11878
Published on মে 14, 2019আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের চেয়ে ধনী দেশে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ। তাদের গবেষণায় আভাস দেওয়া হয়েছে, ওই সময়ে ভারতীয়দের চেয়ে বাংলাদেশিদের মাথাপিছু আয় ৩০০ ডলার বেড়ে যাবে। গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অর্থনীতির বিচারে আগামী দশক হবে এশিয়ার এবং শীর্ষ ৭ অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে মহাদেশের ৫টি দেশ: বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন। ওই ৫ দেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে স্থিতিশীল থাকবে।
রবিবার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ভারতীয় প্রধান মধুর ঝাঁ ও বিশ্ব-অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ডেভিন মান গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক ভাগেরই বসবাস হবে এশিয়া অঞ্চলে। জনতাত্ত্বিক এই সুবিধা ভারতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে। বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের বিনিয়োগের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। গবেষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয়দের চেয়ে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকবে বাংলাদেশিরা। সেসময় ভারতের মাথাপিছু দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪০০ ডলারে। একই সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আরও ৩০০ ডলার বেড়ে দাঁড়াবে ৫ হাজার ৭০০তে।
২০১০ সালে যখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড প্রথম এই গবেষণা শুরু করে তখন থেকেই এশীয় আধিপত্য শনাক্ত করতে সক্ষম হন তারা। সে সময় এশিয়া ও আফ্রিকার ১০ দেশ: চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা ও মোজাম্বিকের মধ্যে কারা শীর্ষ ৭ অবস্থান দখল করবে, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন গবেষক দলের সদস্যরা। সাম্প্রতিক এই তালিকায় চীনের অনুপস্থিতিতে টের পাওয়া যাচ্ছে, বিগত চার দশক ধরেই আধিপত্য বজায় রাখলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাদের ধীরগতি প্রতিফলিত হয়েছে। চীনের মাথাপিছু আয়ও স্থিতিশীল নয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালে গিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে।
এশিয়া ছাড়াও আফ্রিকার ইথিওপিয়া ও আইভরি কোস্টও ২০৩০ সাল নাগাদ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকায় স্থান পেতে পারে। অর্থাৎ প্রতি ১০ বছরে ওই দুই দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ। মাথাপিছু আয়ও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। গত বছর যেখানে ভিয়েতনামের মাথাপিছু আয় ছিলো আড়াই হাজার ডলার, ২০৩০ সালে গিয়ে তা দাঁড়াবে ১০ হাজার ৪০০ ডলারে।
সৌজন্যেঃ বাংলা ট্রিবিউন