১৯৭১: মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নেন ও জাতিকে প্রস্তুত করেন স্বাধীনতার জন্য

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত নির্দেশনার পর দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ব্রিটেন প্রবাসী ১০ হাজার বাঙালি লন্ডনে স্বাধীন বাংলার দাবিতে বিক্ষোভ করে। একদিকে পাকিস্তান সরকার অকার্যকর হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে আরো বড় ত্যাগের প্রস্তুতি চলছিল তখন দেশজুড়ে। ৯ মার্চ, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঢাকা ...

১৬ই ডিসেম্বর: মহান বিজয় দিবস-নিশঙ্ক চিত্ত, সুউচ্চ শির

১৬ ডিসেম্বর, রক্তস্নাত বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাথা উচু করার দিন। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করে বহু প্রাণ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদিনে বীর বাঙালি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের পর এদিন আত্মসমর্পণ করে মুক্তিকামী মানুষের কাছে। আর পাকিস্তানি বাহিনীর এই আত্মসমর্পণের ম...

বঙ্গমাতা: বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অতন্দ্র প্রহরী

শেখ ফজিলাতুন নেছা, ডাক নাম রেণু। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে রেণু নামেই অসংখ্যবার সম্বোধন করেছেন তাকে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠাঙ্গিনী, তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে সদাব্যস্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সংসারের প্রাণভোমরা এই বাঙালি গৃহবধূ ক্রমেই হয়ে উঠেছেন জাতিকে স্বস্তির ছায়াদানকারী আঁচলধারিণী। তিনি যেমন একহাতে নিজের সংসার সামলেছেন, ত...

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু: মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের বীজমন্ত্র

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, তার নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারেনি বাঙালি জাতি। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীরা এই দেশকে আবারো শ্মশানে পরিণত করতে চেয়েছিল। দুই দশকের এক দীর্ঘ বিভীষিকাময় সময় ছিল সেটা জাতির জন্য। অথচ, বহির্বিশ্বে কিন্তু তখনও বঙ্গবন্ধুর নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হতো। ঠিক তেমনই, বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অদম্য উৎসাহে...

৫১ বছরে ফিরে দেখা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র

জেবউননেছা:  উত্তাল ১৯৭১। বিক্ষুব্ধ সেই সময়ে কলমসৈনিক কবি ও নাট্যকার মু. জালাল উদ্দিন নলুয়া তাঁর ‘১৯৭১-এর দিনলিপি’–তে ৮ মার্চ লেখেন, ‘গতকাল রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ভাষণ ঢাকা থেকে রিলে করার কথা ছিল, কিন্তু সামরিক কর্তৃপক্ষ তা হতে দেয়নি। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ঢাকা বেতারের ৩য় অধিবেশন প্রচারিত হয়। পর...

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে গত সাড়ে তেরো বছরে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগা-প্রকল্পগুলো দ্রুত এগোচ্ছে। আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়েছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূলে &...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

বিশ্বজিত ঘোষঃ পূর্ববাংলার পশ্চাৎপদ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উচ্চশিক্ষায় আকৃষ্ট করা এবং বাংলায় ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শে পরিকল্পিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহু গুণী মানুষের সান্নিধ্যে ধন্য হয়ে ওঠে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাত...

৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে বাঙালিকে প্রেরণা দিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের প্রজন্মের কাছে বিশ্বটা উন্মুক্ত। তাদেরকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না। হয়ত ২১ বছর করতে পেরেছিল কিন্তু এখন আর পারবে না। প্রযুক্তির এই যুগে আর অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া যাবে না। বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে বাঙালিকে প্রেরণা দিয়ে যাবে, একটা চিরন্তণ ভাষণ হিসাবে বিশ্বের বুকে উদ্ভাসিত থাকবে। সোমবার (৭ মার্চ) সকা...

৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম আনুষ্ঠানিকতা

এম. নজরুল ইসলামঃ  পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্মের ২৩ বছর পর ১৯৭০ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো সরাসরি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বাঙালীর প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত...

ফিরে দেখা উত্তাল মার্চ ১৯৭১- স্বাধীন বাংলার পতাকা পেয়ে গেল জাতি

আজিজুল পারভেজ:  ২ মার্চ, ১৯৭১। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিলের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের আহ্বানে ঢাকায় পালিত হয় হরতাল কর্মসূচি। কেমন ছিল সেই হরতাল? সেই চিত্র উঠে এসেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গ্রন্থে। ‘হরতালের দিনে ফাঁকা রাস্তার মাঝখান দিয়ে...হাঁটতে হাঁটতে নিউ মার্কেটের দিকে চলে গেলাম। কী আশ্চর্য! আজকে কাঁচাবাজারও বস...

৭ মার্চের ভাষণ ভাষার জাদু

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামঃ এক বিদেশি সাংবাদিক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সকাল থেকেই একজন দোভাষী খুঁজছিলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দেবেন তা তাৎক্ষণিক ইংরেজি করে তাকে শোনাবে, সেজন্য। দুপুরের আগে আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ হলো, বললাম ভাষণ শুরুর আগে টিএসসিতে এসে তার সঙ্গে রেসকোর্স মাঠে যাব। মাঠে সেদিন কত মানুষ ছিল, কেউ বলতে পারবে না। হয়তো ১০ লাখ। হয়তো আট ...

ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের পর অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় পাকিস্তানি হানাদাররা

ডিসেম্বর মাস এলেই বাঙালি জাতি যেমন বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে, তেমনি বর্বর পাকিস্তানিরাও পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবে যায়। তবে ১৯৭১ সালে আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের পরও কিন্তু তাদের বর্বর সেনাদের হিংস্রতা থামে নি। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের পরও সভ্য হতে পারেনি এই জান্তারা। ত্রিশ লাখ বাঙালি হত্যা ও কমপক্ষে দুই লাখ নারী...

মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র

মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল): একাত্তরে বাংলাদেশের নয় মাসের যে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম; তার গতিপ্রকৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে। কখনও মুক্তিবাহিনী এগিয়েছে তো পিছিয়েছে কখনও। একাত্তরের ডিসেম্বরেই আছে এমনি একাধিক উদাহরণ। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে সঙ্গত কারণেই সবচাইতে গৌরবের দিন। তেমনি ডিসেম্বরেই আছে শোকাবহ ১৪। এই ডিসেম্বরের আরেকটি অনন্য তারিখ ৬। আজ ৬ ডিসেম্বর। একাত্...

বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির আত্মপরিচয়

মোহাম্মদ বেলাল হোসেন: স্বাধীনতা। চার অক্ষরের শব্দ। পরিধি তার ব্যাপক। নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসরত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ জীবনের সামগ্রিক ক্ষেত্রে নিজস্ব রীতিনীতি, স্বকীয়তা অটুট রেখে স্বজাতির ম্যান্ডেট নিয়ে জনপ্রতিনিধির শাসনে পরিচালিত হতে পারার গ্যারান্টিই হচ্ছে স্বাধীনতা। যে কোনো দেশের স্বাধীনতা এমন একটি অমূল্য সম্পদ, যা কুড়িয়ে পাও...

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও আমাদের স্বাধীনতা

হীরেন পণ্ডিতঃ প্রত্যেক দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন বড়মাপের নেতা থাকেন। যেমন আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, রাশিয়ার লেনিন, চীনের মাও সেতুং, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, ভিয়েতনামের হো চি মিন এবং বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বা স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হিসেবে তারা নিজ নিজ দেশে মর্যাদার আসনে চিরকাল অধিষ্ঠিত আছেন। ...

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিস্ময়

ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএঃ ঐতিহাসিকেরা এ ব্যাপারে একমত যে ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরাস্ত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার কব্জা করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের থাবা বিস্তার করতে সক্ষম হয়। তারও আগে সমৃদ্ধ এই বাংলা জনপদে বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ইউরোপীয় অন্য বণিকদের হারিয়ে ব্রি...

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের সরকার পরিচালনা

বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হাজার বছরের শোষণ ও দাসত্ব থেকে মুক্তির পায় বাঙালি জাতি, স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ শাসনের সময় পান বঙ্গবন্ধু। আওয়ামী লীগের এই সাগে তিন বছরের স্বল্প সময়েই শত বছর সামনে পথ চলার ভিত্তি স্থাপন করেন তিনি। এমনকি এখনো বাংলাদেশ যেসব নীতির ওপর পরিচালিত হচ্ছে সেগুলোর অধিকাংশ বঙ্গবন্ধুর ঠিক করে দিয়ে যাওয়া।...

বঙ্গবন্ধুর ও আওয়ামী লীগের গণমুখী নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি

১৯২০ সাল, খুব মজার একটা হিসেব আছে এখানে। এই বছরই কিন্তু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন মহাত্মা গান্ধী। খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কিন্তু জন্মগ্রহণ করেছেন এই বছরেই। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী রীগের অসহযোগ কর্মসূচির সফল প্রয়োগ করেছিলেন তিনি ১৯৭১ সালে। কাকতালীয় হল...

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের যুগলযাত্রা

যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, সেই কালপুরুষের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যার বেড়ে ওঠার প্রতিটি দিনলিপির সঙ্গে লেখা আছে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শেখ মুজিবের জীবনের ধারাপাত। তাই বাংলাদেশের পথচলা জানতে হলে, শেখ মুজিবের জীবনকথা জানা জরুরি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বৃহত্তর ...

স্বাধীনতার পরেই নারীদের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয় আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ’৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেছিল। নারী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করেছে, স্বামী-সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে এবং লাখ লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়ে বিজয়ে অবদান রেখেছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকেই স্বপ্নের সাথী হয়েছেন বেগম ফজিলাতুননেছা ...