মোবিফোর্জের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মোবাইল ব্যবহারকারী দেশ বাংলাদেশ

442

Published on ডিসেম্বর 1, 2014
  • Details Image

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই মুঠোফোনের গ্রাহক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের ৭০ শতাংশ এবং ভারতের ৬২ শতাংশ গ্রাহক রয়েছে। বড় মুঠোফোন ও টেলিকম-সুবিধা রয়েছে, এমন দেশগুলোর বড় বাজারেরও একটি বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

মুঠোফোনের এ ব্যবহার সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ার ফলে এ খাতে যথেষ্ট সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে তরুণদের জন্য বিষয়টি খুবই উপযোগী। সফল একটি অ্যাপ তৈরি করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, যা অনেক দেশেই হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান সামনের দিকে। দি ইকোনমিস্ট-এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন মুঠোফোনে ২৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। লেনদেন হওয়া মোট টাকা দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম।

শক্তিশালী নেটওয়ার্ক-সুবিধা থাকায় টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কল ড্রপের ক্ষেত্রে ‘কল ব্যাক’ সুবিধা দিচ্ছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। একসময়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের মুঠোফোন সেট মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। এখন সেটা এক হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে তিন হাজার টাকার মধ্যে।
১৯৯৭ সালে মুঠোফোন শুরুর সময় কলরেট ছিল মিনিটে ৩০-৩২ থাকা। এখন ২৫ পয়সায় নেমে এসেছে। এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলের আইফোন বিক্রি শুরু হয়েছে। মুঠোফোনে ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া, টেলিমেডিসিন সেবা, সংবাদ জানাসহ গৃহস্থালি নানান সেবার বিলও পরিশোধ এখন বেশ জনপ্রিয়।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত