401
Published on অক্টোবর 29, 2015এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহযোগীরা দেবেন দুই হাজার ১৪৫ কোটি। বাকি টাকা সরকারি অর্থায়নে নির্বাহ করা হবে।
পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ মুস্তাফা কামাল অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হচ্ছে পায়রা সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১২৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে পায়রা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম চালু করা ও জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে বন্দরের যোগাযোগ স্থাপন করতে পাঁচ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।
সড়কটি হবে রজপাড়া থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত। প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করা হবে। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদী এ প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে অবস্থিত পায়রা বন্দর দেশের তৃতীয় ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম সামুদ্রিক বন্দর। অবস্থানগত কারণে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তেমনভাবে হয়নি বন্দরটির। অবকাঠামো সুবিধাদির অভাব ও সংলগ্ন মহাসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখন পর্যন্ত এটি চালুই হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে ভিত্তিফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এ বন্দরের উদ্বোধন করেন। তবে গত দু’বছরেও এর পূর্ণাঙ্গ ভিত্তি দেওয়া হয়নি। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের উন্নয়নেও এটি অবদান রাখবে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং আধুনিকীকরণ প্রকল্প, যার ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯ লাখ টাকা, ডাল ও তেল বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ১৬৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণে ১০৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৬০৮টি ফ্লাট নির্মাণ ব্যয় ৪৫৮ কোটি ৬২ লাখ, বুয়েটে শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার স্থাপন ব্যয় ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর প্রোগাম যার ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।