মতামত

সবকিছু চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে

অগ্নিঝরা মার্চের নবম দিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা শহর যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। যেখানে-সেখানে জটলা, মিছিল, মিটিং চলতেই থাকে। লাগাতার আন্দোলনে দেশ পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, শিক্ষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলা...

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কৃষি

ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়াঃ বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে কৃষিই ছিল এ দেশের অর্থনীতির প্রধান খাত। এ দেশের জনসংখ্যার সিংহভাগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এই কৃষিকে দেখে দেখেই বেড়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু। খুব কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন কৃষিকে অবলম্বন করা আধপেটা-একপেটা কৃষক আর তাদের দারিদ্র্যপীড়িত জীবন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ চিত্র ...

নারীবান্ধব বঙ্গবন্ধু

পূরবী বসুঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষের সমকক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন। আর নারী উন্নয়নের পক্ষে তার এই প্রগতিশীল অবস্থান ঘরের অভ্যন্তরে ও বাড়ির বাইরে বৃহত্তর রাজনীতিতে- উভয় স্থলেই প্রতিফলিত হয়। নোবেল বিজয়ী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের মতে, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য যে উন্নত অবকাঠামো, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রয়োজন- এর অনুপস্থিতি ...

শ্রেষ্ঠ এক বিকেলের গল্প

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। সেই একটি দিন, একটি অপরাহ্ন। জনসমুদ্রে গণজোয়ার তোলা এক ইতিহাস। তিনি এলেন। মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করলেন মানুষেরই মনের কথা। ‘ঘরে ঘরে দুর্গ’ গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নিয়ে ঘরে ফিরে গেল মানুষ। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় সেদিনের চমৎকার এক বর্ণনা আছে। একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে/ লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধ...

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এশিয়া অন্যরকম হতো

প্রণব মুখোপাধ্যায়ঃ বর্তমান বাসভবন ১০ নম্বর রাজাজি মার্গে উঠেছি কিছুদিন হলো। সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামও অবসর নেওয়ার পর এ বাংলোয় থাকতেন। রাজধানী দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন, নর্থ ও সাউথ ব্লকের নির্মাতা ব্রিটিশ স্থপতি এডোয়ার্ড টিয়েন এ বাংলোতেই বাস করতেন। দোতলা বাংলোর একতলায় বসার ঘর, সেখানকার বড় কাঠের টেবিলটা দেখলে আরেকটা টেবিলের কথা মনে পড়ে। আমি যখন প্রথম অর্...