ফরমালিনের অপব্যবহার রোধে খসড়া আইনের অনুমোদন দিল মন্ত্রীসভা

478

Published on জুন 30, 2014
  • Details Image

খসড়ায় লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

লাইসেন্সধারীর ক্ষেত্রে লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে এই বিল উত্থাপন করা হতে পারে।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সুপারিশ ও পরামর্শের ভিত্তিতে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এই আইনে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণের বিধান রয়েছে, ফরমালিন ব্যবহারের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে লাইসেন্স ছাড়া এর উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত খসড়ায় ফরমালিন উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রাখার জন্য ২ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে ফরমালিন মজুতের জন্য ২ থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইনে এ ধরনের অপরাধ ধর্তব্য এবং জামিন অযোগ্য বলে গণ্য হবে এবং মোবাইল কোর্টকে বিচারের ক্ষমতা দেয়া হযেছে।

আইনটি বাস্তবায়নে প্রতি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ কমিটি’ গঠিত হবে।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বৈঠকে সমুদ্র গবেষণা বিল-২০১৪’র চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। কক্সবাজারের রামুতে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আইনগত ভিত্তি দিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এটি হবে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং এর ১৮ সদস্যের একটি পরিচালনা পরিষদ থাকবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এই পরিষদের প্রধান হবেন।

বৈঠকে চাকরির শর্তাবলী, শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতা এবং শাস্তি সম্পর্কিত পূর্বতন ৩ আইনের স্থলে তিনটি নতুন আইনের খসড়া প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

সামরিক শাসনামলের এই ৩ আইন ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাতিল হয়ে যায়।

আইন ৩টি হচ্ছে সরকারি-কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ-১৯৭৯, সরকারি-কর্মচারী (অপসারণ ও শাস্তি) অধ্যাদেশ-১৯৮৫ এবং সরকারি-কর্মচারী শৃংখলা (সময়ানুবর্তিতা) অধ্যাদেশ-১৯৮২।

আইন ৩টি একই ধরনের হওয়ায় এর সমন্বয়ে একটি আইন প্রণয়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত