দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

670

Published on জানুয়ারি 18, 2016
  • Details Image

বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনের দক্ষিণ লনে পৌঁছলে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মাগরিবের নামাজের জন্য ১০ মিনিট বিরতিসহ এই অনুষ্ঠান তিন ঘন্টাব্যাপী চলে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা হেঁটে হেঁটে বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কুশল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। এসময় বিভিন্ন শিল্পীর পরিবেশিত দেশাত্মবোধক ও লোক সঙ্গীত এবং কবিতা আবৃত্তি উপভোগের মাধ্যমে বরেণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি স্মরণীয় সময় কাটান।

এসময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাও বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগ দিয়ে বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কুশল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

গণভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে সুসজ্জিত মঞ্চে দেশের নেতৃস্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী ও কবিরা গান এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন। গণভবনের সবুজ লনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বসে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বেশ কিছু চমৎকার সঙ্গীত ও কবিতা উপভোগ করেন।

একটি গীতি নৃত্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদের কন্যা রাইসা আহমেদ সেরা পরিবেশিত একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের সঙ্গে শিশুরা গীতি নৃত্য পরিবেশন করে। পরে ডালিয়া আহমেদ কবিতা আবৃত্তি করেন এবং প্রিয়াংকা গোপ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে শোনান লাইসা আহমেদ লিসা, সাজেদ আকবর ও সালমা আকবর। জাতিগত সংখ্যালঘু গ্রুপের পক্ষ থেকে রাখাইন সম্প্রদায় তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন। বিশিষ্ট আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ও কবিতা আবৃত্তি করেন।

তিমির নন্দী গেয়ে শোনান বিখ্যাত গান ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে’। নার্গিস ফাতেমা গেয়েছেন ‘তোমাকে শোনাতে এই গানের বীণা’। শামা রহমানও একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আলম শাকিল শচীন দেব বর্মনের ‘তাক দুম তাক দুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল’ গেয়ে শোনান। প্রখ্যাত অভিনেতা মীর সাব্বির বরিশালের উচ্চারণে ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।

শিল্প কলা একাডেমীর শিল্পীরা দেশাত্মবোধক ও লোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ড. জুলফিকার লেনিন একটি গান শোনান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব-২ নমিতা হালদার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে পাটি সাপটা, ভাপা ও চিতই-এর মতো ঐতিহ্যবাহী পিঠা দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুর রহমান, হাসান শাহরিয়ার, ইউএনবি সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান, ফরিদ আহমেদ, নাদিম কাদির, কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, সংবাদ সম্পাদক আলতামাস কবির, চ্যানেল আই-এর পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ, বিডি নিউজ ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদি, একাত্তর টেলিভিশনের মোজাম্মেল বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, প্রফেসর এ্যামিরিটাস এ কে আজাদ চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল আর্সালান, অভিনেতা আলী যাকের, কবি মহাদেব সাহা, ড. ইনামুল হক, অভিনেতা ফারুক, পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গীত দম্পত্তি রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা, যাদুকর জুয়েল আইচ, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, নিমা আনাম, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও মীর সাব্বির এবং আইসিটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার যোগ দেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, সিনিয়র জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, তথ্য সচিব মুর্তজা আহমেদ, ড. খলীকুজ্জামান আহমেদ, ড. গোলাম রহমান, কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত