টেমস থেকে বাইগার - বাঙালির মুক্তির আলোকবর্তিকা

1966

Published on জুন 6, 2020
  • Details Image

দেলোয়ার এইচ রাইনঃ

আধুনিক নগর সভ্যতার সূচনালগ্নে ১২১৫ সালে লন্ডন শহরের তীরে একে-বেঁকে বয়ে চলা ছোট্ট এক নদীর পারে ঘটেছিলো একটি যুগান্তকারী ঘটনা, যা ইংরেজি ভাষাভাষী অঞ্চলসহ বিশ্বের সমস্ত ঘটনা প্রবাহকে পাল্টে দিয়েছিলো। তখনকার দিনে ব্রিটেনের রাজা নিজের খুশিমতো জোর করে নাগরিক সমাজের সম্পত্তি আত্মসাত্ বা করায়ত্ত করে নিতে পারতো। রাজার এই অনিয়মের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ রানীমেড নামক স্থানে একত্রিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং স্থির করেন যে, রাজার ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরতে হবে। যার ফলে রাজা জন এবং বিদ্রোহী ব্যারনদের মধ্যে সাক্ষরিত হয়েছিল এক ঐতিহাসিক চুক্তি, যা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের বাইবেল বা ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত। শতশত বছর ধরে ইংরেজ জাতি এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহ এই মূলনীতি অনুসরণ ও ব্যাখ্যা করেছে এবং বিশ্বব্যাপী পরাধীন দেশ সমুহে স্বাধীনতার ভিত্তি গড়ে উঠেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর অন্যতম পরাশক্তি আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বিল অব রাইট লেখা হয়েছে এই ম্যাগনাকার্টার উপর ভিত্তি করে। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাতেও প্রতিফলিত হয়েছে এর ধারণাসমূহ। এমনকি আজকের দিনের রাজনৈতিক নেতারাও সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে রক্ষাকবচ হিসাবে উচ্চারণ করে থাকেন ম্যাগনাকার্টার কথা। শোষণের পৃথিবীতে ন্যায় আর ঘৃণার পৃথিবীতে ভালবাসার মাধ্যমে যখনই জনগণ কোন শোষণ আর জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে কিংবা আন্দোলন করেছে তখনই তারা এই ম্যাগনাকার্টার গৌরবউজ্জল ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে।

ম্যাগনাকার্টার ৭৫১ বছরে যখন বিশ্বব্যাপী রাজতন্ত্র থেকে নাগরিক স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় এক মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ধারা তৈরি হচ্ছিল ঠিক তখনই পাকিস্তানী শোষকেরা বাঙালি জাতির উপর আরো বৈষম্য আর শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা একের পর এক অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়নে এবং নানা বৈষম্যের মাধ্যমে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল এই পলিমাটি বিধৌত নিরীহ বাঙালীরা। তখন তাদের ঐ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দুরের কথা নিজেদের ন্যায্য দাবীর কথা বলার দুঃসাহস দেখানোর মত লোক খুজে পাওয়া যেত না। কিন্তু মানব জীবনের সূচনালগ্ন থেকেই আমরা দেখতে পাব যখনই কোন জাতি বা সম্প্রদায় শোষণ-বঞ্চনা আর নির্যাতনের শেষ সীমায় উপনীত হয়েছে তখনই তাদের সামনে আবির্ভাব ঘটেছে কোন এক আলোকবর্তিকার। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মুক্তির দিশারী হয়ে এসেছিলেন মহান পুরুষ মার্টিন লুথার কিং, আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গদের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা সহ বিভিন্ন জাতির জন্য আরো অনেক মহৎ প্রাণ। তদ্রূপ বাংলার এই ভাগ্যবিড়ম্বিত আর দুঃখী মানুষের মুক্তির জন্য ও আমরা পেয়েছিলেম টুঙ্গিপাড়ার বাইগার নদীর তীরে জন্ম নেওয়া এক মহান মানুষকে যিনি শুধু এই বাংলার মানুষকে পাকিস্তানী অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন, শোষণ-বঞ্ছনা থেকে মুক্তি-ই দেননি, তিনি দিয়ে গেছেন আমাদের লাল-সবুজের পতাকা খচিত ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রিয় দেশমাতৃকা বাংলাদেশ। দিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে আমাদের মাথা উচু করে বাঁচার কঠিন দীক্ষা। দিয়ে গেছেন স্বনির্ভর আর আত্ম-মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার মূলমন্ত্রণা। দিয়ে গেছেন অন্ধকার থেকে আলোর পথের অভিযাত্রায় উজ্জ্বল এক আলোকবর্তিকা। আর বাঙালীর সেই স্বাধীনতা-ই বলি কিংবা দীক্ষা বলি অথবা মুল-মন্ত্রণা কিংবা উজ্জ্বলতর আলোকবর্তিকা যে নামেই কিনা অভিহিত করি তা হচ্ছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’। সেদিনের সেই ‘ছয় দফা’ তেই লেখা ছিল বাঙালীর মুক্তি আন্দোলনের সমস্ত দিক নির্দেশনা। বপন করা ছিল আমাদের মহান স্বাধীনতার বীজ। তাইতো আজ বছরের পর বছর পার হলেও ম্যাগনাকার্টার মত উচ্চারিত হয় ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’র নাম। বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয় বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম নিয়ে। আফ্রো-এশিয়ান আর লাতিন আমারিকার তৃতীয় বিশ্বের শোষিত জনপদের মুক্তিকামী মানুষের মাথার উপরে আলো ছড়াতে থাকে বাংলার ম্যাগনাকার্টা নামে খ্যাত বঙ্গবন্ধুর ‘ছয় দফা’।

বঙ্গবন্ধুর ‘ছয় দফা’ মূলত হঠাৎ কোন সিদ্ধান্তের ফসল না। তিনি এই ‘ছয় দফা’র মাধ্যমে তাঁর আজন্ম লালিত স্বপ্ন কে তুলে ধরেছেন শাসক আর শাসিতের মাঝে। তিনি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করতেন ‘ছয় দফা’ ছাড়া বাঙ্গালির মুক্তি সম্ভব না। তাই তিনি অনেক সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করে ‘ছয় দফা’ ঘোষণা করেছিলেন। ‘ছয় দফা’ ঘোষণার পিছনেও ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের এক দীর্ঘ ইতিহাস। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় - হাজার বছর ধরে এই পদ্মা-মেঘনা-যমুনার অববাহিকা সম্বলিত ব-দ্বীপ শাসন করেছেন মুঘল সম্রাটেরা, শাসনের নামে শোষণ করেছেন পাঠানরা, পর্তুগীজ বেনিয়ারা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামে ব্রিটিশরা। যখন যারাই যেভাবে শাসন করেছেন; উর্বর এই জনপদের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষ ও কৃষক-শ্রমিকেরা কখনই তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু পায়নি। কিশোর বয়সে শেখ মুজিব যখন টুঙ্গিপাড়া সহ বিভিন্ন জনপদে ঘুরে বেড়াতেন তখনই তিনি গভীর মনোযোগের সাথে প্রত্যক্ষ করেছিলেন এই সমস্ত জনপদের মানুষের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য আর মানুষের চোখে-মুখে এই হাজারো বছরের পরাধীনতার শৃংখল থেকে বেরিয়ে আসার এক নীরব মিনতি। তাইতো যখন ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হল তার এক বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারলেন পাকিস্তান নামক নতুন যে রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে তা বাঙ্গালির জন্য তৈরি হয়নি। পাকিস্তানী শাসনকর্তারা কখনোই আমার বাঙ্গালীর ভাগ্য-উন্নয়নে কাজ করবে না। একদিন বাঙালিকেই বাঙালির ভাগ্যনিয়ন্তা হতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর অনুমানই ঠিক হল। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই তাই এই মহান নেতা তার লক্ষ্যও নির্ধারণ করে ফেলেছিলেন। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তার সে লক্ষ্য পূরণও হয়।

বৃটিশ শাসনবসানের অব্যহতিকাল পরেই পাকিস্তানী শাসকেরা নতুন করে পূর্ব-পাকিস্তানিদের শোষণ করা শুরু করে। তারা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানিদের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয়, সামরিক, রাজনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রে পুর্ব পাকিস্তানিদের গলা টিপে ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় অকুতোভয় শেখ মুজিবের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায় বাঙালি জাতি ১৯৪৮ থেকে শুরু হওয়া ৫২’র ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ ও বিদ্রোহ করে। আর তখন থেকেই বাঙ্গালির মাঝে জাতীয়তাবাদের বীজ বপিত হয়। এরপর ৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন কে ঘিরে বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ২১ দফা দাবী, ৫৮’র সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হতে হতে বাঙ্গালির স্বাধিকার আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ বাঁধলে দেশপ্রেমিক বাঙালি সৈনিকেরা মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে লাহোরকে ভারতীয় আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনের মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের অবসান হলেও পূর্ব-পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী চেতনা প্রবলভাবে জাগ্রত হয়। কারণ যুদ্ধে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, পুর্ব পাকিস্তানে কোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিলনা। অরক্ষিত এ অঞ্চল যেকোন সময় ভারতের আক্রমণের শিকার হতে পারত। বাঙ্গালি সেনারা জীবন বাজি রেখে লাহোর রক্ষা করলেও আইয়ুব খান পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। এমন প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারের চরম অবহেলা ও সীমাহীন বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সোচ্চার হন। পূর্ব পাকিস্তানকে বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার রূপরেখা তৈরি করতে ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলীয় নেতাদের একটি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ‘ছয় দফা’ কে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু এটাকে ‘আমাদের বাচার দাবি’ বলে আখ্যায়িত করেন। ‘ছয় দফা’ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য’। মার্চের ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখ ছিল আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। কাউন্সিল অধিবেশনের শেষদিন অর্থাৎ ২০ মার্চ চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে ঢাকার পল্টন ময়দানের জনসভায় দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘চরম ত্যাগ স্বীকারের এই বাণী লয়ে আপনারা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুন। পূর্ব পাকিস্তানের প্রত্যন্ত প্রদেশের প্রতিটি মানুষকে জানিয়ে দিন, দেশের জন্য, দশের জন্য, অনাগতকালের ভাবী বংশধরদের জন্য সবকিছু জেনে-শুনেই আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা এবার সর্বস্ব পণ করে নিয়মতান্ত্রিক পথে ছয় দফার ভিত্তিতে দেশব্যাপী আন্দোলনের জন্য এগিয়ে আসছে।’

বঙ্গবন্ধু ‘ছয় দফা’র মাধ্যমে ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের মাঝে পশ্চিম পাকিস্তানিদের শাসন-শোষন ও অথনৈতিক বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেছিলেন নিখুঁতভাবে। সংগত কারনেই অতি অল্পসময়ে বঙ্গবন্ধুর ‘ছয় দফা’ বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ‘ছয় দফা’ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ত্বের প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জনসমর্থন বাড়তে থাকে। আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও জনসমর্থন বৃদ্ধি পায়। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ও আওয়ামীলীগের প্রতি বাংলার মানুষের জনসমর্থন দেখে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামী করে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) দায়ের করলে পূর্ব বাংলার মানুষ মিথ্যা মামলার রিরুদ্ধে তীব্র গনআন্দোলন সৃষ্টি করে, আন্দোলন সামাল দিতে না পেরে পাকিস্তানি শাসকেরা বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জেল থেকে মুক্তি পাবার পর তিনি আরও জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেন।

‘ছয় দফা’ দাবি ক্রমে ক্রমে বাঙালি জাতির মুক্তির মহাসনদে পরিণত হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক সরকার জেনারেল ইয়াহিয়া পূর্বনির্ধারিত জাতীয় পরিষদ সভা স্থগিত করলে বাংলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে পড়ে। ‘ছয় দফা’র দাবি পরিণত হয় এক দফার দাবিতে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু অসীম সাহসের সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতির নির্দেশ দেন; ভাষণে বলেন - ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বৃটিশ ম্যাগনাকার্টা যেমন সে সময়ে নিপীড়িত উপেক্ষিত একটা জনগোষ্ঠীকে মুক্তির সাধ এনে দিয়েছিল তেমনি ‘ছয় দফা’ এনে দিয়েছিল বাঙালী জাতির মুক্তির সাধ, এনে দিয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র।

লেখকঃ সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত