692
Published on ডিসেম্বর 19, 2015তারা বলেন, একসময় লোডশেডিং ছিল সারাদেশের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা। কিন্তু আজ শহরে ও গ্রামে লোডশেডিং হয়না বললেই চলে। পাওয়ার সেল বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের একান্ত প্রচেষ্টা ও সময়োপযোগী উদ্যোগ ও নিরবিচ্ছিন্ন তদারকির কারনেই লোডশেডিং এর অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
সরকার ইতিমধ্যেই ৪২ হাজার কিলোমিটার নতুন লাইনের মাধ্যমে তিন কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছে। এরই সাথে ২০১৪ থেকে ২০১৫ এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১,৭৯৮ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করেছে, বলেন পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক।
বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৪-১৫ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪,০৭৭ মেগাওয়াটে উত্তীর্ন হয়েছে। দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কারনেই আওয়ামী লীগ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দুই মেয়াদে এই অভাবনিয় সাফল্য এসেছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, "আমরা ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছি যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১,৭৯৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে চারটি সরকারি ও সাতটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে"। পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক বলেন, সরকার কয়লাকে মূল উৎস হিসেবে ব্যবহার করে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যস্থির করেছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার পাওয়ার প্ল্যান্টের সংখ্যা, সরবরাহ লাইন, ট্রান্সমিশন লাইন ইত্যাদি বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ নিশ্চিত হবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সরকার ৭৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে, এর ফলে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬,৩০৬ মেগাওয়াট। আমদানিকৃত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎসহ জাতীয় গ্রিডে ৬,৮০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করেছে সরকার। পাশাপাশি ১১,৪০৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৭৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সম্পন্ন করেছে।