বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রাসঙ্গিক বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্য ভাবনা

1226

Published on ডিসেম্বর 16, 2020
  • Details Image

অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খানঃ

যখন আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মুজিববর্ষ উদযাপন করছি তখন আজ ১৬ ডিসেম্বর শুরু হলো আমাদের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর বছর। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি পালন- বাঙালী জাতির জন্য সৌভাগের বিষয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন ‘বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ‘একটি স্বাধীন, সার্বভৌম সুখী, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার।’ বাংলার মানুষের সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতকে। এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি গ্রহণ করেছিলেন সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী এবং রাষ্ট্রীয় নীতিমালা। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে চাই একটি স্বাস্থ্যবান জাতি। এ জন্য তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন তেমনি গ্রহণ করেছেন সময়োপযোগী পদক্ষেপ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা, অবকাঠামো রেখে গেছেন যার উপরে গড়ে উঠেছে আজকের বিশ্ব নন্দিত অনেক কার্যক্রম।

সদ্য স্বাধীন, বিধ্বস্ত, কপর্দকহীন দেশে বঙ্গবন্ধু যখন দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য অহর্নিশ দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পরিশ্রম করে চলেছেন, তখন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাশিক্ষা ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দিতে ভুলেননি। শত ব্যস্ততার মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরে এসে চিকিৎসকদের আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৭২-এর ৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু তৎকালীন আইপিজিএমআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) -এ কেন্দ্রীয় রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ ও নতুন মহিলা ওয়ার্ড উদ্বোধন করতে এসে তিনি দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা নিয়ে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর সেই ভাষণে সদ্য স্বাধীন দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে এক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সে ভাষণে তিনি দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষার পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, ভাবনা মন খুলে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ধ্যান-জ্ঞান-কর্মে সব সময় ছিল গরিব-দুঃখী মানুষ। তিনি চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গরিব রোগীদের মমতা দিয়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন পিজি হাসাতালের বক্তৃতায় বলেছিলেন ‘এক টিভি সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনার কোয়ালিফিকেশন কি? আমি হাসতে হাসতে বলেছি- আই লাভ মাই পিপল। ডযধঃ রং ুড়ঁৎ ফরংয়ঁধষরভরপধঃরড়হ? জবাবে তিনি বলেছিলেন - ও ষড়াব ঃযবস ঃড়ড় সঁপয. বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শহীদ চিকিৎসকদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। শহীদ চিকিৎসকদের তালিকা পিজি হাসপাতালের দেয়ালে লিপিবদ্ধ রাখার জন্য তৎকালীন পরিচালক ডাঃ নূরুল ইসলামকে নির্দেশ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য-

১. চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে মানবতাবোধ, মনুষ্যত্ব ও সৎ থাকার জন্য পরামর্শ দেন। ২. ওষুধে ভেজাল দেয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেন। ৩. সবাইকে নিয়ম-কানুন মেনে সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা প্রচলনের আহ্বান জানান। ৪. প্রত্যেক থানায় এক বছরের মধ্যে ২৫ বেডের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন। ৫. পরিবার-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী ঘোষণা করেন। ৬. ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীদের সেবার মনোভাব গ্রহণ করে স্বাধীন বাংলাদেশে মানসিক পরিবর্তনের আহ্বান জানান। ৭. বিত্তবান লোকদের হাসপাতালে ওয়ার্ড তৈরি করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান। ৮. চিকিৎসক-নার্সদের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে আন্তরিক হওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দেন। ৯. নার্সিং শিক্ষার সুযোগ ও মান বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ প্রদান করেন। নার্সদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সবাইকে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। চিকিৎসা একটি সম্মিলিত ব্যবস্থা। সেখানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান। দেশের গরিব-মেহনতী মানুষ যেন সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা পায় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানের ১০ (ক) ধারায় চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার এবং ১৮(১) ধারায় জনগণের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্যকে রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে সন্নিবেশিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল স্বাস্থ্য-ভাবনা বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তা আজও আমাদের জন্য বড় পাথেয় এবং বর্তমান সময়ের জন্য প্রযোজ্য-

১. অনুন্নত অঞ্চলসমূহে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারের দ্বারা সমন্বিত ও ব্যাপক আকারে চিকিৎসাসেবা প্রদান।

২. তৃণমূল পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কার্যক্রমসমূহের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে থানা স্বাস্থ্য প্রশাসকের নেতৃত্বে অনুন্নত অঞ্চলসমূহে সর্বাধিক জন্মনিয়ন্ত্রণ অর্জন করা।

৩. নবজাতক ও মাতৃমৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার মাধ্যমে নবজাতক, শিশু ও মায়েদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।

৪. সংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণ নিশ্চিত করা এবং জনস্বাস্থ্য গবেষণাগার কর্তৃক সমর্থিত মহামারী পরিষেবার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৫. শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের তাদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং তাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ তৈরি করা। শিল্প শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করা।

৬. বর্তমানে যেসব হাসপাতাল আছে সেগুলোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে হাসপাতাল বেড বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। পরিকল্পনার সময়কালের মধ্যে প্রতিটি অনুন্নত থানায় কমপক্ষে একটি ২৫ বেডের হাসপাতাল নির্মাণ করার মাধ্যমে প্রতি ৩৫০০ জনের জন্য একটি করে হাসপাতাল বেডের লক্ষ্য অর্জন করা।

৭. মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল সুবিধা প্রদান এবং যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ক্যান্সার, মানসিক রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত হাসপাতাল বেডের ব্যবস্থা করা।

৮. স্নাতোকত্তর ও স্নাতক অধ্যয়নরত মেডিক্যাল, প্যারা মেডিক্যাল এবং নার্সিংকর্মীদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং পরবর্তীতে তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য সঠিক পরিষেবা শর্ত নিশ্চিত করা।

৯. অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং সংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে টিকাদান কর্মী নিয়োগ করা।

১০. প্রত্যেক জনগণের জন্য তাদের বাসস্থান ও কর্মস্থলে পরিবেশ সম্মত পায়খানা, পানযোগ্য পানির সরবরাহ, বাসস্থানের সুযোগ-সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ বিভাগগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় নিশ্চিত করা।

বঙ্গবন্ধু সংবিধান ও পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার জন্য থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প আজও বিশ্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার এক সমাদৃত মডেল। বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রয়েছে-

১.ইউনিয়ন স্বাস্থকেন্দ্র অন্তর্ভুক্তিসহ থানা পর্যায়ে হাসপাতাল সম্প্রসারণ। নতুন নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন। ২. সচিব পদে চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান। ৩. আইপিজিএমআর (পিজি হাসপাতাল) কে শাহবাগে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল হিসেবে স্থাপন। ৪. বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) প্রতিষ্ঠা। ৫. বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান এ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠা। ৬. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন। ৭. ১৯৭৩ সালে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান। ৮. চিকিৎসকদের সরকারী চাকরিতে ১ম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান। ৯. নার্সিং সেবা এবং টেকনোলজির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ। ১০. উন্নয়শীল দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূলনীতি হলো- চৎবাবহঃরড়হ রং নবঃঃবৎ ঃযধহ পঁৎব। এ নীতিকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি স্থাপন করেছিলেন নিপসম (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ ও সোশ্যাল মেডিসিন)। ১১. যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা। ১২. জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান স্থাপন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ডাঃ আর জে গার্ষটের নেতৃতে একদল চিকিৎসক বিদেশ থেকে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসেন। ১৩. ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা। ১৪.পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর স্থাপন।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর সুদীর্ঘ ২১ বছর চলেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত ধারায়, পাকিস্তানী ভাবধারা অনুসরণ করে। যে কারনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সকল উন্নয়ন ব্যাহত হয়, বঞ্চিত হয় সাধারণ মানুষ। সুদীর্ঘ ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম নির্যাতনের পর ১৯৯৬ সনের ২৩ জুন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাবার আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিচালনায়ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অগ্রগণ্য থাকে। দেশের মানুষ, চিকিৎসক, সমাজসহ সকল শ্রেণী পেশার প্রস্তাব-পরামর্শ গ্রহণ করে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন দেশে একটি গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কার্যকর বাস্তবায়ন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে অধ্যাবধি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মেডিক্যাল শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে যুগান্তকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আজকে তিনি বিশে^র দরবারে সমাদৃত এবং সম্প্রসারিত হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্য চাহিদার সুযোগ।

লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

সৌজন্যেঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত