5253
Published on ডিসেম্বর 21, 2017নিজেকে দেশের জনগণের সেবক বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমি জনগণের সেবক। তাদের টাকায় বেতন নিই, তাদের টাকায় আমি চলি। তাই তাদের কতটুকু সেবা দিতে পারলাম সেটাই ভাবি।’
বৃহস্পতিবার শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি ভবনের আয়োজিত ১০২ ও ১০৩তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ৭০ জন বিসিএস ক্যাডারদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
ভাষনে প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তাদের নির্ধারিত এলাকায় সাধারণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সমস্যা দেখা এবং সেসব সমস্যা সমাধানে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে সব কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন, স্থানীয় জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের আস্থা অর্জন করুন।’
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, শুধু ফাইলে সই করাই তাদের দায়িত্ব নয়, বরঞ্চ মানুষের কল্যাণে নিষ্ঠা ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা থাকতে হবে- উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন বিষয়ক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদিক এবং একাডেমির রেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জনপ্রশাসনের ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণের দিকে যে দৃষ্টি দিয়েছে কর্মকর্তারা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার জীবন থেকে শিক্ষা পেয়েছি যে, মানুষের যত কাছে যাব তাদের জন্য তত বেশি ভালো কিছু করতে পারবো।
প্রশাসনের নতুন ক্যাডারদের মন থেকে মানুষের সমস্যা বোঝার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তারা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উদ্ধৃত করে বলেন, ‘মানুষের সেবা করার মত আনন্দের আর কিছু নেই।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধু এসব বৈষম্য থেকে দেশকে মুক্ত করতে সারাটা জীবন কারা নির্যাতনসহ নানা অত্যাচার নির্যাতন ভোগ করেছেন।
‘যদি দেশ স্বাধীনতা অর্জন না করত, তবে আমাদের অনেকেই এ অবস্থানে আসতে পারতাম না’- তিনি উল্লেখ করেন।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল