বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ প্রতিষ্ঠান

1007

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠান

কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা

১. বন্ধ অবস্থা থেকে কাজ পুনরায় শুরু করার আগে মাস্ক, তরল হাত সাবান, জীবাণুনাশক, নন-কন্টাক্ট থার্মোমিটার এবং অন্যান্য মহামারী বিরোধী জরুরী কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীলতা বাস্তবায়ন করুন।
২. প্রতিদিন কাজের আগে এবং পরে কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিন। যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে তাদের স্ক্রিনিং ও সময় মতো চিকিৎসা করুন।
৩. কর্মক্ষেত্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশটি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখুন। প্রতিদিন আবর্জনা পরিষ্কার করুন এবং আবর্জনা অপসারণের জন্য মুখবন্ধ ব্যাগ ব্যবহার করুন।
৪. পাবলিক টয়লেটগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং সময়মতো হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং তরল সাবান সরবরাহ করুন।
৫. হাতের স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করুন। যদি পানি চলমান থাকে তবে নিয়মানুযায়ী হাত ধুয়ে নিন। যখন কোন পানি সরবরাহ থাকবেনা তখন ইন্সট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করুন।
৬. নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির প্রচারকে শক্তিশালী করুন। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ এবং নাক ঢাকুন।
৭. অফিস, বৈঠক করার জায়গা, থাকার জায়গা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত কর্মক্ষেত্রগুলি এবং ব্যাবহৃত জিনিসপত্র নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণ জোরদার করুন। প্রায়শই স্পর্শ করা হয় এমন বস্তৃগুলির পরিষ্ষারকরণ এবং জীবাণুমুক্তকরণ বৃদ্ধি করুন (যেমন লিফট, বোতাম, দরজার হাতল ইত্যাদি)।
৮. রান্না করার পাত্র এবং খাবার টেবিলের জিনিসপত্র সঠিকভাবে জীবাণুনাশক করুন। যদি জীবাণুনাশের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ওয়ান টাইম খাবার পাত্র ব্যবহার করুন এবং আলাদা আলাদাভাবে দূরে বসে খাবার গ্রহণ করুন।
৯. কর্মীরা যাতে কাজ শেষে সুশৃঙ্খলভাবে বাসায় ফিরে যেতে পারে সেজন্য প্রয়োজন মত বিশেষ বাস বা চার্টার্ড বাস ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ দিন। যে সমস্ত কর্মচারীর যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র আছে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন নেই।
১০. অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সময় কর্মীদের উচিত সঠিকভাবে এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা।
১১. যে সকল কর্মী বাইরে গিয়ে কাজ করে তাদের সঠিক তথ্য নিবন্ধন করুন এবং শরীরের তাপমাত্রা নিন।
১২. জরুরী অঞ্চল স্থাপন করুন। যদি সন্দেহজনক কোন রোগী পাওয়া যায় তাহলে তাদের জরুরী স্থানে পাঠিয়ে দিন এবং সেখানেই চিকিৎসার ব্যাবস্থা করুন।
১৩. যদি কোনও কর্মক্ষেত্রে নিশ্চিত কেস পাওয়া যায় তা হলে মহামারীর জায়গা সনাক্ত করুন এবং মহামারীটির তীব্রতা অনুসারে অস্থায়ীভাবে কর্মক্ষেত্রটি বন্ধ করুন এবং বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা প্রবর্তন করুন।
১৪. অফিসে না গিয়ে কাজে উৎসাহ দিন এবং কর্মীদের মধ্যে শারিরীক যোগাযোগ হ্রাস করুন।
১৫. কর্মক্ষেত্রে বহিরাগত কর্মীর প্রবেশ হ্রাস করুন।
১৬. ঢিলেঢালা অথবা সহজসাধ্য কাজে উৎসাহ দিন।

মধ্যম এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
১৬. উপরের ১৫টি নিয়ম ছাড়াও নীচের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৭. একটা আলাদা ব্যবস্থাপনার জায়গা ঠিক করতে হবে যাতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে বক্স আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়, যাতে করে সরাসরি সংস্পর্শ ছাড়াই কাজ চলতে পারে। আর যেসব জায়গায় স্বংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার সম্ভব নয় তা আলাদা করে ফেলতে হবে।
১৮. নমনীয় কর্মঘন্টা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত