বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ রেলপথে যাত্রী পরিবহন

1050

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রেলপথে যাত্রী পরিবহন

১. রেল স্টেশনগুলোতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, জীবাণুনাশক ইত্যাদি সংরক্ষণ। জরুরি পরিকল্পনা প্রয়োজন। জরুরি বর্জ্য ডিজপোজাল এলাকা স্থাপন। প্রতিটি ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।
২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভূক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের সরঙঞ্জামগুলো রেল স্টেশনগুলোর প্রবেশপথে স্থাপন করুন বা তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখুন এবং স্টেশনে আগত সকলের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন। যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩০ সেঃ-এর উপরে থাকবে তাদেরকে ওই জরুরী এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
৪. বায়ুচলাচল বৃদ্ধি করুন। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করুন। সকল এয়ার সিস্টেমের ফিরতি বাতাসকে বন্ধ রাখুন।
৫. জনসাধারণের ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ যেমন দরজার হাতলগুলি চেকআউট কাউন্টার, লিফট এবং পাবলিক টয়লেট পরিষ্কারক এবং জীবানৃনাশক দিয়ে প্রায়শই পরিষ্কার করতে হবে। টয়লেটগুলোতে তরল সাবান (অথবা সাবান) থাকতে হবে। সম্ভব হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত জীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে।
৬. যাত্রীদের অপেক্ষা করার স্থান, ট্রেন কম্পার্টমেন্ট ও অন্যান্য এলাকা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৭. ট্রেনটিকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং সিট কভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৮. প্রতিটি ট্রেনে হাতে-ধরা থার্মোমিটার থাকতে হবে। যথাযথ স্থানে একটি জরুরী এলাকা স্থাপন করতে হবে যেখানে সন্দেহজনক উপসর্গগুলো আছে (যেমন জ্বর ও কাশি আছে) এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
৯. যাত্রীদের অনলাইনে টিকেট ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দিতে হবে। সারিবদ্ধভাবে উঠার সময়ে এবং নেমে যাবার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে।
১০. যাত্রীদের এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে, মাস্ক পরিধান করতে হবে।
১১. হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু কনুই দিয়ে ঢেকে নতে হবে।
১২. পোস্টার ও ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যজ্ঞান পরিবেশন জোরদার করতে হবে।
১৩. মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা ট্রেনে টিকিটের মাধ্যমে যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও যথাসম্ভব যাত্রীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ এর রোগী পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে টার্মিনালগুলোকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত