১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা

431

Published on ডিসেম্বর 3, 2014
  • Details Image

সার্কের বড় বড় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর সেগুলোর ভাগ্যন প্রায়শই অনির্ধারিত থেকে যায়, কিন্তু বাংলাদেশের ঐকান্তিক চেষ্টায় সকল সার্ক নেতৃবৃন্দকে এক টেবিলে বসিয়ে একটি সাধারণ গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিনিময়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিদ্যুৎশক্তির ব্যাপারে সহায়তার ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চাপ প্রয়োগ করে গেছে এবং অবশেষে তা বাস্তবায়নের সমর্থ হয়েছে, যার ফলে সার্কের প্রতিটি দেশই সুবিধা পাবে।

এছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব ‘কাঠমাণ্ডু ঘোষণা’র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অভিবাসন, সমুদ্র অর্থনীতি এবং ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়নের এজেন্ডাগুলো বাংলাদেশর পক্ষ থেকে সার্ক ঘোষণার ৩৬ পয়েন্টের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

দুই দিন ব্যাপী ১৮তম সার্ক সম্মেলনটি ২৬ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়।

এর পাশাপাশি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্কের বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সাথে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আলোচনায় শেখ হাসিনা জানতে চান দেশের সীমান্ত চুক্তি এবং তিস্তার পানি বণ্টন সম্পর্কে। উত্তরে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন ভারত এই সমস্যাগুলো সমাধানে বিশেষ জোর দিচ্ছে এবং এই ব্যাপারে তারা একটি জনমত জরিপও চালাচ্ছেন।

সন্ত্রাসের ব্যাপারে, উভয় নেতৃবৃন্দই একে দমনের ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান তাদের জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি দুই দেশের ভূ-সীমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে তারপর সেই প্রতিবেদন নিয়ে তাদের লোকসভা আর রাজ্যসভায় আলোচনা হবে।

তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, আফগান রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি আহমাদজাই এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুর গাইয়ুম এর সাথেও আলাপ করেন এবং সার্ক সদস্য দেশগুলোর প্রতিও তাঁর বক্তব্যে আহবান জানান পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহায়তার পাশাপাশি এগিয়ে এসে ব্যতিক্রমী অবদান রাখতে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত