মাতারবাড়িতে লাভবান হবে পুরো দেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

13116

Published on জানুয়ারি 28, 2018
  • Details Image
    রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)
  • Details Image
    রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)
  • Details Image
    রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)
  • Details Image
    রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)
  • Details Image
    রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)
  • Details Image
    রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ব্যয়ের দিক দিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর ফলে স্থানীয় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।

রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন শেখ হাসিনা।

সরকারের অগ্রাধিকারের ১০ প্রকল্পের মধ্যে খরচের দিক দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরই রয়েছে মাতারবাড়ির প্রকল্পটি।

বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় যে বন্দর নির্মাণ করা হবে, পরে তাকে গভীর সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরিত করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বন্দরসহ এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ মহেশখালী দ্বীপে আমরা যে কাজগুলি করে যাচ্ছি, এর ফলে ওই এলাকার মানুষের যেমন আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি বাংলাদেশও লাভবান হবে।”

জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে বাংলাদেশের অন্যতম বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প। সারা পৃথিবীতে এটিই জাইকার সবচেয়ে বড় অর্থায়নের প্রকল্প বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পনায় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়িকে ‘বিদ্যুৎ হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা রয়েছে। সরকার আশা করছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, এএনজি টার্মিনাল ও দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে মাতারবাড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠবে।

মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের ১৪১৪ একর জমিতে এই বিদ্যুত প্রকল্পটির প্রাথমিক অবকাঠামোর ১৭ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করেছি, ভবিষ্যতে আরো করব এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে জাপান সরকার যথেষ্ঠ সহায়তা দিচ্ছে।”

ওই এলাকায় পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি টাউনশিপ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

২০১৬ সালে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সাতজন জাপানি প্রকৌশলীর নিহত হওয়ার পর মাতারবাড়ি প্রকল্পও সংশয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত গত বছর জুলাইয়ে জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ।

জঙ্গি হামলায় জাপানি নাগরিকদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ‘এত ঘটনার’ পরেও জাপানিরা যে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।

মাতারবাড়িতে কর্মরত বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয়দেরও সজাগ থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

২০১৫ সালের অগাস্টে মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়, জাইকা এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আনার জন্য যে বন্দরটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার জাহাজও ভিড়তে পারবে। পরে যাতে বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা যায়, সে লক্ষ্যেই এ বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব্ হবে।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এখনো আমাদের বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। উন্নয়নের জন্য জাপান বিরাটভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”

সেজন্য জাপান সরকারকে, বিশেষ করে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে জানান শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত নয় বছরে বাংলাদেশে বিদ্যুত খাতের উন্নয়নের তথ্যও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তিনি।

ইতোমধ্যে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎসেবা পাচ্ছে জানিয়ে সরকারের বিদ্যুৎ নীতির সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে নতুন কিছু করতে গেলেই বাধা আসে। নানা রকম ফর্মুলা এসে যায়। অনেক তাত্ত্বিক গজিয়ে যায়। কেউ কেউ আছে হতাশায় ভোগে।
“কিছু করতে গেলেই বলে, গেল গেল সব গেল…। আমি হতাশার লোক না। আমি সবসময় আশাবাদী। বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চাই।”

গণভবনে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পে নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস। জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতসহ জাপানি প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিতি ছিলেন। আর মহেশখালীতে ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ আরেকটি প্রতিনিধি দল।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ‍উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।

ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত