অর্থ পাচার রোধে সমঝোতা চুক্তি সই করলো বাংলাদেশ-ভুটান

510

Published on জুলাই 18, 2014
  • Details Image

বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউর ডেপুটি হেড ম. মাহফুজুর রহমান ও ভুটানের পক্ষে রয়েল মনিটরিং অথরিটির ডেপুটি গভর্নর ইডেন দেমা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

গত বৃহস্পতিবার চীনের ম্যাকাউ শহরে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মানি লন্ডারিং বিষয়ক দ্য এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ ও ভুটান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভুটানের সঙ্গে এ চুক্তি করায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে।

চুক্তিতে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতির জন্য ভুটানকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং ভুটানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। চুক্তির শেষে উভয় রাষ্ট্র সন্তোষ প্রকাশ এবং চুক্তি অনুযায়ী মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আসলাম আলম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস খান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডিরেক্টর জেনারেল এম এইচ সালাহ উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম হাফিজুর রহমান, আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

সূত্র মতে, গত বছরের ৩রা জুলাই এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ। এগমন্ট গ্রুপ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। যারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ এ সংগঠনের সদস্য পদ পাওয়ায় সংগঠনটির মোট সদস্য ১৩২। এরপর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এগমন্টের সদস্য পদ পাওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। বিশেষ করে এগমন্টের অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে আমরা স্পর্শকাতর তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছি। ফলে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে কেউ সহজে পার পাবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, অনেক উন্নত দেশের এফআইইউ এখন বাংলাদেশ এফআইইউর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে আগ্রহী হচ্ছে, যার ফলে এসব দেশের এফআইইউর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে।

এছাড়া ‘এগমন্ট গ্রুপ’ বাংলাদেশ এফআইইউর কর্মকর্তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে সহযোগিতা প্রদান করবে। যার ফলে এফআইইউর কর্মকর্তারা আরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন।

-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত