2228
Published on জুন 16, 2020অদৃশ্য শক্তি প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস যখন পুরো বিশ্বকে গ্রাস করে নিয়েছে তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশও এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা শুরু হয়ে গেছে। দূর্যোগপূর্ণ এসময়ে দেশের হতদরিদ্র মানুষগুলো পড়েছে চরম খাদ্য সংকটে। কাজ নেই, কর্ম নেই। নিজ গৃহে আটকা পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে শুরু করেছে তারা। করোনা মহামারী থেকে দেশের জনগণ কে রক্ষা করার জন্য যখন বাংলাদেশ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে । চরম এ সংকট মুহুর্তে মানবিক টানে ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী যখন নির্দেশ প্রদান করেন যে যেখানে অবস্থান করছো সেখান থেকেই মানুষের সেবায় নেমে পড়ো ঠিক তখন করোনার শুরুতেই তিনি দুইশতাধিক মানুষের মাঝে মাক্স,হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়। লকডাউনে যখন মানুষ খাদ্যের অভাবে ঘরে বসে আছেন তখন ছাত্রলীগ নেতা নাজিম মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে গ্রামের প্রায় এক হাজার পাঁচশত লোকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। শুধু তাই নয় , মধ্যবিত্ত যারা চক্ষুলজ্জার কারণে মানুষেল কাছে কষ্টের কথা বলতে পারে না এমন অসংখ্য পরিবারের মাঝে তিনি রাতের আঁধারে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ অর্থ পাঠিয়েছেন। আগাম বর্ষার কারণে যখন কৃষকরা জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছে ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ৫ জন অসহায় কৃষকের ৫.৫ একর জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।
নোয়াখালীতে ভাসমান, ছিন্নমূল ও রেললাইনের অসহায় দুইশত পরিবারের জন্য খাবার রান্না করে বিতরণ করেন। এছাড়া কুমিল্লায় দুইশতাধিক পরিবারের মাঝে ইফতারি ও ইদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। মানুষ যেখানে খেতেই পারে না সেখানে ঈদ করা তাদের কাছে বিলাসিতা। কিন্তু না নাজিম ভুলেনি সেসব মানুষের কথা যারা অসহায় হয়ে দিন অতিবাহিত করছে এমন মানুষরা যাতে আনন্দে ঈদ উদযাপন করতে পারে তাই ঈদের আগেই গ্রামের পাঁচশত পরিবারের জন্য রাতের আঁধারে "ঈদ উপহার" নিয়ে অসহায় মানুষরে ধারে ধারে পৌঁছে দেন তিনি । দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দুইশতাধিক পরিবারের জন্য "ঈদ উপহার" পাঠিয়েছেন তিনি । ঢাকা বিশ্বদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইশত শিক্ষার্থী ও নোয়াখালীতে একশত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীর জন্য বিকাশে "ঈদ উপহার" পাঠান। একশত অসহায় পরিবারের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গী ও গেঞ্জি বিতরণ করেন।
"কিরণ" সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি একালায় গরীব অসহায় মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ছাত্রলীগ নেতা নাজিম।
গত কিছুদিন পূর্বে নোয়াখালী জেলা সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তা যেটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাফেরা করে। ঘূর্ণিঝড় “আম্পান” ও ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা শত শত মানুষকে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। এতে চলাচলে অসুবিধায় পড়ে জনজীবনে অনেক বড় দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের এই দূর্ভোগ দেখে ঘরে বসে থাকতে পারেনি ছাত্রলীগ নেতা নাজিম। জনগণের এই দুরবস্থার কথা চিন্তা করে তিনি এলাকার ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী ও এলাকার সূর্য তরুণ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে প্রায় রাস্তাটিকে নিজেরাই মাটি কেটে নতুন করে বেঁধে দেয় এবং এলাকার প্রায় ২ কি.মি রাস্তা সংস্কার করে দেয়।
এছাড়াও এবা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে তার কার্যক্রম গুলো ছিলো প্রশংসনীয়।
ছাত্রলীগ নেতা নাজিম এ পর্যন্ত তিনি প্রায় তিন হাজার পাঁচশত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ছেন। অহসায় মানুষের জন্য তার খাদ্যসামগ্রী উপহার পাঠানোর কার্যক্রম চলোমান রয়েছে বলে জানা যায়।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় এ ছাত্রলীগ নেতা জানান, আমাদের দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে যেখানে অবস্থানরত আছো দেশের এই মহামারির পরিস্থিতিতে নিজেকে উৎসর্গ করো। তাই নেত্রীর নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে আমরা ছাত্রলীগ দেশের যে কোন ক্লান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের পাশে আছি। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশ যেমন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছে ঠিক তেমনি আমাদের নেত্রীর নির্দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা কাজ করে করোনাকে জয় করতে চায়। জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলায় যেভাবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে তার প্রশংসা বিশ্ববাসী করেছে। আমরা এটাই প্রমান করতে চায় জনগণের দুঃসময়ে যারা প্রথমেই এগিয়ে আসে তারা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আমি আমার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে আছি নেত্রীর নির্দেশে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।