ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নঃ সমস্ত সরকার

2486

Published on এপ্রিল 23, 2018
  • Details Image

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে জনগণের নৈতিক মান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে জাতীয় হজ ও ওমরাহনীতি ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ১ লাখ ১১ হাজার হাজির স্থলে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ব্যক্তির হজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়।

নয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত যেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সেসব এলাকার প্রতি উপজেলায় ২টি করে মোট ১ হাজার ১০টি দারুল আকরাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ হাজার শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৯ লাখ শিশু শিক্ষার্থীকে এবং ২৯ হাজার ২০০টি সহজ কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ১০ লাখ ২২ হাজার কিশোর-কিশোরীসহ ১৯ লাখ ৪১ হাজার জনকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র কোরআনের ডিজিটাল ভার্সনসহ আলাদা ওয়েবসাইট www.quran.gov.bd তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ কমপ্লেক্সে ৫ তলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। হিন্দুধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ দেওয়া হয়।

ইমাম ও মোয়াজ্জিম কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে এককালীন সাহায্য ও সুদমুক্ত ঋণদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার ৫০০ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৮ লাখ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও নৈতিকতা শিক্ষা এবং ২৫০টি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৩০ হাজার বয়স্ক ব্যক্তিকে সাক্ষরতা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্বত্য অঞ্চলে প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালনা ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় হজ ও ওমরাহনীতি ২০১৬ মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। জেদ্দা হজ উইংকে বাংলাদেশ হজ মিশনে রূপান্তরিত করা হয়। www.haji.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে ই-হজ ম্যানেজমেন্টের আওতায় অনলাইন হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৬০,৬৪৫ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, দুস্থ ব্যক্তির মাঝে মোট ৯১,৭৫,১৪,৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৮ হাজার ৭০০ জন ধর্মীয় নেতাকে ধর্মীয় ও নৈতিকতাসহ আর্থ-সামাজিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী ১৪টি বিভাগ, ৮টি বিভাগীয় ও ৫৬টি জেলা কার্যালয়, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং একটি হাসপাতালসহ ৫১টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। আমরা চাই ভবিষ্যতেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

সৌজন্যেঃ আমাদের সময়

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত