রাজশাহী মহানগরে ১ লক্ষ ৭ হাজার পরিবারে সহায়তা পৌঁছে দিলেন সিটি মেয়র

5525

Published on মে 9, 2020
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image

করোনার কারনে উদ্ভুত সংকট মোকাবেলায় রাজশাহীর নিম্নবিত্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন সিটি মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

মহানগরের ৪৫ হাজার পরিবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২২৩ টন চাল, ৪১ টন ডাল ও ৫২ টন আলু ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেওয়া ৫১৩ টন সরকারি চাল ৩০টি ওয়ার্ডের ৬২ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন মোড়ে ভ্রাম্যমাণ অসহায় নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে বাসায় তৈরি ইফতার বিতরণ করছেন রাজশাহী সিটি মেয়র।

খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি অন্যনায় সচেতনতা মুলক কাজেও এগিয়ে এসেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। রাসিকের সহযোগিতায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ৪ হাজার পরিবারকে মোট ৬০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৩০টি ওয়ার্ডের ৬০০ জন মায়ের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা নগদ অর্থ এবং ৪৮০ শিশুর প্রত্যেককে এক প্যাকেট করে গুঁড়ো দুধ প্রদান করা হচ্ছে। ২০ হাজার মাস্ক ও এক হাজার লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর ২৭টি পয়েন্টে স্যানিটিইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩০০জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৫টি ওয়াটার ট্যাংকার দিয়ে মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও হাট বাজারে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। ৩০টি ওয়ার্ডের অলি-গলির রাস্তায় ও হাট বাজারসহ সর্বত্র জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য নিরাপদ শোষাক মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভর্স ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে ল্যাব স্থাপন কার্যক্রম তদারকি করা হয়েছে। 

রাসিক সূত্র জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের প্রথম থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মেয়রের উদ্যোগে ১৯ মার্চ রাজশাহী থেকে সারাদেশের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়। এছাড়া মার্চের প্রথম থেকেই করোনায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সচেতনতা সৃষ্টিতে দেড় লাখ লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, ডিস লাইন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে তথ্যচিত্র ও বক্তব্য প্রচার করা হয়। এছাড়া রাসিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং সকল মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ও ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশ ফেরত ও দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, রামেক হাসপাতাল পরিচালক, পরিচালক স্বাস্থ্য ও সিভিল সার্জনের সাথে একাধিকবার আলোচনা সাপেক্ষে রামেক হসপাতালের আইসিইউ ইউনিটকে শুধুমাত্র করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সিটি হাসপাতালকে করোনা কর্ণার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় চীন থেকে ৩০০ পিপিই ক্রয় করা হয়েছে। করোনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে বহনে এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তাকে দাফনে কবরস্থান নির্ধারণ ও সহায়ক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত