ভুটানের কিংস কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

450

Published on ডিসেম্বর 2, 2014
  • Details Image

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে দু’দলের মধ্যাকার এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

২৫ মিনিটেই দুর্দান্ত এক হেড থেকে পুনের জালে বল জড়ান শেখ জামালের ইয়াসিন খান। এরপর প্রথমার্ধে আর কেউ গোলের দেখা পায়নি।

তবে খেলার অতিরিক্ত সময়ে জামাল ভুঁইয়াকে রেফারি লাল কার্ড দেখালে দশজনের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল। বাকী সময় আর কোনো গোল না হলে শিরোপার আনন্দে মেতে উঠে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

এর আগে দুর্দান্তভাবে এ টুর্ণামেন্ট শুরু করে ধানমন্ডির এ ক্লাবটি। উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানের দল ড্রুক ইউনাইটেডকে হারিয়ে শুভ সূচনা করে শেখ জামাল।

দলটি তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের দল নাখোন রাটচেসিমারকে সঙ্গে ড্র করে। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভারতে ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগানকে ৫-৩ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে।

আর সেমিফাইনালে নেপালের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়ে ফাইনালে ওঠে শেখ জামাল।

এ জয়ের ফলে ফেব্রুয়ারিতে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে হারের ব্যথা কিছুটা হলেও ভুলতে পারবে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী এ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

গ্রুপ পর্বের খেলায় ভারতের মোহনবাগানকে হারায় শেখ জামাল। আর পুনে এফসি হারিয়েছে বাংলাদেশের আবাহনীকে।

আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়া ফরোয়ার্ড সোহেল রানাকে ছাড়াই পুনের মুখোমুখি হতে হয় শেখ জামালকে। এছাড়া লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফাইনালে ফিরেছেন ওয়েডসন। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে শিরোপা জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন ইয়াসিন খান।

এর আগে ১৯৮০ সালে নেপালের আনফা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী আরামবাগ। ১৯৮২ সালে ঢাকা মোহামেডান ভারতের আশিশ-জব্বার স্মৃতি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল। মোহামেডানের কৃতিত্ব ছিল আরও কয়েকটি। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আরেক ক্লাব, আবাহনীও বিদেশের মাটিতে শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করেছিল। ১৯৯১ সালে ভারতের নাগজি ট্রফি এবং ১৯৯৩ সালে চার্মস কাপে শিরোপা জিতেছিল তারা। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র জিতেছিল ম্যাগডোনাস কাপ।

-বিডিনিউজ২৪

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত