555
Published on মার্চ 21, 2015প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘প্রতি মাসে দেড় লাখের মতো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর অধিকাংশই গ্রাম এলাকায়। দেশে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের এখন ১১ হাজার মেগাওয়াটের মতো গ্রিড কানেক্টেড পাওয়ার রয়েছে। যদিও বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার মেগাওয়াটের মতো। যখন বেশী গরম পড়বে এবং সেচের চাহিদা বেড়ে ৮ হাজার সাড়ে ৮ হাজার হয়তো পৌঁছবে। আমরা চেষ্টা করছি চাহিদা মেটানোর জন্য।’
২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান ছিল ৩,২৬৮ মেগাওয়াট। ২০১৪ সালে এই পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,২৬৫ মেগাওয়াটে।
মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ এর শেষে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান বেড়ে দাঁড়াবে ১৩,৩০১ মেগাওয়াটে এবং ২০২১ সালের মধ্যে ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ যার ফলে দেশের সকল মানুষকেই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ১৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার মত ক্ষমতা রয়েছে। ৮০০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে আসছে গ্রীষ্মে ১০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব বলে মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়।
পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৩৪ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছাতে না পারলেও এসকল অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের চাহিদা মিটছে।
নির্মানাধীন বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো এই বছরের মধ্যেই উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। কয়লাকে প্রাথমিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে সরকার। বর্তমানে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো ৪১ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে।
সম্প্রতি ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে যা ক্রমে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়াবে।
 
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                            