট আত্মত্যাগ

প্রায় চব্বিশ বছর পাকিস্তানের শাসনাধীন ছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রায় ১৩ বছর (দিনের হিসেব করলে ৪৬৮২ দিন) বঙ্গবন্ধু ছিলেন জেলে। অথচ তারও একটি সংসার ছিল; পিতা-মাতা-স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভর-ভরন্ত একটি সংসার। তাহলে সেসময় বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কেমন ছিল তার পরিবারের অবস্থা, তাকে জেলে রেখে কীভাবে তাদের দিনগুলো অতিবাহিত হতো? কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ...

একজন বিদেশি বীরপ্রতীকের গল্প

অজয় দাশগুপ্তঃ কিছুদিন আগে ইসলামাবাদে পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী লেখকদের এক সভায় বাংলাদশের ভূয়সী প্রশংসার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে বয়স্ক এক ভদ্রলোক আমাদের নারী নেতৃত্বের উন্নতি, শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা আর নারীদের কারণে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছিলেন বারবার। তিনি আমাদের মুদ্রায় মা-ছেলের বই পাঠ করার ছবিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, এখানেই বোঝা সম্ভব কেন বাংলাদেশ...

জ্ঞান ফেরার পর দেখি লাশের স্তূপে পড়ে আছিঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান সরকার

'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনে একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে দেখি, হলের পাশেই লাশের স্তূপে পড়ে আছি। তখন আসলে কী ভেবেছিলাম, মনে করতে পারব না। পরে বুঝতে পেরেছি, মরে গেছি ভেবে আমাকেও লাশের সঙ্গে ফেলে রেখে গেছে। তাকিয়ে দেখছিলাম, চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। রক্ত ও পচা গন্ধে দম বন্ধ যাওয়ার মতো অবস্থা।' কথাগুলো বলছিলে...

৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ

এই দিনে মিত্রবাহিনীর বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখল করে নেয়। বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন উত্তপ্তহয়ে পড়ে। আর জাতিসংঘে বাংলাদেশকে নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এদিকে বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন সরকারের বিশেষ উদ্যোগে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন বসে। এতে যুদ্ধ বিরতির জন্য মার্কিন প্রতিনিধি সিনিয়র বুশের চেষ্টায় সোভিয়েত প্রতিনিধি কমরেড মালিক ‘ভেটো’ প্রয়...

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১— বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড গঠন

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বের ইতিহাস শুরু হয় এদিন। পদে পদে মুক্তিবাহিনীর হামলায় পাকিস্তানি হানাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের বেশে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তারা একের পর এক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করে পাক সেনাদের ফাঁদে ফেলেন। এদিনে ভারতীয় পূর্বাঞ্চল কমান্ডের লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরার অধিনায়কত্বে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের ভ...

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট

মজিবর রহমানঃ যার নেতৃত্ব ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই লেখাটি উৎসর্গ করছি বঙ্গবন্ধুর নামে। আমার রাজনৈতিক জীবনের অতিতের স্মৃতিগুলো আমাকে সবসময়ই আত্মবিশ্বাসী হতে এবং অনুপ্রেরণা যোগাতে সহায়তা করে। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে অংশগ্...

মুক্তিযুদ্ধের ৭ শ্রেষ্ঠ বীর

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশের সর্বস্তরের লাখো বাঙ্গালি প্রাণের মায়া ত্যাগ করে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথে শহীদ হয়েছেন তিরিশ লক্ষ বাঙ্গালি, সম্ভ্রম হারিয়েছেন ২ লাখেরও বেশি মা-বোন। সশস্ত্র বাহিনীর বাঙ্গালি সদস্যেরাই প্রথম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বাং...

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শুরু থেকেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন,‘বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংকট মোকাবেলায় ও ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সরকার শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা বিবিএস’এর এক ধারণা জর...

টাংগাইলের নাগরপুরের বনগ্রামে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস পালন

আজ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ঐতিহাসিক বনগ্রাম গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এইদিনে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানাধীন গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রামে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী এক নারকীয় হত্যাকান্ড চালায়।পাক হায়নাদের সেদিনের সেই নির্মম জিঘাংসার স্বীকার হন বনগ্রামের মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ ও স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।  সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ...

বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ : মূল্যবোধের পুননির্মাণ ভাবনা

ড. মীর মেহবুব আলম নাহিদঃ আমাদের পরিচয় বাঙালি সংস্কৃতিতে, আর মুক্তিযুদ্ধ তার শ্রেষ্ঠ অর্জন। আমরা ঋণী তাঁদের কাছে, যাঁরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করে আমাদেরকে মুক্ত আকাশ দেখবার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছর চলমান। এখনও এ দেশে ঘাপটি মেরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রামরত।...

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থলঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থল। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো, তাদের জন্য বীর নিবাস তৈরী করে দেয়া, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া, সরকারি যানবাহনে বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া, হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা...

বাঙ্গালির সূচনাবিন্দু ছয় দফাঃ আওয়ামী লীগের অনলাইন আলোচনায় বক্তারা

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে রোববার (৭ জুন) রাতে অনলাইনে সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠান ‘৬ দফা থেকে স্বাধীনতা’ শীর্ষক তরুণদের সাথে রাজনীতিক ও ইতিহাসবিদদের ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। ওয়েবিনারটি সম্প্রচারিত হয় আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে। সঞ্চালনায় ছিলেন সুভাষ সিংহ রায়। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি ...

ঐতিহাসিক দিনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা

আজ ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল। এইদিনে মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে বাংলাদেশের মুক্তিপাগল সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার এক বছর পর একই দিনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান, আর সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের সাংগঠনিক কমি...

১৭ এপ্রিল ১৯৭১: একটি ঐতিহাসিক ধাপ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ

এম নজরুল ইসলামঃ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বাঙালি জাতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা কেবলই নিপীড়িত হয়েছে। বাঙালিকে বঞ্চিত করা হয়েছে প্রতি পদে পদে। ১৯৭০-এ পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সরাসরি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু বাঙালিদের পাকিস্তানের শীর্ষ ক্ষমতায় যেতে দিতে পাঞ্জাবি শাসকরা রাজ...

এই দুঃখের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনা পরিস্থিতির এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষকে সাহায্য করেন। এই দু:খের সময়ে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।’ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণকালে একথা বলেন শেখ হাসিনা। মানুষের পাশে না দাঁ...