স্বাধীনতার প্রথম দশক এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভঃ আবদুল মান্নান

3533

Published on এপ্রিল 1, 2018
  • Details Image

২২ মার্চ বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত তার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের প্রথম ধাপ পার হওয়ার দিনটিকে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করল। স্বাধীনতার এই মাসে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এর চেয়ে বেশি কিছু হতে পারে না। অভিনন্দন বাংলাদেশ। তবে এই বাংলাদেশে এখনো এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা এই দিনটির গুরুত্ব স্বীকার করেন না এবং নানাভাবে দিনটি উদ্‌যাপনের বিষয়টিকে কটাক্ষ করেন। একজন তামাদি নষ্ট বাম রাজনীতিবিদ ২২ তারিখে তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, যাঁরা সন্ধ্যায় পল্টনে জমায়েত হবেন (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে) তাদের কতজনের মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার হয়েছে হাত তোলেন। যে তিনটি মাপকাঠি ব্যবহার করে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের সড়কে উঠেছে বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা পেতে মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার হওয়া প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৭২ মার্কিন ডলার। যে নাদান এ ধরনের প্রশ্ন রেখেছেন, তিনি ঠিকই জানেন মাথাপিছু আয়ের ব্যাপারটি একটি দেশের মানুষের গড় আয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় প্রায় ৪৯ হাজার ৫০০ ডলার; তার অর্থ এই নয় যে প্রতিজন মানুষ বছরে এই অর্থ আয় করে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। তারা রাস্তায় বা পার্কে রাত যাপন করে। বারবার বলা হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশের সম্পূর্ণ স্বীকৃতি পেতে আমাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ২০২১ সালে জাতিসংঘ চূড়ান্ত সুপারিশ করবে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের যা কিছু অর্জন, তা ধরে রাখতে হবে। বলা যেতে পারে, এই কয়েক বছর বাংলাদেশের প্রভেশন পিরিয়ড। এটি অর্জন করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে দেশের মানুষকে। পুরো পথ যেতে হলে দেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো বেশ কিছু দূর এগিয়ে যেতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত বললেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অন্যান্য দেশ থেকে পেয়ে আসছে, তা বহাল থাকবে। সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন পণ্ডিত বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রশ্ন করলেন, তাই যদি হয়ে থাকবে, তাহলে সরকার এত সব হৈ-হুল্লোড় কেন করছে? আমার দৃঢ়বিশ্বাস, এই পণ্ডিতের এসব বোঝার ক্ষমতা সীমিত। সবচেয়ে হাস্যকর বক্তব্য দিলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। তাঁরা তাঁদের নিয়মিত সান্ধ্যকালীন নয়াপল্টনের আসরে বসে দেশের মানুষকে জানিয়ে দিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় থাকলে দেশের এই অর্জন ছয়-সাত বছর আগেই হতো! বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে সারা দিনের ক্লান্তি শেষে সন্ধ্যায় বিএনপি কার্যালয়ে রিজভী আহমেদের দৈনিক ‘সংবাদ সম্মেলন’ মানুষকে বেশ কিছু বিনোদন দেয়। যখন তাঁরা বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় থাকলে দেশের এই অর্জন ছয়-সাত বছর আগেই হতো, তাঁরা ভুলে যান যে তাদের ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাদের মেয়াদকালে ঢাকায় একবার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে তত্কালীন সরকারের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা নিয়ে থাকা ভালো। কারণ তখন সহজে দান-খয়রাত পাওয়া যায়। তিনি মোটেও বাংলাদেশের একটি ভিক্ষুকের জাতি থেকে উত্তরণ ঘটুক, তা চাইতেন না। একবার চট্টগ্রামে একটি ঘূর্ণিঝড় হলো। পুনর্বাসন তত্পরতা খুবই শ্লথ। তিনি চট্টগ্রামে গেলেন, বললেন, পুনর্বাসন তত্পরতা শ্লথ হলে ভালো। কারণ এতে বেশি করে বৈদেশিক দান-খয়রাত পাওয়া যায়। স্বাভাবিক কারণেই চট্টগ্রামের মানুষ তাতে আহত হলো। চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষিত হলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সন্ধ্যায় আরেকজন শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতা বললেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় সরকারিভাবে এমন উৎসব আয়োজন একটি হাস্যকর ব্যাপার। তিনি বুঝতে পারেন না যে তাঁদের নিত্যদিনের এই সান্ধ্যকালীন আসর দেশের মানুষের কাছে নিয়মিত বিনোদন ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে এখানে সমস্যা বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা নয়। সমস্যা শেখ হাসিনা। তাঁর আমলে এত সব অর্জন, তা কিভাবে সহ্য করা যায়? নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া, ভারত আর মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর মাদার অব হিউম্যানিটিজের খেতাব অর্জন, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের মডেল হিসেবে তুলে ধরা, রেকর্ড পরিমাণের বিদ্যুত্ উত্পাদন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য শুরু করা এবং মূল হোতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় কার্যকর করা, এত সব অর্জন তাঁরা প্রতিপক্ষ কেন সহ্য করবেন?

যাঁরা বাস্তববাদী, তাঁদের এটি স্বীকার করতেই হবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা না হতো, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের পক্ষে বর্তমান স্ট্যাটাস কমপক্ষে দুই দশক আগেই অর্জন করা সম্ভব হতো। এটি বুঝতে হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী এক দশকের মূল্যায়ন করতে হবে, যা বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটু কঠিন হতে পারে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৯৫ হাজার সদস্য আত্মসমর্পণ করল। একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ফিরলেন। ১২ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলো এবং তিনি সেই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। একটি নতুন দেশের নবগঠিত মন্ত্রিসভা গঠিত হলো ঠিক, কিন্তু দেশ পরিচালনায় প্রায় সবারই অভিজ্ঞতা ছিল শূন্যের কোঠায়। ছিল না কোনো বেসামরিক প্রশাসনে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। কিন্তু সবার একটি বড় অস্ত্র ছিল আর তা হচ্ছে নিখাদ দেশপ্রেম। প্রয়োজনের খাতিরে বঙ্গবন্ধু সরকার অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে কাজে লাগালেন। তাঁর সামনে সেই সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশে অবস্থানরত কয়েক হাজার ভারতীয় সেনাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো আর মুক্তিবাহিনীর হাতে থাকা অস্ত্র জমা নেওয়া, যা তিনি অল্প সময়ের মধ্যে করতে পেরেছিলেন। ভারত থেকে দেশে ফিরছে এক কোটি শরণার্থী। দেশের অভ্যন্তরে আছে আরো এক কোটি উদ্বাস্তু। এসব শরণার্থী ও উদ্বাস্তুকে পুনর্বাসনই শুধু করতে হবে না, তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে, যা ছিল দুরূহ। এগিয়ে এসেছিল বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত, তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ আরো কিছু দেশ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল দুটি পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র আর চীন। এ দুটি দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য শেষতক চেষ্টা করেছে। দেশের দুটি সমুদ্রবন্দর ছিল সম্পূর্ণ অকার্যকর। কারণ এ দুটি বন্দরকে পলায়নপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভাসমান মাইন (বোমা) দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু যখন এমন একটি কঠিন সময়ে দেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, মুসলিম লীগ, আলবদর, আলশামস, কট্টর চীনা বামপন্থীরা মওলানা ভাসানীর দলে অবস্থান নিয়ে সংগঠিত হওয়া শুরু করল। বঙ্গবন্ধুর সব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করার জন্য গঠিত হলো জাসদ বা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ সিরাজুল আলম খান, যাঁকে বঙ্গবন্ধু খুবই স্নেহ করতেন। মওলানা ভাসানী প্রকাশ করলেন হক কথা নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। সম্পাদক ইরফানুল বারী। পুস্তিকা আকারে কট্টর চীনপন্থীদের সাপ্তাহিক পত্রিকা গণশক্তি আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হওয়া শুরু হলো। জাসদ বের করল গণকণ্ঠ। এসব পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া শুরু হলো যত সব অসত্য সংবাদ আর কল্পকাহিনি। বন্যা আর যুদ্ধের কারণে চাষাবাদের ক্ষতি হওয়ায় চালের দাম বাড়লে মওলানা ভাসানী ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বের করলেন ভুখা মিছিল। তাদের এসব কাজে সহায়তা জোগাল বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক মহল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসচিব, যিনি বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে কখনো মেনে নিতে পারেননি। তিনি বললেন, বাংলাদেশ একটি বটমলেস বাস্কেট (তলাবিহীন ঝুড়ি), নরওয়ের অর্থনীতিবিদ ড. জাস্ট ফার্ল্যান্ড ও ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জ্যাক পারকিনসন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ টিকে থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন।

বঙ্গবন্ধু যাত্রার শুরুতে দেশের অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির ওপর বড় ধরনের আস্থা রেখেছিলেন; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাঁদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন অথবা করতে অক্ষম ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে সর্বাধিক ক্রান্তিকাল ছিল ১৯৭৪ সাল, যখন দেশে উপর্যুপরি বন্যার কারণে খাদ্যঘাটতি দেখা দিল। এ সময় খাদ্যসচিব ছিলেন আব্দুল মোমিন, বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের বাবা। তিনি খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে সঠিক চিত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন অথবা তথ্য গোপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই আব্দুল মোমিনকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া তাঁর উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। খাদ্যঘাটতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র যে সহায়তা করতে পারত, সেটি তারা যে শুধু করেইনি তা নয়, তারা তাদের পাঠানো খাদ্যবাহী জাহাজ মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেষ চেষ্টা হিসেবে দেশের সব দেশপ্রেমিক দল নিয়ে গঠন করেছিলেন বাকশাল। উদ্দেশ্য ছিল সব দলের অংশগ্রহণে দেশের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা। এরই মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। ঠিক তখনই এলো পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সেই কালরাত। এক রাতেই আসে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে শেষ করে দেওয়ার প্রথম আঘাত। বঙ্গবন্ধু যাদের বিশ্বাস করেছিলেন তারা সবাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল বেনিফিশিয়ারি জেনারেল জিয়ার সঙ্গে যোগ দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর সরকার পরিচালনা করেছিলেন। এই সাড়ে তিন বছরে তিনি বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সংবিধান দিয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে দেশ আবার পেছনের দিকে যাত্রা শুরু করে। ক্ষমতা দখল করার পর যেসব রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণের দায়ে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, জিয়া সেসব দলকে আবার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ করে দেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া অনেককে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই করে দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পালাক্রমে জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া দেশ শাসন করেছেন। এই সময়ে দেশের সব উন্নয়ন সূচক পেছনের দিকে গেছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়া শুরু হয়। ২০০১ সালে আবার ছন্দপতন হয়। পুনর্বার ক্ষমতায় আসেন বেগম জিয়া। এ যাত্রায় তিনি দেশে দুর্নীতিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন এবং সেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যদি সরকার গঠন না করতেন বাংলাদেশ যে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো, তা এখন পরিষ্কার। বলতে হয় পিতার আরাধ্য কাজ কন্যার হাত ধরে গতি পেয়েছে। যাত্রাপথে অনেকেই হুক্কা হুয়া করবে; কিন্তু যাত্রা তো থেমে থাকবে না। উন্নয়নশীল দেশের সড়কে উঠতে পারাটা যেকোনো মাপকাঠিতেই একটি বড় অর্জন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই পুরো পথ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করা হোক। তবে চলার পথে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সৌজন্যেঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত