উপজেলা নির্বাচনে সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানঃ প্রধানমন্ত্রী

430

Published on মার্চ 19, 2014
  • Details Image


তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোন সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণকেও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাদেরও রুখে দাঁড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরীকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
সরকারি দলের সিরাজুল আকবরের অপর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত এ দু’টি দল যখন এক হয়েছে তখন স্বাভাবিকভাবে মানুষের জীবনে শান্তি আসতে পারে না।
বিএনপি’র জন্ম সামরিক ছাউনিতে এবং জামায়াত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের প্রতিরোধ করার ব্যাপারে সরকারের কিছু করণীয় নেই। এটা তাদের চরিত্রগত ব্যাপার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে জনগণ যদি এ ব্যাপারে জনমত গড়ে তোলে তাদের প্রত্যাখ্যান করে তাহলে হয়তো তাদের চরিত্র পাল্টাতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার স্বাধীনতার চেতনা, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চায় বলে প্রতিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের সংগঠন। স্বাধীনতার মূল চেতনা প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চায় বলে যতবার সরকারে থাকে, ‘হারি-জিতি বড় কথা নয়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এ দলটির লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি সরকারের গত এবং বর্তমান মেয়াদে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সব ক’টি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সব সময় জনগণের সাথে আছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র হিসাবে স্থাপিত অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ৪৪৮টি প্রাথমিক এবং ২৫০টি মাধ্যমিক ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়াই হচ্ছে বিএনপি’র কাজ। এটিই হচ্ছে জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।
উপজেলা নির্বাচনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আইন-শৃংখলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আরো সক্রিয় হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সকল জেলা/ইউনিট অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সমন্বিত দায়িত্ব পালনের ফলে সাধারণ ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত